পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরোদার দেওয়ান లీఫ్ পরিষদের প্রাচীন সভ্যগণের অস্তুরে চিরকাল জাগরূক থাকিবে । বস্তুতঃ সেই সময়ে রমেশচন্দ্রের ন্যায় উদ্যমশীল, কৰ্ম্মঠ, অনুরক্ত, উচ্চপদস্থ নেতার সাহায্য ন পাইলে পরিষদের জীবনাখ্যায়িক হয়ত অন্য রূপ গ্রহণ করিত স্বতিকাগৃহের বিস্তুবিপত্তি হইতে পরিষৎ-শিশুকে এইরূপে রক্ষা করিয়া, তিনি সভাপতিত্ব হইতে অবসর গ্রহণের পর আর একবার ব্যতীত পরিষদের কার্য্যে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে লিপ্ত হইতে পারেন নাই । তৎপরে তাহার কৰ্ম্মবহুল জীবনের অধিকাংশ ভাগ ইংলণ্ডে অথবা বরোদায় অতিবাহিত হওয়ায় পরিষদের কৰ্ম্মে যোগদান অসাধ্য হুইয়াছিল ; কিন্তু সাহিত্য-পরিষদের প্রতি তাহার মমত্ব চিরকাল অক্ষুণ্ণ ছিল । বিলাত-প্রবাস কালের মধ্যে যখন একবাব স্বদেশে আসেন, সেই সময়ে—১৩০৯ সালে পরিষৎ তাহাকে এক বৎসরের জন্য পুনরায় সভাপতিত্বে বরণ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন ; সেই অবকাশে একদিন তাহার বহুকালের ও বহু ব্যয়ে সঞ্চিত সংস্কৃতগ্ৰস্থরাশি পরিষৎকে দান করিয়া পরিষদের প্রতি র্তাহার স্নেহানুগ্রহ প্রকাশ করেন . ১৩০৫ সালে | পরিষৎ তাহাকে বিশিষ্ট সভ্যরূপে নিৰ্ব্বাচিত করিয়া কথঞ্চিং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টা করিয়াছিলেন । বরোদার (দওয়ান ১৯০৯ সনের ১লা জুন হইতে রমেশচন্দ্র পুনরায় বরোদার কাৰ্য্যে যোগদান করেন। পূৰ্ব্বতন দেওয়ান অবসর গ্রহণ করায় তিনি মাসিক চারি হাজার টাকা বেতনে বরোদ্য-রাজ্যের দেওয়ান-পদাভিষিক্ত হন ।