পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ २ नश्थं ضو মধুসূদনের দ্বিতীয় পুত্র কৃষ্ণধন সেন মহাশয় চিকিৎসাশাস্ত্রে এরূপ অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন যে, সাধারণে র্তাহাকে চিকিৎসাবিষয়ে দৈবশক্তিসম্পন্ন জ্ঞান করিত। র্তাহার তিন পুত্র ; শচীনন্দন, যশোদানন্দন, দৈবকীনন্দন। ইহঁাদিগের মধ্যে দৈবকীনন্দনের তিন পুত্ৰ, শ্ৰীমান্য যোগেশচন্দ্ৰ, শ্ৰীমান হেমচন্দ্র ও শ্ৰীমান ভূষণচন্দ্ৰ। শিবচন্দ্ৰ সেন মুরশিদাবাদ জেলার শ্ৰীরামপুরের ভগীরথপুর নামক স্থানে বাস করেন এবং তথায় তাহার পুত্রেরা বাস করিতেছেন ; মধুসুদন সেন মহাশয়ের বংশীয়েরা অপর সকলেই টোেয়াগ্রামে বাস করিতেছেন। গােকুলানন্দ সেন মহাশয়ের বাড়ীর পার্থেই অধিকারী ও মুখােপাধ্যায় পরিবারের বাস। ইহঁরা টেয়াগ্রাম নিবাসী ত্ৰিবেদী মহাশয়দিগের গুরুবংশ। ত্ৰিবেদী মহাশয়দিগের পূর্বপুরুষ মনোহর রায় পশ্চিম দেশ হইতে আসিয়া টেীয়া গ্রামে বাস ও উপরোক্ত অধিকারী ও মুখোপাধ্যাক্স পরিবারের শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করেন। ত্ৰিবেদিবংশে প্ৰধান প্ৰধান মহাত্মগণ জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। কলিকাতা রিপণ কলেজের বর্তমান সুযোগ্য অধ্যক্ষ, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ সভার সুদক্ষ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল রত্ন, শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী, লালগোলাধিপুতির গৃহচিকিৎসক চিকিৎসাশাস্ত্ৰে প্ৰগাঢ় বুৎপন্ন ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত নৃসিংহ প্ৰসাদ ত্ৰিবেদী, কাৰ্য্যকুশল শ্ৰীযুক্ত প্ৰসন্নকুমার ও পরহিতৈষী শ্ৰীযুক্ত মুকুন্দকুমার ত্ৰিবেদী মহাশয়গণ এই বংশ উজ্জল করিতেছেন। এই দেশপ্ৰসিদ্ধ ত্ৰিবেদী মহাশয়দিগের গুরুকুলে “কৃষ্ণরায় জিউ” নামক বিগ্ৰহমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছেন। সুশিক্ষিত শ্ৰীযুক্ত আশুতোষ, শ্ৰীযুক্ত চণ্ডীচরণ, শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ, ও শ্ৰীযুক্ত ফণিভূষণ মুখোপাধ্যায় এই বিগ্ৰহদেবের বর্তমান সেবাইত। কথিত আছে, শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণ রায় জিউর এক দিবস রাত্ৰে গোকুলানন্দ সেনকে প্ৰত্যাদেশ করেন যে, রাত্ৰিতে বড়ি পোড়া ও পরিষ্টি অন্ন ভোজন করিতে র্তাহার অভিলাষ হইয়াছে। ইহার পূর্বে রাত্রিকালে এই বিগ্ৰহ দেবের ভোগ দেওয়ার কোনই প্রথা ছিল না ; গোকুলানন্দ এ প্রকার ঈশ্বরানুগৃহীত, দেশমান্য, ও দেশপূজ্য ছিলেন যে, তিনি তঁহার প্রতি প্ৰত্যাদেশের বিষয় প্রকাশ করিবামাত্র রাত্রিকালে বড়ি পােড়া ও পরিষ্টি অন্ন দ্বারা শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণ রায়জিউ বিগ্রহের ভোগ দেওয়ার বন্দোবস্ত হয় এবং তদবধি রাত্রিতে ঐ প্রকারে ভোগ হইয়া আসিতেছে। , বৈষ্ণবদাস ও উদ্ধবদাস উভয়েই গুরুবংশের জলকষ্ট নিবারণ জন্য গুরুবংশের বাড়ীর পাৰ্থে দুইটী পুষ্করিণী খনন করিয়া দেন। এই দুইটী পুষ্করিণী অন্যাপি বৰ্ত্তমান থাকিয়া তাহাদের কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে। বৈষ্ণব দাসের জলাশয়ের নাম “বৈষ্ণবকুণ্ড” এবং উদ্ধব দাসের জলাশয়ের নাম “ঠাকুর পুষ্করিণী।” আজি কতকাল হইল বৈষ্ণব দাস ইহ জগৎ হইতে অন্তহিঁত হইয়াছেন, কিন্তু এ পৰ্যন্ত কেহই ঙাহার বাস্তু ভিটায় বাস করিতে সাহসী হয় নাই। বৈষ্ণবদাস ঠাকুর ও উদ্ধবদাস ঠাকুর মহাশয়দ্বয় যে স্থানে বসিয়া নাম সঙ্কীৰ্ত্তন করত রাধাকৃষ্ণপ্রোক্কম বিভোর হইয়া থাকিতেন, যে স্থানে দেশদেশান্তর হইতে বৈষ্ণব সাধুগণ সমাগত হইয়া কৃষ্ণকান্ত গোকুলানন্দের সহবাসে