ཅནཙ༠༤ ইতিহাস-রচণার প্রণালী। Rås i প্রভাবে, যাহাঁদের অপরিসীম। স্বাৰ্থত্যাগে, যাহাদের সংগৃহীত জ্ঞানে স্বদেশ গৌরবান্বিত হইয়াছে এবং স্বদেশীয়গণ নানাবিষয়ে অভিজ্ঞ হইয়া উঠিয়াছে ; আঁহারা স্বদেশে আধুনিক *কৃতবিদ্য লেখকগণ অপেক্ষা অধিকতর সন্মানিত ও পুরস্কৃত হইতেন। ফুিরিদোতল আপনার ইতিহাস পাঠ করিয়া সমগ্ৰ গ্ৰীশে জয়পত্ৰে শোভিত *হইয়াছিলেন । পিলোপনিসাসের • যুদ্ধে এথেন্সের সৈনিকগণ সিসিলিতে পরাজিত হইলে বৃন্দীদিগের প্রতি মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়। যে সকল বন্দী এথেন্সের প্রসিদ্ধ কবি ইউরিপাইদিসের কবিতার আবৃত্তি করিতে পারিয়া ছিল, তাহারা মৃত্যুমুখে পাতিত হয় নাই। বিজেতারা এথেন্সের প্রসিদ্ধ কবিকে সম্মানিত করিবার জন্য এইরূপ দিয়া প্ৰদশন করিয়াছিল । প্ৰাচীন কালের ঐতিহাসিক কবি প্ৰভৃতি এইরূপে সম্মানিত হইতেন । কল্পনার প্রাধান্তসমযেও ইতিহাসের সম্মান এইরূপ অক্ষুন্ন ছিল । এখন সভ্যতাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানের উন্নতি হইতেছে। বৈজ্ঞানিক গ্ৰন্থাবলীর সহিত যেরূপ দৰ্শন, রাজনীতি সমাজনীতি’ প্রভৃতি বিষয়ে নানাগ্ৰন্থ প্ৰণীত ও প্রচারিত হইতেছে, সেইরূপ ইতিহাসও সাহিত্যক্ষেত্রে “স্থানপরিগ্ৰহ করিতৃেছে। পাশ্চাত্যশিক্ষায় এখন আমাদের সাহিত্যক্ষেত্রেরও অবস্থান্তর ঘটয়াছে । আমাদের মধ্যে ইতিহাস প্ৰভৃতির অনুশীলন হইতেছে । সাহিত্য-সংসারের কৰ্ম্মবীরগণ কেবল কল্পনা রাজ্যে বিচরণ না করিয়া প্ৰকৃত ঘটনার আলোচনাতে মনোনিবেশ করিতেছেন। এখন বঙ্গীয় সাহিত্যের যেরূপ অবস্থান্তর দেখা যাইতেছে, তাহাতে ইতিহাসসম্বন্ধীয় লিপি প্ৰণালীর আলোচনা বোধ হয় অসাময়িক বলিয়া বোধ হইবে না । • শ্রোতার মন অন্নপনার দিকে আকর্ষণ করা যেমন বাগামীর প্রধান কৰ্ত্তব্য, সেইৰূপ মানবজাতির শিক্ষার জন্য সৰ্ব্বক্ষণ সত্যের সম্মান রক্ষা করা ঐতিহাসিকের প্রধান কাৰ্য্য । ইতিহাসলেখক যে বিষয়ের বর্ণনায় প্ৰবৃত্ত হইবেন, তঁহাকে সেই বিষয়টি পাঠকের হৃদয়ে অঙ্কিত করিয়া দিতে হইবে । তিনি পক্ষপাতের বশীভুত হইবেন না, অতিরঞ্জনদোষ প্ৰকাশ করিবেন না, কোন বিষয় অস্পষ্টভাবে রাখিবেন না, বা কোন বিষয়ে সত্যের সীমা অতিক্রম করিয়া, চাপল্যের পরিচয় দিবেন না। ঐতিহাসিক সৰ্ব্বক্ষণ ধীরতা ও গাৰ্ত্তীৰ্য্য রক্ষা করিয়া, কৰ্ত্তব্যপথে অগ্রসর হইবেন । তিনি আপনার বর্ণনীয় চিত্রে কল্পনার প্ৰশ্ৰয় দিবেন না। তাহার গন্তব্যপথ যেরূপ সরল, সেইরূপ আবৰ্জনাশূন্য হইবে । তিনি এরূপ ধীরভাবে এবং এরূপ অপক্ষপাতে অতীত ঘটনাবলী ও লোকচরিত্রের বর্ণনা করিবেন যে, , পাঠকের হৃদয়ে যেন মানবপ্ৰেকৃতির প্রকৃত ও সুস্পষ্ট চিত্র অঙ্কিত হয়। cदवढ् কতকগুলি ঘটনার সন্নিবেশ ইতিহাস বলিয়া, পরিগণিত হয় না | র্যাহারা কেবল সময় নির্দেশপুৰ্ব্বক ঘটনাবলীর তালুিকা প্ৰস্তুত করেন, তাহারা ইতিহাসের তত্বজন্তু নহেন। প্রকৃত ইতিহাস লোকসমাজের দুর্পণস্বরূপ। মানবপ্রকৃতি সম্বন্ধে পাঠকের দুরূদৰ্শিতার বিস্তার করা, এবং মানবের কার্য্যপরম্পর সম্বন্ধে পাঠকের বিচার শক্তিয় উন্মেষ করা ইহার উদ্দেশ্য । ইহা যেমন জাতীয় জীবনের পরিজ্ঞান সম্বন্ধে আমাদের সঙ্গোব্য
