@之 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রি কা [ ऽम् श्थं বাড়ীতে ৪/৫ টাকা বায়না লয়। নীলাম্বৱী কাপড়ের দ্বারা ছেলেগুলির মাথা মুড়িয়া তাহাতে রূপার গােট ঝুলাইয়া দেয় এবং কালিতে পাট ডুবাইয়া মেয়েলী চুল প্রস্তুতপূৰ্ব্বক বালকদিগকে সাজাইয়া অধিকারী গান করিয়া বেড়ায়। অথবা কোন কোন সামান্ত অর্থশালী অধিকারী যাত্রার দলের পুরাতন পরিচ্ছদ খরিদ করিয়া ছোকরাদিগের মাথায় মেমের টুপি দিয়া চুণ কালির সঙ্গে রং ফলাইয়া গান করিয়া, থাকে। কলিকাতা অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত উক্ত ধরণে এই চড়ক পূজার সঙ, বাহির হয়। সাধারণতঃ অষ্টক গীতের অধিকারী ভায়া পুথি পড়িয়া ছোকরাগণের সরকারী করিয়াই বাহার লইয়া থাকে। চৈত্রের ভীষণ রৌদ্রে এই অষ্টক গীত গায়কগণের কত আনন্দ-হৃদয়ে সুখের ফোয়ারা ছুটিতেছে, প্রাণভরা হাসি বুকভরা কৌতুক লইয়া ইহার লোকের বাড়ীতে বাড়ীতে দেলুতীর সঙ্গে নাচিয়া গাইয়া ফিরিতেছে। এই সময়ে এই গায়কগণ কচি আম, নোনাফল, ফুটি, অপক তরমুজ খাইয়া ঘটী ঘটী জল পান করিতে থাকে। সুখের বিষয়, এত অত্যাচারে এই গায়ক শিশুগণের কোন বিশেষ পীড়া হইতে শুনি নাই। ইহারা কিন্তু বলে যে শিবঠাকুরের কল্যাণে ব্যাধি হয় না। কিন্তু আমরা জানি যে আমোদ কৌতুকের সময় হৃদয়ে শান্তি থাকে বলিয়া পীড়া প্ৰকাশ হইতে পারে না। যাহা হউক, দেবতার প্রসঙ্গেই হউক আর অভ্যাস গুণেই হউক এই অষ্টক গায়কগণ বড় শ্রমসহিষ্ণু। একটি অষ্টকের দলে উৰ্দ্ধ সংখ্যা ৬৭টি লোক থাকে। দুইজন বাদক, একজন জুড়িদার, আর ৩৪টি গায়ক। এই গীতের বাধনি প্ৰায়ই আট চরণে সমাপ্ত-তাই ইহাকে অষ্টক কহে। পদ্যের লঘু ত্রিপদী অথবা দীর্ঘ ত্রিপদী ছন্দে এই গীত গ্রথিত। যখন মধ্যে মধ্যে বালকগণ ও অধিকারী অতি উচ্চস্বরে “আহা বেস” বলিয়া গীতের বাহার দিয়া নৃত্য করিতে আরম্ভ করে, তখন অতি গম্ভীর ব্যক্তিকেও না হাসিয়া থাকিতে দেখা যায় না। আমরা নানারূপ অষ্টক গীত শুনিয়াছি, আবশ্যক বােধে গুটি দুই গীতের অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করিয়া শ্রবণেচ্ছু পাঠকের পিপাসা নিবারণ করিতেছি। যথা ১ । শুন বৃন্দে সহচরী, যে দুঃখে অভিমান করি, তোমা বিনে আর কারে কবো ; যখন প্ৰেম করিলেন। দয়াময়, হাতে ধরে রাধারা পায়, বলে ছিলেন অন্তে নাহি চাবো । এখন তা গেল দূরে, ডাকছেন সদা বাঁশির সুরে, ললিতের জন্যে ফিরে ফিরে চায় ; একদিন নিশি প্ৰভাত হলে পরে, দেখা দিলেন কুঞ্জঘারে, তাম্বুলের দাগ দেখি শুষ্ঠামের গায়। ইতু্যান্ধি ২। যত সব গোয়ালানারী, কলসী কাখে সারি সারি, ১ যমুনাতে জল আনতে যায় ;
