পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F! ÞV)?R ] সিরীক্ষর কবি ও গ্ৰাম্যকবিতা 8S এইরূপ ভাবের কত প্ৰকার শ্লোক তৎকালের দরিদ্র রমণীগণ চরকা কাটিবার সময় সমস্বরে গা করিত। তাহদের নিকট হইতে শিশুগণ শিক্ষা করিয়া এই সকল ওজোগুণময়ী কবিতা মাঠে মাঠে প্ৰান্তরে প্রান্তরে গান করিয়া বেড়াইত । এই সমস্ত কবিতাকৰ্ত্তারা নিরক্ষার কি না। তাহা কবিতাগুলির ভাষায় উপলব্ধি হইবে। ৪ । সুতীর রাজা নন্দকুমার, লক্ষ বামুণ কল্পে সুমার। ইত্যাদি ৫ । আজগবী এক আইন হয়েছে, কৌনচলিদের সাথে হেষ্টিন ঝগড়া বাধিয়েছে। হায় রে হায় একি হলো বামুণের ফাঁসি হলো, নন্দকুমার মারা গেল। গুরুদাস ধূলায় পড়েছে। ইত্যাদি ৬ । জগত শেঠের বাড়ি, উমিচাদের দাড়ি, আর গোবিন্দলালের ছড়ি । অতঃপর আর একরূপ অত্যাবশ্যক ঐতিহাসিক শ্লোক উদ্ধত করিয়া এই অংশের উপসংহার করা যাইতেছে। এই সময় দেশের মুসলমান-গৌরবরবি চির অস্তগমনের পথে গমন করিতেছিলেনু, শ্বেতদ্বীপরাজলক্ষ্মী এই সময় তাহার বিশ্বগ্রাসী হৃদয় পাতিয়া পুত্ৰগণের দ্বারা যুধিষ্ঠিরের সিংহাসনে বসিবার উপক্ৰম করিতেছিলেন এবং বিধাতা গোপনে থাকিয়া কোটি কোটি ভারতবাসীর দণ্ডমণ্ডের কর্তা স্বরূপ ইংরেজকে এই দেশে কোরাণিকগণের তরবারির শাসন হইতে সভ্যতা শিক্ষা দিতে পাঠাইয়া দিতেছিলেন। ঠিক এই সময় অভিশপ্ত বঙ্গভূমির নিরক্ষর কবিগণ “প্ৰসিদ্ধ গিরিয়া উদ্যানের” আলিবর্দী ও সরফরাজ খাঁর সমরকাহিনী বিবাদব্যাপার লইয়াও অনেক কবিতা প্ৰস্তুত করিয়াছিল। যথা ১ । সহর হইতে নবাব হইল বাহির সাহার ক’রে খালি । দিনে দিনে সোণারু বরণ হয়ে গেল কালী । মারা মারি লেগে গেল “গিরিয়া” ময়দানে । কান্দে বাঙ্গলার সুবেদার হাপুসা নয়নে । পূৰ্ব্বেতে করিল মানা জাফর খাঁ নানা । ভাল মন্দ হলে নবাব সহর ছেড়ে না । গিয়াস খাঁ বলিল তখন শুন নবাবজি । আলিবর্দীর শির কেটে এনে দিব আজি । শুন শুন ওরে গিয়াস পাঠানের জাতি । ময়দানে পড়িল যেন মার আর কাটি । পড়িল নবাবের তাম্বু ব্ৰাহ্মণের স্থানে। আলিবর্দীর তাম্বু পড়ে গিরিয়া ময়দানে । শুন তুমি ওরে গিয়াস বলি যে তোমাকে। ভাইজান মিশিতে আসে লড়াই বল কাকে ।