পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী অটল ভূধর স্থির,—স্থবির জনক সম অকম্পিত ; দেখে চেয়ে মনোরম পরাক্রম । প্রশান্ত মাতার সম ও তব উৎপাত-খেলা অবিরাম অবিশ্রাম সহিছে জননী-বেলা ! কিবা তুমি উন্মাদিনী;—কে কৈল পাগল তোরে প্রশান্ত গম্ভীর হিয়৷ কে দিল চঞ্চল ক’রে ? সুনীল দিগন্তু ওই সাদরে বেষ্টিয়া হিয়৷ দিয়াছে সুনীল হৃদে নীল হৃদি মিশাইয়া, তবু তুমি উন্মাদিনী ! কি চাও--কাহারে পেতে ? সুনীল অঞ্চলে তোর শিশু রবি উঠে প্রতে— প্রদানে কিরণ-রাশি ; পুলকে জগত ভোর ; তাই মর মাথা কুটে”—ধরণী সপত্নী তোর ! ছুটে এস গ্রাসিবারে শত শত ফণা তুলি । সপত্নী-বিদ্বেষে শেষে উৰ্ম্মিলে । উন্মত্ত হ’লি । কিবা, আজো দেবাসুরে মন্থন করিছে তোরে ; প্রোথিত মন্থন-দণ্ড নীলগিরি—নীল-নারে ;– তাই উত্থিত ঘর্ঘর ঘোর বিকীরিত ফেনোচ্ছেল ! উন্মত্ত অধীর তাই প্রশান্ত সুনীল জল । অমরে অমৃত দিলি,—নীলকণ্ঠে হলাহল ; রত্নময়ী স্থনীলে গো ! মানবে দিলি কি বল ? আমাদের কুটীর আমাদের কুটারখানি সমুদ্রের ধারে— মিশিয়ে গেছে জলের রেখা আকাশে ওপারে