পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈন। ১৩• * ! ] উপসর্গের অর্থবিচার নামক প্ৰবন্ধের সমালোচনা ৷৷ ২৩৯ -বিপরীত দূরত্ব'রূপ অর্থ প্ৰকাশ কয়ে। যাস্কের মতে অনেক স্থলে ‘আ’’ এই উপসর্গের সহিত “প্র” ও “পরা’ এই দুই উপসর্গের ভুখণত প্ৰাতিলোম্য অর্থাৎ প্রতিকুলত লক্ষিত হয়। • যেমন মুগত শব্দে যে কাছে আসিয়াছে তাহাকে বুঝায় ও প্ৰগত বা পরাগত বলিলে যে নিকট হইতে দুরে গিয়াছে তাহাকে বুঝায়, যেমন প্ৰপৰ্শ (প্রপতিত পৰ্ণ)—অর্থাৎ যে পত্ৰ পড়িয়া গিয়াছে, বৃক্ষ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া দুরে গিয়াছে। প্রবাস অর্থাৎ ‘দুরে বাস, , সম্মুখপ্রবণ বাস বা যে বাসের লক্ষ্য সম্মুখের দিকে এরূপ বাস নহে। প্ৰণাত “অর্থাৎ উৎপত্তিস্থান হইতে দূরে পাত, যেমন জলপ্রপাত, সম্মুখ প্রবণ পতন নহে। প্রণায়ক অর্থাৎ মে নায়ক চলিয়া গিয়াছেন অর্থাৎ যে স্থানে পূর্বে ছিলেন, সে স্থান হইতে দুরে গিয়াছেন। (১।৪৫৯ “পাণিনিসূত্রের ব্যাখ্যায় কাশিকাকার প্রনায়কো দেশঃ • এই প্রয়োগের ‘প্ৰাগতো নায়কোহাম্মাৎ দেশাৎ’ অর্থাৎ যে দেশ হইতে নায়ক চলিয়া গিয়াছেন এইরূপ অর্গ করিয়াছেন । উদাহরণটাতে ‘আ’র প্রাতুিলোম্য রূপ ‘প্র’র অর্থ পরিস্ফট বলিয়া উহা উদ্ধৃত হইয়াছে। প্রস্থান-দূরে যাওয়া, প্রচারু-দূরে চরণ বা ব্যাপুন, • প্ৰয়াণ = দূরে গমন, প্ৰেতি = দূর গত, অর্থাৎ এই জগৎ হইতে বহু দূরে গিয়াছে, আর ফিরিবেন। অর্থাৎ মৃত ৷ ইত্যাদি নানাস্থলে প্ৰ’র এই দুরত্ব রূপ অর্থ স্পষ্ট লক্ষিত হয়। তদনুসারে “প্ৰশ্বাস” অর্থ ‘প্ৰগত শ্বাস” অর্থাৎ “যে শ্বাস দেহ হইতে চলিয়া গিয়াছে’ অর্থাৎ পরিত্যক্ত শ্বাস” বুঝায়। উপরিউক্ত স্থলসমূহে প্ৰবন্ধকারের উদ্ভাবিত অর্থ অনুগত করিতে চেষ্টা করা বিড়ম্বনামাত্র। এস্থলে জিজ্ঞাস্ত এই যে, তবে কি যাঙ্কোক্তি আঙের প্রাতিলোম্যরূপ অর্থই “প্ৰ’র একমাত্র অর্থ, ঐ অর্ষ দ্বারা কি সকল প্রয়োগের সমাধান করা য়াইবে ? প্ৰখ্যাত, প্ৰকাশ, প্ৰদীপ্ত, প্ৰতনু, প্ৰধ্বংস, প্ৰক্ষালিত প্ৰভৃতি শত শত স্থলেও কি “প্র’র অর্থ দূরত্ব হইবে ? দুর্গাচাৰ্য উত্তর করেন না” । “অনেকাৰ্থত্বেহপি . সত্যুপসৰ্গনাং একৈকোহর্থঃ উদাহরণত্বেনেচ্যতে অর্থবত্ব প্ৰকাশনাৰ্থং” অর্থাৎ উপসৰ্গসমূহের নানা অর্থ থাকিলেও এস্থলে কেবল অর্থপ্রদর্শনাভিপ্ৰায়ে এক একটী মাত্র অর্থ প্ৰদৰ্শিত হইল। ইহার ও তাৎপৰ্য্য এই যে, কেবল “আঙের অর্থ নিকট’ ও ‘প্র ও পরার” অর্থ “দুৱ’ এরূপ বলিলে সকল প্ৰয়োগোরু উপপত্তি হইবেন। উপপত্তি সম্ভব হইলৈ প্রাচীনের উপায়ুর্গের নানার্থতা স্বীকার করিতেন না। প্রখ্যাত প্রভৃতি উপরি উক্ত স্থল গুলিতে ‘প্র’র সম্মুখ-প্রবণতারূপ অৰ্থ একেবারেই লাগে না। দুই একটা উদাহরণ লইয়া দেখা যাউক । প্রতনু - অত্যন্ত তন্তু অর্থাৎ ক্ষীণ ; প্ৰবন্ধকারের মতে উহার অর্থ সম্মুখ-প্রবণ তনু। প্রধ্বংস শব্দের অর্থ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস; কিন্তু - প্ৰবন্ধকারের মতে উহার অর্থ সম্মুখ-প্রবণ ধ্বংস। অথাৎ তাহার মতানুসরণ করিলে, ঐ সকল শব্দের অর্থবোধ এক প্রকার অদম্ভব হইয়া উঠে। উপরি উক্ত স্থল গুলিতে “পণ্ডিত মহাশয়দিগের” পরিগৃহীত ‘প্রকৃষ্ট রূপ”; অৰ্থই সংলগ্ন হয়। ‘প্রখ্যাত” অর্থাৎ ‘প্রকৃষ্টরূপ বাঁ, ভালরূপ খ্যাত,” প্ৰক্ষালিওঁ৷” অর্থাৎ “ভাল করিয়া ক্ষালিত’। ফল কথা রূঢ় প্রয়োগ ব্যতীত অন্য সকল স্থলেই ‘প্ৰ’র ‘প্রকৃষ্ট’ রূপ অর্থ অনায়াসেই সংলগ্ন হয়, ইহা সংস্কৃতবিৎ পণ্ডিতমান্ত্রেই अयोऊ अicछन । .لم VOX