বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের প্ৰকাশিত হইয়াছে ] “বসুমতী”। সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত জলধর সেন মহাশয় এই প্ৰস্তাবের সমর্থন করিয়া যোগেঞ্জ চন্দ্রের মহানুভবতার নিদর্শন স্বরূপ একদিন বঙ্গবাসী ছাপা বন্ধ করিয়া বিনামূল্যে বসুমতী ছাপিয়া দিবার বিবরণ বর্ণনা করিলেন। তৎপরে এই প্ৰস্তাবের অনুমোদনে পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত বীরেশ্বর পাড়ে মহাশয় বিশেষভাবে যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের সেকালের হিন্দুনীতিপ্রিয়তার উল্লেখ করেন। “হিতবাদীর” সহকারী সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত সখারাম গণেশ দেউস্কার মহাশয় যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের নিন্দ স্তুতিতে অবিচলিতত ও ব্যবসায় বুদ্ধির উল্লেখ করিয়া বিশেষ প্ৰশংসা করেন এবং বলেন,ভাষায় তঁহার অপুৰ্ব্ব অধিকার ছিল এবং তঁহার সকল লেখাই মৰ্ম্মচ্ছেদকারী ও সরল । তং পরে শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত এম, এ, বি, এল মহাশয় দ্বিতীয় প্রস্তাব উপস্থিত করিলেন “বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের কোনরূপ স্মৃতি-নিদর্শন রক্ষা করিবেন, তজন্য অর্থসংগ্রহের এবং কৰ্ত্তব্য নিদ্ধারণের ভার পরিষদের কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সমিতির উপর অৰ্পিত হউক”। এই প্ৰস্তাব করিয়া হীরেন্দ্ৰ বাবু বলিলেন,-পরিষৎ প্রতিষ্ঠার পূৰ্ব্বে প্রাচীন বাঙ্গলা পুথির প্রচার যোগেন্দ্ৰচন্দ্ৰই আরম্ভ করেন। পরিষৎ এই কাৰ্য্যে তঁহার নিকট সাহায্য পাইয়াছেন । হিন্দুর শাস্ত্ৰগ্ৰন্থপ্রচারে দেশকাল পাত্রের পার্থক্য বিবেচনা করিয়া বেদব্যাসের সহিত বাঙ্গালায় তাহার নাম উল্লেখযোগ্য । তিনি বৰ্ত্তমান আন্দোলন প্ৰণালী অনুমোদন ‘না করিলেও প্রকৃত দেশহিতৈষী ছিলেন। তৎপরে হাইকোটের উকীল শ্ৰীযুক্ত শিবা প্ৰসন্ন ভট্টাচাৰ্য্য বি, এ; বি, এল মহাশয় এই প্ৰস্তাব সমৰ্থন করিয়া বলেন যে, বঙ্গবাসী প্ৰকাশ হইবার বহুপূৰ্ব্বে তিনি যোগেন্দ্ৰ চন্দ্রের সহিত বন্ধুতায় আবদ্ধ ছিলেন। তঁহারা উভয়েই এক গুরুর নিকট এক পাঠশালায় পিক্ষিত। যোগেন্দ্ৰচন্দ্ৰই সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে সংবাদপত্ৰ পাঠের ম্পূহ জাগাইয়া দিয়া গিয়াছেন। এই বলিয়া বক্তা যোগেন্দ্ৰচন্দ্র বসুর সৎকার্য্যের উল্লেখ করেন। তৎপরে সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সহকারী সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত মন্মথমোহন বসু বি, এ মহাশয় এই প্ৰস্তাবের অনুমোদন করিয়া বলিলেন, যোগেন্দ্ৰচন্দ্ৰ ঈশ্বরপ্রেরিত লোক ছিলেন । তিনি নিরাভিমান ছিলেন । অভিমান ছিল না। বলিয়াই পর নিন্দায়, পরের গালিতে উত্তেজিত হইয়া তিনি কোন দিন মানহানির মোকদ্দমা নাই। তৎপরে সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু মহাশয় যোগেন্দ্র বাবুর সুলভ গ্ৰন্থপ্রকাশ বাঙ্গলা সাহিত্য নূতন প্ৰাণসঞ্চারের উল্লেখ করিয়া বলিলেন, বঙ্গে আজি যে স্বদেশীদ্রব্য ব্যবহারে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছে, ঐ বিষয় বঙ্গবাসী পত্রে বহুপুর্বে আলোচিত হইয়াছিল। তৎপরে অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ এম, এ মহাশয় তৃতীয় প্রস্তাব উত্থাপিত করিলেন,-“যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি পরিষৎ গভীর মৰ্ম্মবুেদনা প্ৰকাশ করিতেছেন। এই সংবাদ সভাপতির স্বাক্ষরিত করাইয়া তাহাদিগকে বিজ্ঞাপিত করা হউক ৷” প্ৰস্তাব করিয়া বিদ্যাভূষণ মহাশয় বলিলেন,-বঙ্গবাসীর ধৰ্ম্মান্দোলনে বঙ্গসাহিত্য নূতন জীবন লাভ করিয়াছে, বঙ্গসাহিত্যের ইতিহাসে ইহা উল্লেখযোগ্য । স্বদেশী আন্দোলনের প্রবর্তনও বঙ্গবাসীদ্বারা বহুপূর্বেই হইয়াছিল। নানারূপে বাঙ্গালী যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের নিকট ঋণী। হাই