পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ソ সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । | ১ম সংখ্যা অনুমানের পোষকতা করেন নাই । সে প্ৰবন্ধে আমরা কবিকঙ্কণের বংশপরিচয় অতি স্পষ্টরূপে জানিতে পারি। কবিকঙ্কণের উত্তর পুরুষের এক কন্যার পৌত্রই শ্ৰীযুক্ত মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধি মহাশয় ; সুতরাং তঁাহার পিতামহীর পিতৃপরিচয় তিনি যাহা দিয়াছেন, তাহার উপর সন্দেহ করা অন্যায় ; কিন্তু তিনিও কবিকঙ্কণের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নাম বা উপাধি কবিচন্দ্ৰ কি না বা সোপাধিক নাম কি, তাহ প্ৰকাশ করিতে পারেন নাই । আমরা যে কবিচন্দ্রের সত্যনারায়ণ কথা আদ্য পরিষৎপত্রিকায় প্ৰকাশ করিলাম, এখানিতে আমরা কবিচন্দ্ৰ উপাধির সহিত অযোধ্যারামের নামসংযুক্ত ভণিতা পাইতেছি - “রচিল অযোধারাম কবিচন্দ্র রায় ।” কিন্তু ইহঁাকে আমাদের কবিকঙ্কণের জ্যেষ্ঠ বলিয়া উপস্থিত করিবার সুদৃঢ় প্রমাণ কিছুই এ গ্রন্থে নাই, বরং “রায়” উপাধি দ্বারা তাহাকে “চক্ৰবৰ্ত্তীর” ভ্রাতৃপদবীতে যেন দাবী করিতে দিতেছে না । কিন্তু হৃদয় মিশ্রেীর পুত্ৰ মুকুন্দরাম যদি “চক্রবর্তী” হন, তাহা হইলে কবিচন্দ্ৰ অযোধ্যারাম “রায়” হইলে ও ক্ষতি হয় না ; কারণ ঐ সকল উপাধি গুণবাচী, বংশগত নহে । আর ও এক কথা, কবিকঙ্কণ শ্রোত্ৰিয় কয়ড়ী গাঞার ব্ৰাহ্মণ । প্ৰায় সমস্ত শ্রোত্ৰিয়বংশে সাধারণতঃ রায় উপাধি খৃষ্টীয় ১৩শ শতাব্দী বা তৎপূৰ্ব্ব হইতেও চলিয়া আসিতেছে এরূপ স্থলে অযোধ্যারাম ‘রায় বলিয়া যে মুকুন্দরাম চক্ৰবৰ্ত্তীর ভ্রাতা হইতে পারেন না, এরূপ কোন কথা নাই। তবে তাহার পিতৃনাম না পাওয়ায় আমরা তাহাকে মুকুন্দরামের ভ্রাতা বলিয়া নিশ্চয় স্থির করিতে १iांद्धिलांभ नां । যাহা হউক শিশুবোধকে কবিচন্দ্রের প্রণৗত দাতা কর্ণ ও কলঙ্কভঞ্জন নামক কথা আছে, আর অযোধ্যারামের “গুরুদক্ষিণা” আছে, এবং অযোধ্যারাম কবিচন্দ্রের সত্যনারায়ণ আদ্য প্ৰকাশিত হইল। এ সকলের মধ্যে পরস্পর কোন সম্বন্ধ আছে কি না, তাহা অনুসন্ধানের উপযুক্ত বটে। অযোধ্যারামের সত্যনারায়ণ কথার প্রকাশ হইল। উহার মধ্যে সাধুর হিরণ্য পাটনে যাত্রার যে পথ বর্ণিত হইয়াছে, ঐতিহাসিকের কাছে উহার কিছু মূল্য আছে। দ্বিজ রামভদ্রের সত্যনারায়ণ-এখনিও একখানি নুতন গ্ৰন্থ। দ্বিজ রামভদ্র আপনার পরিচয় দেন নাই, কেবল একস্থানে “দ্বিজ রামভদ্র বলে ভাবি ভগবান” এই ভণিত হইতে র্তাহার ব্ৰাহ্মণত্বটুকু জানা যায়। সর্বশেষে আছে “রাজ্যভ্ৰষ্ট রাজ্য লভে, রামভদ্র এই ভাবে, সত্যদেব সংহিতা প্ৰকাশে ।”-এই সত্যদেব সংহিতার নায়ক সাধু ধলেশ্বর বহিয়া সুরাট বন্দরে গিয়াছিলেন, ইহা হইতে রামভদ্রকে ধলেশ্বরীর তীরবর্তী লোক বলিয়া অনুমান করা অসঙ্গত হয় না। এই সাধুর পথবর্ণনা অপেক্ষা তাহার সুরাটে পণ্যদ্রব্য সংগ্রহের বিবরণ ঐতিহাসিকের নিকট অধিক তৃপ্তিপ্ৰদ হইবে। এই বিবরণে তৎকালীপ্ৰচলিত এদেশীয় নানাবিধ শিল্পজাত বস্ত্রের ও নানাবিধ গুণভেদে অশ্বগণের শ্রেণী rভদেব বিবরণ পাওয়া যায় ।