পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৩য় সংখ্যা । سواS O বাঙলায় তাহাকে ণিজন্ত বলিতে গেলে অসঙ্গত হয় । কারণ সংস্কৃত ভাষায় ণিাচল প্ৰত্যয় দ্বারা ণিজন্ত ধাতু সিদ্ধ হয় ; বাঙলায় ণিচ প্ৰত্যয়ের কোন অর্থ নাই। অতএব অন্য ভাষার আকারগত পরিভাষা অবলম্বন না করিয়া প্ৰকারগত পরিভাষা রচনা করিতে হয় । Tাণিজন্তের প্রকৃতি কি ? তাহাতে ব্যবহিত ও অব্যবহিত দুইটি কৰ্ত্ত থাকে । “ফল পাড়িলাম ;”-পতন ব্যাপারের অব্যবহিত কৰ্ত্ত ফল, কিন্তু তাহার হেতুকীৰ্ত্তা আমি । “কারিয়তি য: স হেতুঃ”—যে করায় সেই হেতু, সেই ণিজন্ত ধাতুর প্রথম কৰ্ত্তা, এবং যাহার উপর সেই কাৰ্য্যের ফল হয়, সেই ণিজন্ত ধাতুর দ্বিতীয় কৰ্ত্ত। “হেতু”র একটি প্রতিশব্দ নিমিত্ত,-তাহাই অবলম্বন করিয়া আমি বর্তমান প্ৰবন্ধে ণিজন্ত ধাতুকে নৈমিত্তিক ধাতু निश दिश । বাঙলা কৃৎ ও তদ্ধিত বর্তমান প্ৰবন্ধের বিষয় । তাহার মধ্যে কোনগুলি প্ৰকৃত বাঙলা এবং কোনগুলি সংস্কৃত, তাহা লইয়া তর্ক উঠিতে পারে। সংস্কৃত হইতে উদ্ভূত হইলেই যে তাহাকে সংস্কৃত বলিতে হইবে, এ কথা মানি না। সংস্কৃত ইন প্ৰত্যয় বাঙলায় ই প্ৰত্যয় হইয়াছে, সেই জন্য তাহা সংস্কৃত পূৰ্ব্বপুরুষের প্রথা রক্ষা করে না। দাগি ( দাগযুক্ত ) শব্দ কোন অবস্থাতেই দাগিন হয় না । বাঙলা অন্ত প্ৰত্যয় সংস্কৃত শতৃ প্ৰত্যয় হইতে উৎপন্ন, কিন্তু তাহ শতৃ প্ৰত্যয়ের অনুশাসন লজঘন করিয়া একবচনে জিয়ন্ত ফুটন্ত ইত্যাদিরূপ ধারণ করিতে লেশমাত্ৰ লজিত হয় না । যে সকল প্ৰত্যয়ের বাঙলায় সংস্কৃতেতর শব্দেও ব্যবহার হয়, আমরা তাহাকে বাঙলা প্ৰত্যয় বলিয়া গণ্য করিব । ত প্ৰত্যয় যোগে সংস্কৃত রঞ্জিত শব্দ নিম্পন্ন হইয়াছে, কিন্তু বাঙলায় ত প্ৰত্যয়ের ব্যবহার নাই, সেইজন্য আমরা রঙিত বলি না । সজ্জিত হয়, সাজিত হয় না ; DBDTTB BDT sDB BDDD sJDB DDD S হিন্দি পারসী প্ৰভৃতি হইতে বাঙলায় যে সকল প্ৰত্যয়ের আমদানি হইয়াছে, সে সম্বন্ধেও আমার ঐ একই বক্তব্য । সই প্ৰত্যয় সম্ভবতঃ হিন্দি বা পারসি,-কিন্তু বাঙলা শব্দের সহিত তাহা মিশ্রিত হইয়া ট্যাকসই, প্ৰমাণসই, মানানসই প্ৰভৃতি শব্দ সৃজন করিয়াছে। ওয়ান প্ৰত্যয় সেরূপ নহে । গাড়োয়ান, দারোয়ান, পালোয়ান শবদ আমরা হিন্দী হইতে বাঙলায় *ाछेवांछि, थडाब्र १छे नांछे। অর্থাৎ যে সকল প্ৰতায় সংস্কৃত অথবা বিদেশীয় শব্দ-সহযোগে বাঙলায় আসিয়াছে, বাঙলার সহিত কোন প্ৰকার আদান প্ৰদান করিতেছে না, তাহাকে আমরা বাঙলা ব্যাকরণে প্ৰত্যয়রূপে স্বীকার করিতে পারি না। যে সকল কৃৎতদ্ধিতের সাহায্যে বাঙলা বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের সৃষ্টি হয়, বৰ্ত্তমান প্ৰবন্ধে কেবল তাঁহারই উল্লেখ থাকিবে ; ক্রিয়াপদসম্বন্ধে বারান্তরে আলোচনার ইচ্ছা রহিল। এই প্ৰবন্ধে বিশেষ্য বিশেষণকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছি । ক্রিয়াবাচক ও পদার্থবাচক । ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য যথা,-চলা, বলা, সাৎরান, বঁাচান ইত্যাদি। পদার্থ