88 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । - ७ ज९थJ । বলিনা, তাহার স্থলে কামড়ানি, কটকটনি বলিয়া থাকি। অর্থাৎ আন প্ৰত্যয়ের উত্তর আ প্ৰত্যয় না করিয়া ই প্ৰত্যয় করিয়া থাকি । “অন” প্ৰতায়ের উত্তর “ই” প্ৰত্যয় একমাত্রিকেও হয়। যথা, মাতনি ( মাতুনি), বাধনি (বাঁধুনি), জলনি (জলুনি ), কঁপনি (কঁপুনি), দাপািন ( দাপুনি), অ্যাটনি (আঁটুনি)। মূল ধাতুটি হলন্ত কিম্বা আকারান্ত, তাহা এই অন+ই প্রতায়ের সাহায্যে জানা যাইতে পারে। তাকনি না হইয়া তাকানি হইয়াছে, তখন বুঝিতে হইবে মূল ধাতুটি তাকা । এই রূপ আছড়া, চটকা, কামড়া ইত্যাদি । অন+ই প্ৰত্যয়সিদ্ধ অধিকাংশ ক্রিয়াবাচক শব্দই অপ্রিয় ভােব ব্যক্ত করে। যথা, বকুনি, ধমকানি, চমকানি, হাঁপানি, শাসনি, টাটানি, নাকানি চোৰানি, কঁাদুনি, জ্বলুনি, কঁপুনি, ফোস্লানি, ফোঁপানি, গোঙানি, ঘ্যাঙানি, খ্যাচ কানি, কেঁচ কানি (ভুরু ), বাকানি (মুখ ), খিচুনি ( দাঁত), খ্যাকানি, ঘসূড়ানি, ঘুরুনি ( চোখ ), চাপুন, চেচান, ভাঙনি (মুখ ), রাগড়ানি, রাঙানি ( চোখ ), লাফানি, ঝাপানি । ব্যতিক্রম-বাধুনি ( কথার ), শুনানি, দুলুনি, বুনুনি ( কাপড় বা ধান ), वांछनि ( लांछाछे ) । ধ্বন্যাত্মিক শব্দের মধ্যে যেগুলি অসুখ ব্যঞ্জক, তাহার উত্তরেই অন+ই প্ৰত্যয় হয়। যথা-দবদেবানি, ঝনঝনানি, কনকননি, টনটনানি, ছটফটানি, কুটকুটুনি ইত্যাদি । অন+ই প্ৰত্যায়ের সাহায্যে বাংলার কয়েকটি পদার্থবাচক বিশেষ্যপদ সিদ্ধ হয় । দৃষ্টান্ত-ছাকনি, নিড়নি, চালুনি, বিননি ( চুলের), চাটনি, ছাউনি, নিছনি, তলানি (তরলপদার্থের তলায় যাহা জমে ) । ব্যক্তি ও বস্তুর বিশেষণ :-রাধুনি (ব্রাহ্মণ), ঘুম-পাড়ানি, পাট-পচানি ইত্যাদি। あT| 空 5j項 | না প্ৰতায় যোগে বর্ণের বিশেষ পরিবর্তন হয় না। পাখা, পাখনা ; জাব ( গরুর ) । জাবনা ; ফাত (ছিপের ) ফাৎনা ; ছোট ছোটনা (ধান ) । अनां । বাবুয়ানা, সাহেবিয়ানা, নবাবিয়ানা, মুন্সিয়ানা । ই প্ৰত্যয় করিয়া হিঁদুয়ানি । ल थड)श् । ছাগল, পুতুল, কঁাকড়োল (কঁকুড় হইতে ), হাবল, খাবল, পাগল (পাকিল, পাক অৰ্থাৎ ঘুর্ণাবিশিষ্ট ), হাতল, মাতাল ( মত্ত হইতে মাত ) ৷ র। প্ৰত্যয় । বাঙলা ধ্বস্তাত্মক শব্দের উত্তর এই র প্রত্যয়ে অবিরামতা বুঝায়। যথা গজগজ
