পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b・8 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা | ७ा ग९था । নদীগর্ভে প্রবেশ করিয়াই গাড়ীর চাকা একেবারে কৰ্দমে প্রোথিত হইয়া গেল। আমরা গাড়ী ছাড়িয়া অনতিগভীর জলে নামিলাম, এবং প্ৰাণপণে গাড়ীর চাকা তুলিতে চেষ্টা করিতে লাগিলাম। প্ৰায় আধঘণ্টা পরিশ্রমের পরে আমরা ৩ জনে গাড়ীখানি উদ্ধার করিয়া ব্ৰহ্মাণী “নদী উত্তরণ করিলাম। হস্তপদের কর্দম প্ৰক্ষালনপূর্বক গাড়ীতে উঠিয়া দক্ষিণ-পূর্বাভিমুখে চলিতে লাগিলাম এবং তেঁতুলগাছ বেষ্টিত ১টা পুকুরের পূৰ্ব্বধার দিয়া গ্রামে প্রবেশ করিলাম। কিছুক্ষণ পরে আমরা নবচূড়ামণ্ডিত প্ৰসিদ্ধ বুড়া শিবের মন্দির বামদিকে রাখিয়া দক্ষিণপাড়ার ভগ্নাবশিষ্ট বারোয়ারী তলায় পৌছিলাম। এইস্থানে গাড়ী রাখিয়া আমরা কাশীরামদাসের বাস্তুভূমির এবং তঁহার নিখাত পুষ্করিণীর ফটােগ্ৰাফ লইবার জন্য প্রস্তুত হইলাম। আমাদিগের নিকটে উপস্থিত গ্রামস্থ ২৩ জন বিশিষ্ট ভদ্রলোক কাশীরামদাসের বাস্তুভূমি नि८% করি: দিলেন । যেস্থানে কাশীরাম দাস বাস করিতেন, সেস্থানে এখন অন্য লোক বাস করিতেছেন। বারোয়ারীতলার কিঞ্চিৎ দক্ষিণপুৰ্ব্বে ঐ স্থান অবস্থিত। বর্তমানে শ্ৰীগিরীন্দ্ৰনাথ চন্দ্ৰ ঐ উক্ত বাস্তুর অধিবাসী। ভদ্রলোকের অন্তঃপুর বলিয়া কাশীরাম দাসের জন্মভূমি স্পৰ্শজনিত আনন্দানুভব করতে পারিলাম না । দূর হইতে একখানি ফটোগ্রাফ তোলা হইল। তৎপরে গ্রামের দক্ষিণে প্ৰান্তর মধ্যবৰ্ত্তী “কেশেপুকুর” অর্থাৎ কাশীরাম দাস নিখাত পুষ্করিণীর ফটোগ্রাফ লাইবার জন্য যাত্রা করিলাম। ধারোয়ারীতলা হইতে ঐ স্থান একপোয়া পথ হইবে। সিঙ্গির অন্য নাম শিবরামবাটী। সিঙ্গির অবস্থান অতি সুন্দর। ইহার উত্তরে সৈয়দপুর বা মালঞ্চ, ঈশানকোণে দেওয়াশীন বা রামচন্দ্রপুর, পূৰ্ব্বে করুইখাল, অনন্তবাটী এবং ওকড়সা, দক্ষিণপশ্চিমে শ্ৰীবাদী ও মুণ্টীকৃষ্ণনগর, বায়ুকোণে নারায়ণপুর। আমরা যখন কেশেপুষ্করিণীর তীরে পৌছিলাম, তখন বোলা অবসান প্রায়, সুতরাং ফটোগ্ৰাফ তুলিতে বিশেয অসুবিধা হইল। অবশেষে অনেক কষ্টে দুইখানি ফটোগ্রাফ লওয়া হইল । উক্ত ফটোগ্রাফের মুদ্রিত চিত্রে যেস্থলে একটী বালক দণ্ডায়মান রহিয়াছে ঐ স্থান পশ্চিম দিকের জলের সীমান্ত রেখা । বালকের পূর্বদিকে যে একটী অট্টালিকার অস্পষ্টালেখ্য E DDDBDYSS SDDDDK DLLD BDBBBBBBD BBDD BDBBBuSBD D DBBES BDB BBBgB BL ZKSS LLLLLL LlLLLLLLL SS B SBDBD KBB DS মহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী এম, এ, মহোদয় সর্বপ্রধান উদ্যোগী ছিলেন। বাঙ্গালা সাহিত্যসেবীদিগের নিকট কেশেপুকুর পরমতীর্থ। শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয় যখন এই পুষ্করিণী, পরিদর্শনে আগমন করেন, তখন তিনি ভক্তিগদগদাচিত্তে এই জল মন্তকে প্ৰদান করিয়া থান করিয়াছিলেন। আমি কিঞ্চিৎ জল মস্তকে দিয়া পরে কয়পুটে এই পবিত্র জল পান করিয়া লইলাম । পুষ্করিণীর বর্তমান জলকর একবিঘা মাত্র। শুনিলাম ইহার পরিমাণ পূর্বে পাহাড় সমেত