পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার 念> ঐতিহাসিক ও সামাজিক উপন্যাস কয়খনি পাঠ করিবার ক্লেশ স্বীকার করিবেন, তাহারই মনে ঔপন্যাসিক রমেশচন্দ্র স্থায়ী আসন লাভ করিবেন। যৌবনে বঙ্কিমচন্ধের সহিত কথোপকথনে যে বাংলা ভাষা সম্বন্ধে রমেশচন্দ্র স্বয়ং সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছিলেন, সেই ভাষাই যে শিল্পী রমেশচক্রের হাতে বিবিধু-মনোহারিণী রূপ লইয়াছিল, তাহার মাধবীকঙ্কণ ও সংসার-সমাজে তাহার পরিচয় মিলিবে । তাহার রচনা সংযত ও মধুর ছিল । ইহা তাহার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুণেই সম্ভব হইয়াছিল। রমেশচন্ত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ চৈতষ্ঠ তাহার চরিত্রে প্রাণের বেগের সঙ্গে অপ্ৰমত্ততার যে সন্মিলন ছিল তাহা এখনকার কালে স্থলভ। তাহার সেই প্রচুর প্রাণশক্তি তাহাকে দেশহিতকর বিচিত্র কর্ণে প্রবৃত্ত করিয়াছে, অথচ সে শক্তি কোথাও আপনার মৰ্য্যাদা লঙ্ঘন করে নাই । কি সাহিত্যে, কি রাজকাৰ্য্যে, কি দেশহিতে, সৰ্ব্বত্রই উহার উত্তম পূর্ণবেগে ধাবিত হইয়াছে, কিন্তু সৰ্ব্বত্রই আপনাকে সংযত রাখিস্থাছে—বস্তৃত, ইষাই বলশালিতার লক্ষণ। এই কারণে সৰ্ব্বদাই তাহার মুখে প্রসন্নতা দেখিয়াছি-এই দেহে ও মনে পরিপূর্ণ হুইয়ালি-তাছার কর্থে ও মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে এই ঠান্থার নিরাময় স্বাস্থ্য একট প্ররল প্রভাব বিষ্ঠায় করিত। তাহার, মীরনের, সেই সাপ্রসন্ন, জরুর নির্বলতা আমার স্মৃতিকে অধিকার করিয়া আছে । আমাদের দেশে উাহার আসনটি গ্রহণ করিবার আর দ্বিতীয় কেহু মাই।—১৬ই পৌষ ১৩১৬ ।