পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ).pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৮ } बांत्रिष्ठ वकद्रणीं । RR\9 আমি যে ব্যাকরণের কথা বলিতেছি, তাহার উদ্দেশ্য নিয়মরচনা নহে ; নিয়ম প্ৰণয়ন নহে ; নিয়ম আবিষ্কার । ভাষার মধ্যে অজ্ঞাত অপরিচিত নিয়ম বৰ্ত্তমান আছে ; সেই নিয়ম খুজিয়া বাহির করিতে হইবে। নিয়ম সকল ভাষাতেই আছে। সংস্কৃতে, প্ৰাকৃতে, লাটিনে, হিন্দীতে, বাঙ্গালাতে, ধাঙ্গড়ের ভাষায় ও সাওতালের ভাষায় । সর্বত্র আছে । কেননা অনিয়ত, শৃঙ্খলারাহত ভাষা চিন্তার অগোচর। নিয়ম আছে ; তবে বিনা অন্বেষণে তাহ বাহির হইবে না। আবার নিয়ম সাহিত্যের ভাষাতে আছে, লোকক ভাষাতেও আছে। কথাবাৰ্ত্তার ভাষা অনেকটা বন্ধনশূন্য বলিয়া বোধ হয়, কিন্তু বস্তুতই কি তাহা শৃঙ্খলাবৰ্জিত ? অসম্ভব। প্ৰাদেশিক লৌকিক ভাষার মধ্যেও নিয়ম আছে। অন্বেষণ কর বাহির হইবে । অবজ্ঞা করিওনা ; পরিশ্রমে কাতর হইওনা । DBDBBS DDBD DDD BBBBS BD DBDD BDBBDB DBDDB BDB DBSDDB BD D লৌকিক ভাষার উন্নত প্ৰতিরোধ করিবে, ইহা বুঝলাম না। ভাষা স্বাভাবিক নিয়মে পরিাণত ও পরিবর্তিত হইবে, ব্যাকরণও নূতন নূতন রূপ গ্ৰহণ করিবে, তাহাতে ভয় কি ? প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞানেও ত তাহাঁই দেখি। আমাদের এই অতি প্ৰাচীন বসুন্ধরার মূৰ্ত্তি যুগ ব্যাপিয়া পরিবর্তিত হইতেছে। এই পরিবর্তনের নিয়ম আবিষ্কার যে বিজ্ঞানের কাৰ্য্য, সেই বিজ্ঞানের নাম ভূবিদ্যা। লক্ষ বর্ষ বা কোটি বর্ষ পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা যেরূপ ছিল, এখন ঠিক সেরূপ নাই। সে সময়ে পার্থিব ঘটনা যে যে নিয়মে সঙ্ঘটিত হইত, এখন সে সে নিয়মে হয় না ; আবার বহু বৎসর পরে, যখন সুৰ্য্যের তাপ মন্দীভূত হইবে, যখন দিবাভাগের পরিমাণ বাড়িয়া যাইবে, যখন চন্দ্রের আকর্ষণ মন্দ হইবে, তখন আর ঠিক বৰ্ত্তমান নিয়মে পার্থিব ব্যাপার ঘটবে না। কিন্তু ভূতাত্ত্বিকেরা বৰ্ত্তমান কালের নিয়ম আবিষ্কার করেন বলিয়া ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের রোধ হয় না । ভাষার পক্ষেও সেই কথা । পাণিনি ব্যাকরণ রচনা করিয়া সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তন রোধ করিতে পারেন নাই । সংস্কৃত ভাষা স্বাভাবিক নিয়মেই অপ্ৰচলিত হইয়া গিয়াছে ; অথবা রূপান্তরিত হইয়া অন্ত ভাষায় পরিণত হইয়াছে। কোন বৈয়াকরণ এই স্বাভাবিক বিকারের জন্য দায়ী নহেন। যাহাই হউক নিয়ম বাধা। যখন ব্যাকরণকারের উদেশ্য নহে, নিয়ম আবিষ্কারই যখন উদ্দেশ্য, তখন, এ আপত্তি টিকিতেই পারে না। বাঙ্গালা' ভাষাতে যদি নিয়ম থাকে, সেই নিয়মগুলি জানা আবশ্যক। কেবল সাহিত্যের ভাষা কেন, লৌকিক ভাষা ও প্ৰাদেশিক ভাষাও অনিয়ত বা শৃঙ্খলারহিত নহে। ঐ সকল ভাষারও ব্যাকরণ আলোচনা অসাধ্য নহে। অবশ্য সাহিত্যের ভাষা যত সুশৃঙ্খল ও যত সুনিয়ত, লৌকিক ভাষা ও প্ৰাদেশিক ভাষা ততটা সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ত নহে। উহার ব্যাকরণও তদনুরূপ জটিলতাযুক্ত ৷ হইবে। হউক তাহাতে ক্ষতি কি ? ভাষাবিজ্ঞান শাস্ত্ৰ যদি আলোচ্য হয়, ভাষার কোন অবস্থাকে। অবহেলা कब्रिया 5लिgद नां । প্ৰধানতঃ ভাষাবিজ্ঞানের Etymology অংশ লইয়া এত কথা বলা গেল। ভাষাবিজ্ঞা