পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ 8थ न९१f "سواد কারণ একই বস্তু একই কালে।” সন্মুখপ্রবণ ও অন্তৰ্নিষ্ঠ উভয়ই হইতে পারে। প্রাণায়ামের । কুম্ভক প্রক্রিয়াস্থলে একই শ্বাস অস্তনিষ্ঠও বটে এৱং সম্মুখপ্রবণও বটে। তবে যদি প্ৰবন্ধকার “প্ৰ’র অর্থ বহিৰ্নিষ্ঠত ও'নি’র অর্থ অন্তর্নিষ্ঠিতা বলিতেন, তাহা হইলে কথঞ্চিৎ বিরোধ থাকিতে পারিত, সে বিরোধও দর্শনশাস্ত্রানুমোদিত বিরোধ নহে। দার্শনিকেরা যাহাকে বিরোধ বলেন, তাহাতে ভাব ও অভাব এই দুইটী কোটি থাকে, যেমন অন্তৰ্নিষ্ঠতা, অনন্তৰ্নিষ্ঠতা, সম্মুখপ্রবণতা, অসম্মুখপ্রবণতা। এরূপ স্থলেই দার্শনিকেরা বিরোধ স্বীকার করেন। (২) “প্ৰশ্বাস” শব্দের এক্ষণে পরীক্ষা আবশ্যক । উহার অর্থ “শ্বাসত্যাগ” বা “ত্যক্ত শ্বাস” সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। তবে ঐ অর্থের মধ্যে সম্মুখ প্রবণতা’, রূপ “প্র’র অর্থ আছে কিনা তাহাই অনুসন্ধেয়। " প্ৰবন্ধকারের অর্থের অনুসরণ করিলে “প্ৰশ্বাস’ শব্দে ‘সম্মুখপ্রবণতাবিশিষ্ট শ্বাস অর্থাৎ ‘সম্মুখপ্রবণ-শ্বাস” বুঝাইবে । সম্মুখপ্রবণ-শ্বাসের অর্থ বোধ হয় এইরূপ, যে শ্বাসের গতি স্বভাবতঃ সম্মুখের দিকে অর্থাৎ যাহা স্বভাবতঃ সম্মুখের দিক দিয়া প্রবাহিত হয়। এক্ষণে জিজ্ঞাস্য এই যৈ, এ কোন শ্বাস ? যে শ্বাস আমরা শ্বাদ্যযন্ত্র হইতে বাহিরে ত্যাগ করি ? না। যে শ্বাস আমরা নাসারন্ধ্যাদি দ্বারা শ্বাসঘন্ত্রে গ্রহণ করি ? কারণ আমরা ত দেখিতেছি যে, উভয়বিধ শ্বাসেরই স্বাভাবিক গতি বা প্রবণতা সম্মুখের দিকে ; কারণ সম্মুখেতর কোন দিক্‌ দিয়া শ্বাস প্ৰশ্বাস গ্ৰহণাদির কথাত এপৰ্যন্ত শুনা যায় নাই। এস্থলে হয়ত প্ৰবন্ধকার বলিবেন, আমি ত বলিয়াছি “প্র’র ইংরাজি অর্থ Forth এবং প্রশ্বাস শব্দের অর্থ breathing forth, তাহাতে ব্যক্তিব্য এই যে, প্রথমতঃ “Forth” শব্দের নানা অর্থ, ঐরূপ নানার্থ শব্দ দ্বারা শব্দান্তরের অর্থের পরিচয় বৈজ্ঞানিক প্রণালীসন্মত নহে। দ্বিতীয়তঃ ‘প্রশ্বাস” এই শব্দস্থলে “প্র’ অর্থ . Forth.’ বলিলে একরূপ অর্থ সঙ্গতি হইলেও, প্রকৃত, প্ৰহত, প্রলীন, প্ররূঢ় প্রভৃতি শত শত স্থলে অসঙ্গতি লক্ষিত হয়। তৃতীয়তঃ তিনি স্বয়ংই যখন অনুগম (generalisation) করিয়া “প্র’র অর্থ সন্মুখ-প্রবণতা স্থির করিয়াছেন, তখন সেই অর্থের সর্বত্র সঙ্গতি হইল। কিনা তাহাই বিচাৰ্য ও তদনুসারে আমরা ঐ অর্থেই সঙ্গতি আছে কি না, তাহা দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছি। অতএব দেখা গেল, প্রথম দুইটী উদাহরণের মধ্যে ‘নি'র উদাহরণটা প্ৰবন্ধকার মহাশয়ের প্রতিকূল ও ‘প্ৰ’র উদাহরণটীও অনুকুল নহে। সূক্ষ্ম বিচার পরিত্যাগ করিলেও, ‘সম্মুখপ্রবণশ্বাস বলিলে শ্বাস বা প্রশ্বাস কোনটীরই পরিচয় দেওয়া হয় না । অতঃপর আমরা প্ৰসঙ্গতঃ প্ৰাচীন শব্দাচাৰ্য্যদিগের মতে “প্ৰশ্বাস” এই শব্দস্থ ‘প্র’ পদের অর্থ কি তাহা দেখাইতে চেষ্টা করিব। “প্ৰাদয়ে গত্যাদার্থে প্ৰথময়া” এই বাৰ্ত্তিক সুত্রানুসারে ‘প্ৰশ্বাস” • এই শব্দের অন্তর্গত 'প্ৰ' উপসর্গের অর্থ ‘প্রগত", অর্থাৎ প্রশ্বাস কিনা প্ৰগত শ্বাস। এস্থলে 'প্ৰগত এই পদের অর্থ কি, তাহ অনুসন্ধেয়। যাস্ক বলেন, “আ ইত্যর্বগর্থে প্র পরেত্যেতস্ত প্ৰাতিলোম্যে” [ যাস্ক প্ৰথমাধ্যায় প্রথম পাদের শেষ ]। টীকাকার দুর্গাচাৰ্য্য ইহার এইরূপ ব্যাখ্যা করেন, “প্রাপরা ইত্যেতাবুপসর্গেী। এতস্ত আঙোহর্থস্য প্রতিলোম্য মাহতুঃ প্ৰগতঃ পরাগতাঃ” অৰ্থাৎ আ’’ এই উপসর্গের অর্থ নৈকট্য, “প্রী ও পরা’ এই দুই উপসর্গে ঐ অর্থের