পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১২ 1 हैसकि ऊख : Şტ40 উত্তরে ভগবান যাঙ্ক বলিতেছেন-সকল বাক্য অসংগত নহে, কারণ সাধারণভাষাতেও এইপ্ৰকার বলা যায় “এই ব্ৰাহ্মণের সমকক্ষ নাই” ইত্যাদি। কৌৎসের অন্য একটী প্রতিবাদ হইতে জানা যায় যে, মহামুনি যাঙ্কের সময়ে কতকগুলি শব্দের অর্থ লোপ হইয়াছিল, যথা অম্যক, যাদৃশ্মিন, কানুকা ইতি। এতৎসম্বন্ধে মহামুনি যাঙ্ক বলিতেছেন যে, দৃষ্টিহীন ব্যক্তির দোষ না বংশদণ্ডের দোষ ? নিশ্চয়ই দৃষ্টিহীন ব্যক্তির দোষ। সমাজ মধ্যে পণ্ডিত ও মুর্থ উভয়তর ব্যক্তিই দেখা যায়,যাহারা সামাজিক বিধানভিজ্ঞ ও জ্ঞানবান উগাহাদিগকে পণ্ডিত বলা যায়ও অন্যলোকদিগকে মুর্থ বলা যায়। যদি বাস্তবিক বৈদিক শব্দ-সমূহের অর্থলোপ হইয়া থাকে, পণ্ডিতবর্গ চেষ্টা করিয়া তাহার উদ্ধার করিতে পরিবেন, মুখের চেষ্টায় হইবে না। মহামুনি যাঙ্কের গ্ৰন্থ হইতে প্ৰতীয়মান হয় যে, তাহার গ্ৰন্থরচনার পূর্ব হইতেই ৰোমবিপ্লবআরম্ভ হইয়াছিল এবং সেই বিপ্লব নিবারণ জন্য যাঙ্ক মুনি এই গ্ৰন্থ রচনা করেন। এই প্রকায় বেদবিপ্লব নানা সময়ে ঘটিয়াছে। পুরাণ গ্ৰন্থ সকল পাঠে জানা যায় যে, অষ্টাবিংশতি বায় এই বেদবিপ্লব হইয়াছে এবং প্রতিবার পরমকারুশিক পরমেশ্বর বেদবাসরূপ ধারণপূর্বক বেদবিভাগ করেন ও সামাজিক রাজনীতি শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন । পুরাণ গ্রন্থে আরও দেখা যায় যে, সগর তনয়গণ যজ্ঞাদি সন্মাৰ্গ বিনষ্ট করেন এবং বিশ্বামিত্ৰ ঋষি পুনরায় ধৰ্ম্ম সংস্থাপন করেন। গৃৎসমদপুত্ৰ শৌনক ঋষির জীবিভাবস্থায় বেদবিপ্লব হয় এবং তিনি পুনরায় চাতুৰ্বর্ণ প্ৰবৰ্ত্তিত করেন। ভাৰ্গ ঋষির পুত্ৰ ভাৰ্গভুমির সময়ে এবং কৃন্তপুত্র হিরণ্যনান্ত ঋষির সময়েও এই প্রকার ঘটনা ঘটে। এ সকল সময়ে যে প্রকার বিপ্লব ঘাঁটিয়াছিল, এখনও তন্ত্ররূপ ঘটিয়াছে ; কিন্তু এখনও বেদব্যাসের আবির্ভাব না দেখিয়া মন স্বতঃই চঞ্চল হইয়া উঠে। জ্যোতির্বিদগণ কি বলিতে পারেন, কোন তিথি নক্ষত্রে মহর্ষি বেদব্যাস ভারত ভূভাগ অলঙ্কত করিবেন ? আমাদিগের বৈতনিক অগ্নি বহুকাল হইল নিভিয়া ভস্মসাৎ হইয়াছে। ‘, বজদেশ হইতে সামগান লোপ হইয়াছে। কোনও যজ্ঞে হোতা, উদগাতা, অধ্বযুঠ প্ৰফুল্লম্বরে পরমেশ্বর পরমব্ৰহ্মের মহিমা কীৰ্ত্তন করেন না। বেদজ্ঞানহীন ব্ৰাহ্মণগণ কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত হস্তীয় হ্যায় নিম্ফল নিশ্চল দণ্ডায়মান আছেন। ক্ষত্ৰিয় জাতি হিন্দুরাজত্বের সহিত লোপ প্ৰাপ্ত হইয়া অতীতের সহিত মিশিয়াছেন। বৈশ্যগণ ধৰ্ম্মহীন হইয়া কালকবলে পতিত হইয়াছেন। একসময়ে স্বাধীনমনা উদারচরিত যাজিকগণ সাধারণ ভাষায় মন্মোচ্চারণপূর্বক প্ৰফুল্লামনে যজ্ঞক্রিয়ার মন্ত্রপাঠপূর্বক পরমব্ৰহ্ম পরমেশ্বরের আরাধনায় তৃপ্তিলাভ করিতেন। কিন্তু ক্ৰমশঃ সেই ভাষা পৃথিবী হইতে লোপ প্ৰাপ্ত হইয়া যায়, অথচ ব্ৰাহ্মণগণ সেই ভাষা অবলম্বন করিয়া যজ্ঞাদি চালাইতে TF || 瞬,感 এক্ষণে মন্ত্রাদির অর্থ ও বিনিয়োগ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ হইয়া নিৰ্বাক হইয়া বসিয়া আছেন। এই বিপদ হইতে ভট্টীমহোদয়গণ যে আমাদিগকে স্বাক্ষা করিতে পরিবেন, সে আশা দুরাশা মাত্র। একটী সামান্য মন্ত্রের অর্থ ও বিনিয়োগ সম্বন্ধে পণ্ডিত মহোদয়গণকে জিজ্ঞাসা করিয়াও নিস্ফল दछेड क्ष। , ቅ”