পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যেন্ত্রনাথ দত্ত এই কাশীধামে ভক্ত তুলসী লিখেছেন রামকথা,— ভকতি যাহার অপ্ৰমত্ত প্রভৃপদে সংযত । এই কাশীধামে জোলাদের ছেলে কবীর রচিল গান, যাহার দোহায় মিলেছিল দুহু হিন্দু মুসলমান । এই কাশীধামে বাঙালীর রাজা মরেছে প্রতাপরায়, যার সাধনায় নলীন জীবন জেগেছিল বাংলায় । মৃত্যু হেথায় অমৃতের সেতু, শব নাই—শুধু শিব ! মনে লয় মোর হেথা একদিন মিলিবে লিখিল জীব ; আত্মার সাথে হবে আত্মার নবীন আত্মীয়তা, মিলন-ধৰ্ম্মী মামুষ মিলিবে ; এ নহে স্বপ্নকথা । জয় কাশী ! জয় ! জয় ! সারা জগতের ভকতি-কেন্দ্র হবে তুমি নিশ্চয়। স্ফটিক শিলার বিপুল বিলাস মাত্র নহ তো তুমি, আমি জানি তুমি আনন-ধাম ছয়ে আছ মরভূমি ; আমি জানি তুমি ঢাকিয়াছ হাসি ভ্ৰকুটির মসীলেপে, অমৃত-পাত্র লুকায়ে রেখেছ সময় হয়নি ভেবে ; তৃষিত জগত খুজিতেছে পথ, ডেকে লও, বারাণসী ৷ পথিকের প্রতে প্রদীপ জালিয়া কেন আছ দুরে বসি ? মধু-বিদ্যায় বিশ্বমানবে দীক্ষিত কর আজ, ঘুচাও বিরোধ, দম্ভ ও ক্রোধ, ক্ষতি, ক্ষোভ, ভয়, লাজ । সার্থক হোক সকল মানব, জয়ী হোক ভালবাসা, সঙস্কারের পাষাণ-গুহায় পচুক কৰ্ম্মনাশা। ব্যাসের প্রয়াস ব্যর্থ সে কভু হবেনাকে একেবারে সবারেই দিতে হবে গো মুকতি এ বিপুল সংসারে ।