RRbro সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা । [ ৪র্থ সংখ্যা সংস্কৃত চক্ষু, ধনুঃ, প্রভৃতি শব্দের অন্ত্য বর্ণ বিলুপ্ত হইয়া বাঙ্গলায় উকারান্ত চক্ষু, ধনু শব্দের সৃষ্টি হইয়াছে। ‘চক্ষুন্মান 'ধনুৰ্ব্বাণ' প্ৰভৃতি স্থলে খাঁটি সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার আছে ; কিন্তু “চক্ষু দ্বারা” “ধনু ধরিয়া’ প্ৰভৃতি স্থলে বাঙ্গলা শব্দেরই ব্যবহার আছে। দুই রকমই লেখা চলিতে পারে। সেইরূপ অপূসর। এই বাঙ্গলা শব্দের ব্যবহারে সংস্কৃত ব্যাকরণের দোহাই দেওয়া অনাবশ্যক । ‘অপসারগণ’ লিখিব কি না এখনও মীমাংসা হ’ল না । সংস্কৃত সমাসের নিয়মানুসারে ইহা হয় না ; কিন্তু বাঙ্গলা সমাসের নিয়মে ইহা হয়। বাঙ্গলাতে সমাসই নাই, এইরূপ সিদ্ধান্তে সহসা উপনীত না হইলে বোধ করি বিশেয ক্ষতি নাই। মনে হইতেছে ভারতচন্দ্ৰ লিখিয়া গিয়াছেন, ‘ যক্ষ বিদ্যাধর, গন্ধৰ্ব্ব কিন্নর, অপসরাগণের বাস” । তিনি বাঙ্গলা সমাস কবিয়াছেন ; সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসরণ করেন নাই । ভালই করিয়াছিল ; “অপসরোগণ’ এখানে ভাল শুনাইত না । বাঙ্গলায় যখন অপসরা শব্দ চলিয়া গিয়াছে, তখন বাঙ্গল সমাসে এমন আপত্তি কি ? ‘সৃজন’ ও ‘সর্জন”। একটা পুরাতন আপত্তির ক্ষেত্র । সর্জন শব্দ ব্যাকরণসম্মত সংস্কৃত শব্দ ; কিন্তু উহা বাঙ্গলায় এপর্যন্ত চলে নাই । বিসর্জন চলিয়াছে, সর্জন চলে নাই ; চলা প্রার্থনীয় ও নহে। সংস্কৃত শব্দ এখন অনেক আছে, যাহা বাঙ্গলায় চলে নাই ; জোর করিয়া চালাইলেও সাধারণে গ্ৰহণ করিবে না । মাইকেল তাহ প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন । “স্বজন।” শব্দ সংস্কৃত ব্যাকরণসম্মত নহে। উহা বাঙ্গলা শব্দ ; হীরেন্দ্র বাবু বলিয়াছেন উহা বহুকাল হইতে প্ৰচলিত বাঙ্গলা শব্দ ; বৈষ্ণব লেখকেরা উহা চালাইয়া গিয়াছেন । মৎস্য স্থলে মাছ লিখিলে যদি ভুল না হয়, তৈল স্থলে তেল লিখিলে যদি ভুল না হয়, বহু কালের প্রচলিত “স্বজন।” লিখিলেই বা এমন সাংঘাতিক ভুল কি হইবে ? তবে সংস্কৃতজ্ঞের লেখনী যদি নিতান্তই কম্পিত হয়, তিনি ‘সৃষ্টি” লিখুন ; অনুগ্রহ পূৰ্ব্বক “সৰ্জন”। क्लिशिंदन् न् | কিন্তু এই সকল ক্ষুদ্র বিষয় লইয়া বাদানুবাদে কোন ফল নাই। মূল বিষয়টা ইহাতে লক্ষ্যচ্যুত হইয়া যায়। বাঙ্গলা নামে একটা ভাষা আছে। ইহা সম্ভবতঃ সংস্কৃত হইতে প্ৰাকৃত মধ্য দিয়া সৃষ্ট হইয়াছে । কেহ বা বলেন কোন অনাৰ্য্য ভাষা সংস্কৃত ও প্ৰাকৃতের পরিচ্ছদ পরিয়া, সংস্কৃত ও প্ৰাকৃত অলঙ্কারে সর্বাঙ্গ ভূষিত করিয়া বাঙ্গলা রূপ ধারণ BBSDDD SS DBDB i BBBDB BDB SBDD DDS DDBDB u D S KKSDBDS BDBDBDS BKD আবশ্যক । বাঙ্গলা ভাষা কিরূপে উৎপন্ন হইল, বিনা অনুসন্ধানে মিলিবে না । বিনা যথোচিত পরিশ্রমে ইহার সদুত্তর পাওয়া যাইবে না । ঘরে বসিয়া কাগজ কলমের সাহায্য ठूलठेग्न। ਚੋ ਸ਼ शिक्षित्र ना ! ऊठूशानिक उंड व्र ड्5शु । ইহার উত্তর দিতে হইলে, যথার্থ সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হইলে বাঙ্গলা ভাষাকে কাটিয়া, ছিন্ন করিয়া, ভিন্ন করিয়া বিশ্লিষ্ট করিয়া, দেখিতে হইবে । শরীরতত্ত্ববিৎ যেমন শবদেহ চরিকা প্ৰয়োগে ছিন্ন করেন, সেইরূপে ভাষার দেহ ব্যবচ্চেদ করিতে হইবে । শৰীীরতত্তবিং
