পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गन १७२९) अभूिनिक वक्रनॉरिडा ७ रक्रौश नारिडा ब्रिश। १७ সেই স্ত্রীকে দেবী চৌধুরাণী রূপে পাইয়া তাহার নিকট হইতে পঞ্চাশ হাজার টাকা লইয়া বিষয় ও পিতার মান রক্ষা করিয়াছিলেন ; তদীয় পিতা নিতান্ত নৃশংসের ন্যায়। সেই উপকার- ; কারিণীর প্রাণবধের চেষ্টা করিয়াছিলেন, তথাপি ব্ৰজেশ্বর পিতার উপর বিরক্ত হয়েন নাই, কখন তাহার অবাধ্যও হয়েন নাই। সৰ্ব্বদাই তিনি “পিতা স্বৰ্গঃ পিতা ধৰ্ম্মঃ পিতাহি পারমন্তপঃ । পিতরি গ্রীতিমাপদে প্ৰীয়ন্তে সৰ্ব্বদেবতাঃ।” এই মহাবাক্যটী বলিতেন। পুরুষকার অবলম্বনীয় হইলেও নিয়তি যে পরিহার্ঘ্য দহে, হিন্দুর এ কথাটি বঙ্কিম বাৰু LDD KBDD KBDDDS SBBDSDS DBB BBBSBBBDg SDDLDBD KDBDD DS কোথাও বা ভগবতীর অর্থ গ্ৰহণ বা ত্যাগ দ্বারা পূর্বেই জানাইয়া দিয়াছেন, এবং তৎসঙ্গে জ্যোতিষশাস্ত্রের সত্যতার ও দেবতার মাহাত্ম্য স প্রমাণ করিয়াছেন। আমাদের অলঙ্কারশাস্ত্রের নিয়ম এই যে, কাব্যে নায়ক নায়িকাকে উৎকৃষ্ট গুণসম্পন্ন করিতে হয়। অথচ গুণবান নায়ক নায়িকার কাৰ্য্যের পরিণামফল শুভ না হইলে মনুষ্যকে গুণবান হইতে প্ৰবৃত্তি দেওয়া হয় না, এই জন্যে আমাদের কাব্যগুলি মিলনান্ত বা সুখান্ত। বিয়োগান্ত বা দুঃখাস্ত কাব্য নিতান্ত অল্প। কিন্তু যদি কোনও কাব্যের নায়ক নায়িকা অসদ গুণসম্পন্ন হয়, তাহা হইলে তাহাকে দু:খান্ত না করিলে মানুষকে কুকাৰ্য্যে অপ্ৰবৃত্তি দেওয়া হয় না। বঙ্কিম বাবুর কাব্যের মধ্যে কপালকুণ্ডলা ও কৃষ্ণকাস্তের উইল ভিন্ন সমস্তই সুখান্ত। গোবিন্দলাল অসদগুণসম্পন্ন নায়ক ছিলেন, এবং ভ্রমর তাদৃশী পত্নীগুণসম্পন্না ছিলেন না, কাষেই কৃষ্ণকান্তের উইলকে দুঃখান্ত করিতে হইয়াছে। কিন্তু কপালকুণ্ডলা দুঃখান্ত হইল কেন ? নবকুমার ও কপালকুণ্ডলা, উভয়েই ত সদগুণসম্পন্ন। ইহার কারণ অনুসন্ধান করিলে তিনটী কারণ দেখা যায়। প্রথম কারণ, নবকুমারের সহিত কপালকুণ্ডলার যখন বিবাহ হয়, তখন অধিকারী নবকুমারের পরিচয় লইয়াছিলেন বটে, কিন্তু নবকুমার কপালকুণ্ডলার কোন পরিচয় লয়েন নাই। অধিকারী বলিয়াছিলেন, তিনি ব্ৰাহ্মণকন্যা ; সেই কথায় বিশ্বাস করিয়াই বিবাহ করিয়াছিলেন। কারণ তিনি ইচ্ছা! করিয়া বিবাহ করেন নাই। কপালকুণ্ডলাকে বিবাহ না করিলে তাহার প্রাণ ও ধৰ্ম্ম রক্ষা হয় না। বলিয়াই বিবাহ করিয়াছিলেন। কপালকুণ্ডলা ব্ৰাহ্মণকন্যা না হইলেও নবকুমার আপনি প্ৰাণদাতার প্রাণরক্ষার জন্য তঁহাকে বিবাহ করিতেন। সেজন্য তঁহকে, যদি পতিত হইয়া থাকিতে হয়, তাহাও তিনি স্বীকার করিবেন, স্থির করিয়াছিলেন, কিন্তু আমাদের বঙ্কিম বাবুর ইচ্ছা নহে যে, অপরিচিতার সন্তান সমাজে মিশ্রিত হয়। দ্বিতীয় কারণ, নবকুমারের পূর্বপত্নী পদ্মাবতী সেই সময়ে আপনার পাপবৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া নবকুমারের প্ৰেমাকাঙ্ক্ষিণী হইয়াছিলেন। কিন্তু নবকুমার সেই যবনীর-সেই স্বেচ্ছাবিহারিণী রমণীকে গ্ৰহণ করিতে পারিলেন না-গ্ৰহণ করিলেনও না। কিন্তু সে শরণাগতাকে পরিত্যাগ করিয়া অন্য নারীসহ সুখভোগ বঙ্কিম বাবুর ভাল লাগিল না। তৃতীয় কারণ বা প্ৰধান কারণ এই যে, বঙ্কিম বাবু হিন্দুধৰ্ম্মের কোন অংশই এককালে মিথ্যা ও у о