*न १७२२ ] बौक बांब्रांगों AVA হইতে উৎপন্ন কনিকের নিৰ্ম্মিত ও স্থাপিত দ্রব্যাদি রক্তবর্ণ বহুব্যয়সাধ্য প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত, কিন্তু তথাপি দৃষ্টিরঞ্জক নহে। সম্রাট হর্ষবৰ্দ্ধন তাহার নিৰ্ম্মাণের ব্যয় আরও সংক্ষেপ করিয়াছেন। সৰ্বশেষে প্রাদেশিক অধিপতি মহীপাল সুদুর চুনার কিংবা দুৱােতর মথুরা হইতে আনীত প্ৰস্তর ব্যবহার করিতে সমর্থ হন নাই । তিনি অনায়াসিলন্ধ ভগ্নাবশেষ মধ্যে প্ৰাপ্ত প্ৰস্তরখণ্ড ও সুলভ ইষ্টকে তাহান্ন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। ভারতের প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসমূহের মধ্য হইতে এইরূপে ভারতের লুপ্ত ইতিহাসের কিয়দংশ উদ্ধৃত হইতে পারে। খননকালে কারুকাৰ্য্যযুক্ত বহু ইষ্টক পাওয়া গিয়াছে, ইহার মধ্যে কতকগুলি গান্ধারে প্রাপ্ত গ্ৰীসদেশীয় স্তম্ভশীর্ষের ন্যায়। এতদ্ব্যতীত খননকালে কয়েকটি যক্ষ ও তারার মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে। বর্তমান বংসারে অশোকস্তম্ভের চতুষ্পার্থে ও চৌখণ্ডি নামক স্তুপের, মধ্যভাগে খননকাৰ্য্য চলিতেছে। পূর্বের খননে চৌখণ্ডির চতুস্পার্থে বৃহৎ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত যে ভিত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহা চতুষ্কোণ। কানিংহাম বহুপূৰ্বে এইটিকে হিউয়েন-খািসং বর্ণিত মৃগদাব হইতে ২-৩ লি দূরে অবস্থিত ৩০০ শত ফুট উচ্চ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ বলিয়া নির্দেশ করেন। চৌখণ্ড ধামেক হইতে অৰ্দ্ধ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত এবং ইহার বর্তমান উচ্চতা দেখিলে স্পষ্টই উপলব্ধি হয় যে, কানিংহামের সিদ্ধান্ত অভ্রান্ত। হিউয়েন-থসং বর্ণিত সঙ্ঘারামের কোন চিহ্ন’এ। পৰ্যন্ত পাওয়া যায় নাই; তাহার কারণ এই যে, খনন অতি অন্ন স্থলেই হইয়াছে। উক্ত সত্তারাম প্রস্তরনিৰ্ম্মিত অশোকন্তুপের উত্তরপূর্বে অবস্থিত ছিল। পূৰ্ব্বে স্থিরপাল ও বসন্তপাল কর্তৃক ও পরে জগৎসিংহ কর্তৃক বহু ধ্বংসাবশেষ নষ্ট হইয়াছে। খননে যে মন্দিরটি আবিষ্কৃত হইয়াছে, ইহা সম্ভবতঃ পালরাজগণ কত্ত্বক নিৰ্ম্মিত, কিন্তু ইহা নিশ্চিত যে এই মন্দিরের ভিত্তি অতি প্ৰাচীন। হিউয়েন-খাসং সঙ্ঘারামের মধ্যে অবস্থিত একটি ২০০ শত ফুট উচ্চ DDBB BBB BDBDDDBS M BDBD DDD LLLDuDBiBD DDB S BBD DBDDBD পূৰ্বদিকের ভিত্তি প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত। হিউয়েন-থসংএর বর্ণনা হইতে জানা যায় যে, বারাণসীর বিহায় বা মন্দির বুদ্ধগয়ার বিহার অপেক্ষা অধিক উচ্চ ছিল। বুদ্ধগয়ায় মন্দিরের এক পার্থ ৫০ ফুট, কিন্তু সারনাথ বা বারাণসী মন্দিরের একপার্থ৯৫ ফুট ; সুতরাং হিউয়েন-থসং বর্ণিত ভিত্তির উপরে যে এই মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহ সম্ভবপর। খননের ফল সংক্ষেপে এইরূপে বলা যাইতে পারে। ১। প্রথম ধৰ্ম্মচক্র প্রবর্তনের স্থান ও হিউয়েন-থসং বর্ণিত অশোকস্তম্ভের আবিষ্কার। অশোকের নূতন স্তম্ভলিপি আবিষ্কার। ২। বুদ্ধের ভ্ৰমণস্থান আবিষ্কার ও কনিক্ষের শিলালিপিযুক্ত স্তম্ভ, ছত্র ও বােধিসত্ত্বমূৰ্ত্তি আবিষ্কার। ৩। হিউয়েন খসং বর্ণিত ২০০ শত ফুট উচ্চ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ভিত্তির উপরে স্থাপিত ইষ্টকনিৰ্ম্মিত বিহার বা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার। ৪ । মন্দিরের উত্তরে একটী কুষান রাজত্বকালের সঙ্ঘারামের ভিত্তি আবিষ্কার।
