Gło সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । | ७ग्र न६थ]| । য়াছে, তেমনি আংি প্রত্যয় করিয়া বড়াং হইয়াছে—মূল শব্দটি বড়, পাতায় দুইটি আই ও অ্যাং । প্ৰত্যয়গুলি কি ভাবে লিখিত হওয়া উচিত, তাহাও বিচারের দ্বারা ক্ৰমশঃ স্থির হইতে পরিবে। যাহাকে অস্ প্ৰত্যয় বলিয়াছি, তাহা অস্ অথবা অ-বৰ্জিত, সাঁ প্ৰত্যয়টি স্+অ), অথবা সা, এ সমস্ত নিৰ্ণয় করিবার ভার ব্যাকরণবিৎ পণ্ডিতদের উপর নিক্ষেপ করিয়া আমি বিদায় গ্ৰহণ করিলাম । শ্ৰী রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর। চরক ও সুশ্রুতের সময় নিরূপণ । । (সাহিত্য-পরিষদের মাসিক অধিবেশনে পঠিত ) ৷ আয়ুৰ্ব্বেদভাণ্ডারে চারক এবং সুশ্রুত এই দুই বিশাল গ্ৰন্থ দুইটি অমূল্য রত্ন । বহুকাল হইতে এই দুই রত্ন ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে বটে, কিন্তু এখনও ইহাদের প্ৰভা মলিন হয় নাই । উভয় গ্রন্থে শারীর তত্ত্ব, রোগের নিদান, ভৈষজ্য তত্ত্ব, রোগের চিকিৎসা, স্বাস্থ্যবৃত্তি, ধাত্রীবিদ্যা, প্ৰভৃতির মূলতত্ত্ব যথাসাধ্য আলোচিত হইয়াছে । জ্ঞানলিপি সু স্বাধীনচেতা ঋষিগণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আলোচনার যে পথ আবিষ্কৃত করিয়াছিলেন, তাহা যদি অবাধে চলিতে পারিত, তবে বর্তমান সময়ে আমাদের জ্ঞানোন্নতির এরূপ অবস্থা হইত না । চরক সাৰ্বাঙ্গিক চিকিৎসার এবং সুশ্রুত শারীর তত্ত্বের * যে সমস্ত মূল সূত্র আলোচনা করিয়াছিলেন, পরবর্তী চিকিৎসকগণ যদি স্বাধীনভাবে তাহার উন্নতির জন্য চেষ্টা করিতেন, তাহা হইলে এই ভারতবর্ষে চিকিৎসা শাস্ত্রের অভূতপূৰ্ব্ব উন্নতি হইতে পারিত । দুর্ভাগ্যক্রমে স্বাধীন চিন্তাশ্রোত এবং অনুসন্ধানপ্ৰিয়তা এই দেশ হইতে দেশান্তরে চলিয়া গেল । চর্যাক সুশ্রুতের চিকিৎসা ও শারীর তত্ত্ব বর্ণনা করা এই প্ৰস্তাবের উদ্দেশ্য নহে। বর্তমান প্ৰস্তাবে চরক সুশ্রুত কোন সময়ে বিদ্যমান ছিলেন, যথাসম্ভব তাহারই আলোচনা করা যাইবে । দুঃখের বিষয় ভারতবর্ষের ধারাবাহিক ইতিহাস না থাকায় এই বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হওয়া একরূপ অসম্ভব। তথাপি পরবর্তী শাস্ত্ৰাদির আলোচনা করিয়া প্ৰস্তাবিত বিষয়ে যতদূর অগ্রসর হওয়া যায়, তজ্জন্য চেষ্টা করা পশুশ্রম নহে। তাম্রশাসন ও তিব্বতের ইতিহাস দ্বারা নির্ণীত হইয়াছে যে চরক সুশ্রাতের টীকাকার এবং স্বনামপ্ৰসিদ্ধ সংগ্ৰহকার মহামতি চক্ৰপাণি দত্ত খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর প্রথমাৰ্দ্ধে YS KDD BDYY LDiSiBDBD DDDDLS
