বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ २भ न६श्रीf محمود যেখানে বাণিজ্য ব্যবসায়ের বিশেষ সুযোগ ছিল, আজ সেখানে সে সকল কারারার লোপ পাইতে বসিয়াছে। এই প্রদেশে ২০২৫ ক্রোশের মধ্যে মহকুমা ছিল না ; পরে করিমপুরে একটি স্থাপিত হয়, কিন্তু তাহাও কেবল দুই বৎসর থাকিয়া মেহেরপুরে উঠিয়া যায়। মেহেরপুর যেরূপ স্থানে অবস্থিত তাহা মহকুমার পক্ষে বিশেষ অনুপযোগী। মহকুমা উঠিয়া যাইবার কারণটি একটুকু অভিনব বলিয়া নিয়ে তাহার উল্লেখ করিতেছি। নদীবহুল বলিয়া এই প্রদেশ নীল আবাদের বিশেষ উপযোগী ছিল। সুবিখ্যাত ওয়াটসন কোম্পানি এই সুবিধা দেখিয়া এ অঞ্চলে অনেকগুলি নীলকুঠিী স্থাপিত করে। তন্মধ্যে শিকারপুর, অধারকোটা, বর্তমান হুগুলবেড়িয়া, আরবপুর, মামুদগাড়ী, বাজিৎপুর, চেঁচানে, আলাইপুর, রামচন্দ্রপুর, তারাপুর প্রভৃতি স্থানগুলি উল্লেখযোগ্য। এই নীলকাজের জন্য নিরীহ দরিদ্র প্রজার উপর যে অত্যাচার হইত, তাহার নূতন উল্লেখ নিম্প্রয়োজন ; নীলদর্পণ প্রভৃতি পুস্তকে তাহা জ্বলন্ত অক্ষরে মুদ্রিত রহিয়াছে। কুঠার নিকট মহকুমা থাকিলে সৰ্ব্বদা অত্যাচার সহজসাধ্য নহে বলিয়া বুদ্ধিমান কুঠীয়ালগণ পাকে চক্রে এই মহকুমাকে দুৱবৰ্ত্তিস্থানে সরাইয়া দিতে বদ্ধপরিকর হইল ; ফলে অনতিবিলম্বে করিমপুর হইতে আটক্রোশ দূরবর্তী মেহেরপুরে মহকুমা প্ৰতিষ্ঠিত হইল এবং আধারকোটা হইতে থানা উঠিয়া করিমপুরে আসিল। এই সময়ে মেহেরপুরে কেবলমাত্র একটি মুন্সেফী চৌকী ছিল ; ক্রমে এই মেহেরপুর উন্নত হইয়া এক্ষণে একটি সমৃদ্ধিশালী মহকুমা হইয়াছে। বৰ্ত্তমান সময়ে সেখানে ফৌজদারী ও দেওয়ানি উভয়বিধ বিচারকাৰ্য্যই সাধিত হইয়া থাকে এবং মাজিষ্টেট বাহাদুর প্রায়ই ইংরাজ থাকেন । পুর্বোল্লিখিত নদীবহুলতাই এই প্রদেশে চাষীদিগের প্রথম বসবাসের কারণ। উল্লিখিত নদীতীরস্থ উর্বর চরপ্রদেশে শস্যোৎপাদন সহজসাধ্য, তাই দরিদ্র কৃষককুলই প্ৰথমে এই অঞ্চলে আকৃষ্ট হইয়াছিল। এই প্রদেশে কোন বিখ্যাত ধনী বা রাজবংশ দৃষ্ট হয় না। বলিতে গেলে কৃষক এবং মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক লইয়াই এই প্রদেশ গঠিত; আবার কৃষককুলের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমানজাতীয়। সম্ভবতঃ এই উৎসাহশীল পরিশ্রমী মুসলমান কৃষকগণই এই অঞ্চলের আদিম অধিবাসী । অত্ৰত্য গ্রামসমূহের নাম হইতেঁও তােহা কতকাংশে প্ৰমাণিত হইতে পারে । পল্পীগুলির অধিকাংশই মুসলমান নামে অভিহিত। উদাহরণ স্বরূপে, যমশেরপুর, আরবপুর, করিমপুর, রহমৎপুর, মোল্লাহাদ, মামুদগাড়ী, মজলিসপুর, তাজপুর, আলিপুর প্রভৃতির নাম করা যাইতে পারে। এমন কি, এখন পৰ্য্যন্ত এমন গ্রামও দৃষ্ট হয়, যাহাতে হিন্দুর নাম গন্ধও নাই। কুচীডাঙ্গা, তকীপুর, রহমৎপুর, তাজপুর প্রভৃতি গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন মুসলমানের বাস। হিন্দু যদি থাকে। তবে ২১ ঘর মাত্র ;-নাপিত ভিন্ন অন্য কোন জাতি নাই। উপরিলিখিত ওয়াটসন কোম্পানীর কুঠীর কুঠীয়াল সাহেবদিগের নামেও পদ্মা তীরস্থ চরে। নূতন কয়েকখানি গ্রাম স্থাপিত হইয়াছে। যথা-Gregsoniপুর, diberryনগর ইত্যাদি। পূর্বেই লিখিয়াছি, এ দেশের সাধারণ অধিবাসী নিতান্ত দরিদ্র। বৃহৎ অট্টালিকা, প্ৰাচীন