পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO o जांदिउg oब्रिक्ष९ अद्धिक | অতিশয় শোকাকুলিত হইয়াছেন এবং তাহার শোকসন্তপ্ত জননী ভারতেশ্বরী মহারাণী শ্ৰীমতী ভিক্টোরিয়ার পুত্র-বিয়োগ-জনিত দুঃখের জন্য একান্ত ভক্তি-সহকারে আন্তরিক সমবেদন জানাইতেছেন।” *ー - সভাপতি মহাশয়ের আহবানে পরিষদের সভাপতি দেশ-প্ৰসিদ্ধ শ্ৰীযুক্ত সত্যেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয় “তেবিজজ সুত্ত” সম্বন্ধে স্বীয় প্ৰবন্ধ পাঠ করেন। তিনি প্ৰথমে বলেন, বুদ্ধের মৃত্যুতে নানা বিষয়ে একটু স্বাধীনতা পাওয়া যাইবে মনে করিয়া, বুদ্ধের কতিপয় শিষ্য আনন্দ প্ৰকাশ করেন। তাহাতে আনন্দ ও কাশ্যপ প্ৰভৃতি ভক্ত শিষ্যগণ ভয় করেন যে, এরূপ হইলে ক্রমে দুৰ্গতির আর সীমা থাকিবে না। সেই আশঙ্কিত দুৰ্গতি নিবারণোদেশে তাহারা স্থির করেন যে, মহাসভায় ভগবানের মতামত ও উপদেশাদি সংগৃহীত হইয়া বৌদ্ধ শাস্ত্র রচিত হউক । ইতিহাসে দেখা যায় বৌদ্ধদিগের চারিটি মহাসভা হয়। বৌদ্ধ ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ সূত্র, বিনয় ও অভিধৰ্ম্ম এই তিন পিটক। সুত্ত-পিঠকের অনেকাংশ ইংরাজীতে অনুদিত হইয়াছে। বর্তমান প্ৰবন্ধে আলোচ্য বিষয় সেই পিটকের অঙ্গীভূত। তিনি ইহার পর বিস্তৃতভাবে বৌদ্ধধৰ্ম্মের আলোচনা করিবেন। প্ৰবন্ধকার তাহার মনোজ্ঞ প্ৰবন্ধ পাঠ করিলে, শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয় বলেন যে, এরূপ প্ৰবন্ধ পরিষদে নুতন এবং ইহার জন্য সকলেই সত্যেন্দ্র বাবুর নিকট কৃতজ্ঞ। বুদ্ধের বুদ্ধত্ব প্ৰাপ্তির পঞ্চদশ বর্ষে তিনি যখন ছয় জন তীর্থককে পরাস্ত করিতে গমন করিয়াছিলেন তখন পুষ্করশারী স্বীয় শিষ্য অপ্রিয়কে তঁহার সমীপে প্রেরণ করেন ; উদ্দেশ্য শিষ্য আসিয়া সবিশেষ বলিলে, তিনি বুদ্ধকে উপযুক্ত বোধ করিলে, তাহার সহিত বিচারে প্রবৃত্ত হইবেন। বুদ্ধ এই শিষ্যের সহিত ব্ৰহ্মজাল সুত্তের আলোচনা করেন, তেবিজজ সুত্ত তাহারই অংশ। অনুবাদ পাঠ করিলে তেবিজ্জ স্বত্তে প্রচ্ছন্ন মায়াবাদ লক্ষিত হইবে। বোধ করি, এই জন্যই শঙ্করের প্রচ্ছন্ন-বৌদ্ধাপবাদ। বৌদ্ধের শূন্যবাদ ও বেদান্তীর মায়াবাদ প্ৰায় একই রূপ। পুরাণ নিতান্ত আধুনিক আমার এ বিশ্বাস নাই ; বুহলার প্রভৃতিও স্বীকার করিয়াছেন। “ললিতবিস্তরেও অনেক হিন্দু দেবদেবীর প্রসঙ্গ আছে; তাহাতে বোধ হয়, হিন্দু পৌরাণিক দেবদেবী বৌদ্ধশাস্ত্রগ্রন্থে স্থান পাইয়াছিলেন। শ্ৰীযুক্ত রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী মহাশয় প্রবন্ধের জন্য সত্যেন্দ্র বাবুকে বিশেষ ধন্যবাদ দিয়া বলেন, আমরা এ বিষয়ে যে সামান্য আলোচনা করিয়াছি, তাহাতে আমাদের কয়টি বিষয় জানিতে ঔৎসুক্য জন্মিয়াছে। সেই জন্য আমরা যে কয়টি কথা বলিতেছি, আশা করি, বিজ্ঞ প্ৰবন্ধ-পাঠক ও বিজ্ঞ সভাপতি মহাশয়ের কথায় তাহার উত্তর পাইব। প্ৰথম প্রশ্ন হইতেছে, ব্ৰহ্মার সহিত একীভূত হইবার উপায় কি ? হিন্দু শাস্ত্ৰে ব্ৰহ্মের কথা আছে। ব্ৰহ্ম ও ব্ৰহ্মা কি একই ? দ্বিতীয়তঃ বুদ্ধ ইহা নহে, উহা নহে বলিয়া, তাহার উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন, কিন্তু ব্ৰহ্মা কি ? তেবিজ সুত্তে তাহা জানা যায় না। অদ্বৈত পক্ষে বেদান্তের ব্যাখ্যা ও এই সুস্তি একই ছাঁচে ঢালা দেখা যায়। এখন কথা, এই সুত্ত কতদিনের ? রিস ডেভিড