পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চদশ ভাগ).pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R সাহিত্য পরিষৎ-পত্রিকা [ ১ম সংখ্যা প্ৰাদেশিক ভাষার মত ) শব্দসংযোগ প্ৰণালী (agglutination) বেশি দেখিতে পাওয়া যায় । বঙ্গদেশে যখন আৰ্য সভ্যতা বিস্তৃত হয়, তখন দ্রাবিড় জাতি ও মঙ্গোলিয় জাতিতে দেশ পরিপূর্ণ ছিল। তাই বলিয়া যে দ্রাবিড় ভাষার শব্দসংযোগ রীতি হইতেই নুতন পরিবর্তন ঘটিয়াছিল, তাহা মনে হয় না। অনেক ভাষাই যে কালৰশে প্ৰত্যয় পরিহার করিয়া শব্দসংযোগে বৰ্দ্ধিত e3, 32ifies as (A. H. Kean's Ethnology ) Giffe SS site stats eart উদাহরণ আছে । যে সকল অবস্থায় বঙ্গ ভাষায় বিকাশ, তাহার সমালোচনা ভিন্ন যথার্থ তথ্য নির্দিষ্ট হইতে পারে না । O এ সকল তথ্য জানিবার পূৰ্ব্বে কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ের অনুসন্ধানের প্রয়োজন • বঙ্গভাষায় যত “দেশী’ কথা আছে, যথাসাধ্য তাহার মূল আবিষ্কার করিতে পারিলে, এ ভাষার উপর অন্যান্য জাতির ভাষায় কতটুকু প্রভাব ছিল, তাহা কিয়ৎপরিমাণে বুঞ্চিত পারা যায়। এই একটি ক্ষুদ্র কাৰ্য্যের উদ্যোগেই যে অনেক পরিশ্রম করিবার আছে। ভবিষ্যৎ পণ্ডিতেরা তথ্য আবিষ্কার করিবেন ; এ যুগে পথ পরিষ্কারের উদ্যোগ হউক এবং উপকরণ সংগ্ৰহ চলুক । e প্রাচীন মাগধী প্ৰাকৃতেও এমন অনেক শব্দ পাওয়া যায়, যে গুলির আমদানি প্ৰতিবেশী আৰ্য্যেতার ভাষা হইতে । সংস্কৃত রচনায় দেশী শব্দ প্ৰয়োগ করিলে পাতক হয় বলিয়া ১৪০ খৃষ্ট পুর্বের মহাভাষ্যে উল্লেখ আছে। এই বিধি হইতেই মহাভাষ্যের সময়ের পূর্বের সংস্কুতে ও বিধি-বিরোধ ছিল, এইরূপ সুচিত হয়। “ক্ক; যুয়ং তীর্ণাঃ ?”, “কঃ যুয়ং কৃতবন্তঃ ?”, “ক যুয়াং পািকবন্তঃ ?” প্ৰভৃতির তীর্ণ, কৃতিবন্ত, এবং পাকবস্তের স্থলে, যে প্ৰাকৃত ভাষায় ‘তেরে’, ‘চক্র”, এবং ‘পেচে” প্রভৃতি অপভ্রংশ ব্যবহৃত হইত, সে প্রাকৃতের কোন নিদর্শন গাই না ; কিন্তু বুঝতে পারি, যে অশোকের সময়ের প্রাকৃত ঐ সময়ে যথেষ্ট পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। অপপ্ৰয়োগের দৃষ্টান্তে অনেক প্রাদেশিক অপপ্রয়োগও প্ৰদৰ্শিত আছে ; যথা— কাম্বোজ এবং, সুরাষ্ট্রে ‘রংহতি’র স্থলে “হম্মতি” ব্যবহৃত হইত। আমরা যেমন সাহিত্যের মার্জিত ভাষার প্রভাবে বঙ্গের বিভিন্ন উপ-প্রদেশের অপপ্রয়োগ তিরোহিত করিয়া ভাষার এক্তিতা সাধন করিতে চেষ্টা করিতেছি, সংস্কৃত সাহিত্য দ্বারাও ঐ কাৰ্য সাধনের চেষ্টা হইয়াছিল। এ কালের ইংরেজি সাহিত্যের ভাষা, অনেক প্ৰাদেশিকতা নষ্ট করিয়া, ভাষার গৌরব।” दांफुाशेशांप्छ । =হুবিধা অনুসারে ভাষায় যে প্রকারে শব্দসংকোচ করিবার প্রবৃত্তি আছে, তাহা মহাভাষ্যকার দোষযুক্ত মনে করেন নাই। সুভদ্রার স্থলে ভদ্রা, দেবদত্তের স্থলে দত্ত, সুপ্ৰয়োগ না। হইলেও অব্যবহাৰ্য্য বলা হয় নাই। প্রাদেশিক উচ্চারণের ফলে যে বৰ্ণব্যত্যয় ঘটে, তাহা অগ্ৰাহ বলিয়া উক্ত হইয়াছে। বাতাসাকে বাসাত বলিলে, আমরাও তাহা সাহিত্যে গ্ৰহণ করি না। কিন্তু যে সকল বৰ্ণব্যত্যয় হইতে শব্দের স্বাতন্ত্র্য এবং অর্থব্যত্যয় ঘটিয়াছিল, BDDDSDBBDDB BDK KuB BDBlDDDS DgJYB DDuDuD uDBSDBD DDBD BBBS BDuDBD