পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न »७०७ ] মাইকেল মধুসূদন দত্ত । br@r হইয়া উঠে। অধুনা আমাদের এইরূপ শোচনীয় দশ ঘটিয়াছে। বিদেশীয়দিগের আধিপত্যে । আমাদের প্রকৃতি এত অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছে যে, আমরা স্বদেশের দিকে দৃষ্টি রাখিতে পারিতেছি না। আমরা কর্ণেল নীলকে পুরস্কৃত করিতে উদ্যত হই, কিন্তু সীতারামের নামে নাসিকা সঙ্কুচিত করি। কাউপারের স্মৃতিচিহ্রস্থাপন জন্য চাদ দিতে আমাদের আগ্ৰহ হয়, কিন্তু হতভাগ্য কৰিকঙ্কণের জন্য এক বার দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতেও আমাদের প্রবৃত্তি হয় না। স্বদেশীয় প্রতিভাশালী পণ্ডিতের দেহাত্যয়, হাঁটুলে আমার কোমলমতি বালক অথবা মুগ্ধস্বভাব” নারীর ন্যায় কাতরভাবে কেবল রোিদন করিয়া থাকি। কিন্তু র্তাহার জীবদ্দশায় তদীয় অসামান্য প্ৰতিভার সন্মান করিতে প্ৰবৃত্ত হই না । আমাদের দৃঢ়তার এতই অবনতি ঘটিয়াছে যে, কেবল রোদিন ভিন্ন আমাদের भाद्र কোন উপায় নাই । আমরা রোদনের জন্য ভূমিষ্ঠ হই, চিরজীবন রোদন করিয়াই জন্মভূমির নিকটে চিরবিদায় গ্ৰহণ করি। দৃঢ়তার অবনতির সহিত আমাদের চরিত্রেরও এরূপ অবনতি হইয়াছে যে, আমরা আপনাদের জন্য যৎসামান্ত যত্ন করিতেও উদ্যত হই না। ইংলণ্ড এখন আমাদের সকল বিষয়ের নিয়ন্ত হইয়াছে। আমরা সকল বিষয়েই ইংলণ্ডের মুখাপেক্ষী হইয়া রহিয়াছি। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষাংশে ও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ইংলণ্ডের প্রতিভাশালী পণ্ডিতদিগকে নিরতিশয় দারিদ্র্যদুঃখের মধ্যে জীবিকানিৰ্বাহ করিতে হইত। এই সময়ে আমাদের দেশে প্রতিভার অনাদর ছিল না। সদাশয় ধনীর সাহায্যে বাগেদবীর উপাসকগণ পরমসুখে কাল যাপন করিতেন। বৰ্ত্তমান সময়ে ইংলণ্ডের প্রসিদ্ধ গ্ৰন্থকারদিগের অসীম সৌভাগ্য ; কিন্তু বৰ্ত্তমান কালেই আমাদের দেশের প্রতিভাসম্পন্ন সুলেখকদিগের একান্ত দুরবস্থা। ইংলণ্ডের লোকে উন্নতিপথে অগ্রসর হইয়াছে। আমরা অবনতিপথে অধঃপতিত হইয়াছি। লর্ড চেষ্টর ফীল্ড এক সময়ে জন্সনের প্রতি যেরূপ দক্ষিণ্য প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, আমদের দেশের ধনিগণ স্বদেশীয় সাহিত্যসেবকদিগের প্রতি সেইরূপ দাক্ষিণ্য দেখাইয়াই পরিতৃপ্ত হইয়া থাকেন। জন্সন যেরূপে ঐ দাক্ষিণ্যের সন্মানরক্ষা করিয়াছিলেন ; আমাদের দেশের সাহিত্যের ইতিহাসে তাহার নিদর্শন থাকিলে স্বদেশীয় সাহিত্যৰীরিদিগের বীরত্ব ও তেজস্বিতার পরিচয় পাওয়া যাইত। তেজস্বী জন্সনের নিকটে লর্ড চেষ্টর ফীল্ডের সমুচিত শিক্ষা হইয়াছিল ; আমাদের দেশের কোন প্রতিভাসম্পন্ন পুরুষের নিকটে আম্মদেশীয় কোন ধনকুবেরের সেরূপ শিক্ষালাভের সুযোগ ঘটে নাই। যাহা হউক, মধুসুদন এইরূপ দুৰ্দশাপন্ন দেশে এইরূপ সমবেদনাহীন লোকের মধ্যে আবিভূতি হইয়াছিলেন। যাহারা নিরন্তর পরানুগ্রহপ্রার্থী হইয়া, আপনাদের হীনতার পরিচয় দিতেছে, তাহদের সমক্ষে মধুসুদন যে, অন্তিম কালে আশ্রয়বিহীন হইয়া কষ্টের একশেষ BBDS S DDDDBSB D DBDBD DBDBSS DBDBBBBBS BDDDDBDBD BBDDB তিনি শান্তভাবে সংসারের নিকটে বিদায় গ্ৰহণ করিতে পারিতেন। মধুসূদনের জীবনী কেবল মধুসূদনের অন্তিমকালীন শোচনীয় অধঃপতনের কথা প্ৰকাশ করিতেছি না।