পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শবদ-রহস্য । ( শব্দ-শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা O (3 डींबद्ध थांक्षांद्य) । সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন যে, গ্ৰন্থ আ প্রমেয় জ্ঞানভাণ্ডার। এই ভাণ্ডারে পুর্বপুরুষগণের অর্জিত বহুতর জ্ঞানরত্ন সঞ্চিত আছে, এবং প্রধানতঃ এই ভাণ্ডার হইতেই তৎসমুদয় পুরুষপরম্পরায় লোকের হস্তগত হইয়া আসিতেছে। কিন্তু অনুসন্ধান করিয়া দেখিলে সমগ্র পুস্তক ব্যতীত জ্ঞানের আরও এক অতি গভীর আকর আছে ; সে আকার শব্দ। পৃথকভাবে এক একটি শব্দে ও নানারূপ জ্ঞানীরত্ব নিহিত আছে। চিন্তা করিয়া অনুসন্ধান করিলে তৎসমুদয় হস্তগত করিতে পারা যায়। সাধারণ শব্দসমূহে মানবহৃদয়ের সরস ভাব-লহরী এবং সংসারের সুন্ম ঘটনাপরম্পরা অতি বিচিত্ররূপে সম্বদ্ধ আছে ; এবং এইরূপে শব্দগ্রথিত হইয়া উহা কালস্রোতে অক্ষুন্নভাবে চলিয়া আসিতেছে। সময়ের সংহারিণী শক্তি গ্রন্থাদির লোপ করিতে ও মানুষ্যের কল্পিত ভাবসমূহকে বিকৃত করিতে পারে, কিন্তু শব্দনিহিত জ্ঞােনরহস্তের সেরূপ বিকার বা বিনাশের সম্ভাবনা নাই। উহাব, শব্দে, নৃত্যুৎপত্ত্বি, সুস্থিত। এরূপ দৃঢ় রূপে সম্বন্ধ আছে যে, শব্দের উচ্ছেদ না হইলে উচ্ছাদিগের উচ্ছেদ কদাচ সম্ভবপর নীহে। অনেক সময়ে, গ্ৰস্থাদিতে যাহার কোন উল্লেখ নাই, জনশ্রুতি বা প্রবাদবাক্যে যাহার কোন আভু্যাস নাই, এরূপ, স্বচ্ছন্নতত্ত্ব কেবল শব্দ হইতে শিক্ষা করিতে পারা যায়। অনেক সময়ে, যাহাতে জাতীয় গ্ৰন্থকৰ্ত্তাদিগের লেখনীনিঃস্থত প্রমাণ বিশ্বাসযোগ্য হয় না, জাতীয় ভাষা তাহাতে বিশ্বস্তরূপে সাক্ষ্য প্ৰদান করিয়া থাকে। অনুসন্ধিৎসু হইয়া শব্দ শিক্ষা করিলে অনেক বিষয়ের প্রকৃত এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করিতে পারা যায় । শব্দনিহিত সেই সকল জ্ঞানের কিয়ৎ পরিমাণে ব্যাখ্যা করা এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। দৃষ্টান্তস্থলে কতিপয় শব্দ উদ্ধত করা যাইতেছে। ভাষা কবিত্বের পরিচায়ক । অনেক শব্দে মনুষ্যহীদয়ের সাধারণ ও প্রয়োজনীয় ভাবে সকল বিশদরূপে উজ্জল উপমায় গ্রথিত রহিয়াছে। আমরা সচরাচর চুড়ান্ত” কথার ব্যবহার করিয়া ; “এ বিষয়ের চুড়ান্ত মীমাংসা হইয়াছে,’ ‘শাস্তির চুড়ান্ত হইয়াছে।” এইরূপ প্রয়োগ লোকে প্রায়ই করিয়া থাকে। এই “চুড়ান্ত” ( চুড়া--"অন্ত ) কথায় কি এক উজ্জল উপমা বৰ্ত্তমান রহিয়াছে ! যেমন কোন গিরিশিখরের বা কোন উৰ্দ্ধস্থানের অগ্রভাগ পৰ্যন্ত পৌঁছিল তাহার শেষ সীমা অতিক্রম করা হইল, আরোহণের শেষ হইল, তাহার ‘’চূড়ান্ত” হইল। তাহার ‘’চূড়ান্ত’ হইয়াছে বলতে কেমন স্পষ্টরূপে ঐ ভাবটি প্ৰকাশ পাইয়া থাকে। এইরূপ অনেক শব্দে কবিত্ব বিদ্যমান আছে। কবিত্বের স্থায় নীতিও অনেক শব্দে গ্রথিত আছে। আমরা সেই সকল শব্দ হইতে সুন্ম Ο R