পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ বৈশাখ দূত্র আজিও সুশিক্ষিত হই নাই। আমি এখনও আমার ঝাড়ু দ্বারের সঙ্গে একত্র বসিয়া খাইতে অনিচ্ছুক, তাহার কন্যা বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক, এবং যে গালি শিরোমণি মহাশয় দিলে নিঃশব্দে সহিব, ঝাড়ুদারের কাছে তাহা সহিতে অনিচ্ছুক। সুতরাং আমার জাতি থাকুক। বিধবা বিবাহ করে করুক, ছেলে পুলের আইবুড় থাকে থাকুক, কুলীন ব্ৰাহ্মণ এক পত্নীর যন্ত্রণায় খুশী হয় হউক, আমার আপত্তি নাই ; কিন্তু তাহার পোষকতায় লোকের কি হিত হইবে, তাহা আমার বুদ্ধির অতীত।” আমাদের দেশীয় বিবাহ প্ৰথা অর্থাৎ পিতামাতা পাত্ৰপাত্রী স্থির করিয়া যে বিবাহ দেন, তাহা যে ভাল, তাহা বঙ্কিমবাবু অনেক গুলি চিত্রে দেখাইয়াছেন ; কমল ও শ্ৰীশ তাহার মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট । নির্বাচন প্রথানুসারে মিলিত কয়টি দম্পতী শ্ৰীশ ও কমলের ন্যায় প্রণয়সম্পন্ন ? ভ্ৰমর ও গোবিন্দলাল এবং সুৰ্য্যমুখী ও নগ্ৰেন্দ্রের মধ্যে যে মালিন্য জন্মিয়াছিল, তাহ দেশীয় বিবাহপ্রথার দোষে নহে, নির্বাচনপ্ৰথায়ও যে যে দোষ আছে, তাহা তাহদের প্রথম অবস্থার সুচরিত্র ও গাঢ় প্রণয় দ্বারা বুঝাইয়া দিয়াছেন। অমরনাথ, প্ৰতাপ ও শৈবলিনীর চিত্র দ্বারা বরং নির্বাচন প্রথার দোষই দেখাইয়াছেন। ঐ চিত্রগুলি দ্বারা ইহাও দেখাইয়াছেন, যে অধিক বয়সে বিবাহ হইলে, যুবক যুবতী পিত্ৰাদির অনভিমত পাত্ৰে মন অর্পণ করিয়া চির দুঃখী হয়। রজনী যে অন্ধ, তাহার চিত্ত ও শচীন্দ্রনাথ রূপ অমূল্য রত্ন প্রার্থনা করিয়াছিল। দৈব অনুকুল ছিল বলিয়াই, রজনীর কুফল ফলিল না, নচেৎ রজনী ত জলে ঝাঁপ দিয়াছিল। কুন্দনন্দিনী ভিন্ন আর কোন বিধবারই বিবাহের কথা বঙ্কিম বাবুর কোন পুস্তকে নাই। কিন্তু কুন্দকে তিনি বিষবৃক্ষের মূল বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন, এবং যাহাতে উহা না ঘটে, তজন্য প্রথম হইতেই, কুন্দকে সাবধান করিতেছেন-স্বপ্নযোগে মাতাকে দেখাইয়া তাহাকে দিয়া সাবধান করিয়া দিয়া আসিয়াছেন। মন্ত্ৰ পাঠ হইলেই যে, বিবাহ সম্পন্ন হয় ও সে বিবাহ আর কখন ছোদনযোগ্য নয়, তাহা মনোরমার ও হিরন্ময়ীর চিত্রে দেখাইয়াছেন। মনোরমা তাদৃশ পতির ও সহগামিনী হইলেন এবং হিরন্ময়ী যখন জানিলেন, প্রিয় পুরন্দরই বিবাহের পতি, তখন তঁহাকে গ্ৰহণ করিলেন। ব্ৰজেশ্বরের উদাহরণে হিন্দুর পিতৃভক্তি দেখাইয়াছেন। পাশ্চাত্য মত এই যে, পিতার হ্যায়সঙ্গত আজ্ঞা পালন করিবে ; অর্থাৎ পিতা ভাল হইলে তঁহাকে ভক্তি করিবে, নচেৎ পিতা ভক্তির পাত্ৰ নহেন। কিন্তু ইহাকে পিতৃভক্তি বলে না, ইহার নাম গুণভক্তি। ন্যায্য কথা কেবল পিতার কেন, সকলেরই ন্যায্য বাক্যে পালন করিতে হয়। গুণবান হইলে সকলেই ভক্তির পাত্ৰ হয়। হিন্দু বলেন, যত গুণদোষাভাবাপন্ন হউন, পিতা, পিতা ভিন্ন আর किहूछ्रे BDBDB S BDB BBL BBuD KDuD DDuDS KE SS BDD DBD DDBD BDBB BDB ভুল বাসিয়াছিলেন, পিতার আজ্ঞায় সে স্ত্রীকেও ত্যাগ করিলেন। তাহার বিচ্ছেদে তাহার প্ৰাণান্ত হইবার সম্ভাবনা হইয়াছিল, তথাপি পিতার প্রতি তাহার অশ্রদ্ধা হয় নাই। পরে