পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা f २ग्र ज९था। هوسا পরাণ রবি বসেছে পাটে,-সঁজ লেগেছে নাকে ঠোটো মিটে এলো গলার সুর। ছিল হাটে দোকানি যারা-ক্রিমে সরে পলে তারা, হ’লেম নজর ধরা-দিশে হারা, বেসাতির হিসেব হ’ল দুর। এই সঙ্গীতটীির মৰ্ম্ম অবগত হইলে আমরা বুঝিতে পারিব, কানাই অস্তিমের সেই শেষের দিনের জন্য কেমন সুন্দর ভাবে প্ৰস্তুত ছিল। মৃত্যুর সেই ভীষণ ভ্ৰকুটি তাহাকে ভয় দেখাইতে পারে নাই। ভবের খেলা খেলিয়া প্ৰকৃত মানবগণ শেষের বন্ধু মৃত্যুর জন্য এই ভাবেই প্ৰস্তুত হইয়া থাকে। মৃত্যু মানবের ঈশ্বরপ্রাপ্তির এক মহাবিস্তৃত পথ। ভক্ত আর ভগবানে এই স্থানেই মিলন হইবার উপায়। মরিবার কথা উপস্থিত হইলে কবি কানাই বলিত ডেঙ্গায় জলে আছে পা; হাত ধরে আয় নিয়ে যা । আর চাইনে ভেলকী খেলতে, বাড়ী যাই হাসতে হাসতে, শুকনো গাছে ঝুলছে ফল, দূরে গেছে গায়ের বল, আয়রে মৌও হাওয়ায় দুলে উড়ায়ে দিয়ে বা, কানা মাছি আছে ব’স্যে-হাত ধরে আয় নিয়ে যা । আহা এই নিরক্ষর কবির কবিতা শুনিয়া’ আর একটী শিক্ষিত কবির কবিতা মনে পড়ে। দুইটীই প্ৰায় একি ভাবের মাধুৰ্য্যে মাধুৰ্যময়ী। সাভাবশতক প্রণেতা কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার বলিয়াছেনওহে মৃত্যু তুমি মোরে কি দেখাও ভয় ও ভয়ে কম্পিত নয়। আমার হৃদয় । যাহাদের নীচাসক্ত অবিবেকী মন অনিত্য সংসার মদে মুগ্ধ অনুক্ষণ । যারা এই ভবান্ধপ অতিথিভবনে চির বাসস্থান বলি ভাবে মনে মনে। হেরিলে নয়নে এই ভ্ৰকুট তোমার তাহা দেখি হয় মনে ভয়ের সঞ্চার। এখন কথা এই যে, এই শিক্ষিত আর অশিক্ষিত কবিদ্বয়ের কবিত্ব আলোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই যে, শিক্ষিত কবির ভাব হইতে অশিক্ষিত কবি রভাব কত উচ্চে প্রতিভাকে পরিাচালনা করিয়াছে। মজুমদার মহাশয় বলিতেছেন যে, নীচাসক্ত অবিবেকীরাই মৃত্যুর ভ্ৰকুট দেখিয়া ভয় করে, অন্যে নহে। আর কানাই বলিতেছে- আয় মৃত্যু হাত ধরিয়া লইয়া যা, হাসিতে হাসিতে তোর সঙ্গে বাড়ী যাই । আহা কি গভীর প্রাণতলম্পৰ্শী কথা । মানব মাত্রেই যদি এইরূপ নির্লিপ্তভাবে কুহকময় সংসার হইতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিতে সক্ষম হয়, তবে সে দেবতা নয়তো আবার দেবতা কে ?-কবি কানাই কখনও গীতার-লিঙ্কাম ধৰ্মও শিক্ষা করে নাই, ইউরোপীয় মহর্ষি ইষার মহাবাক্যও শ্রবণ করে নাই, কেবল মহাযোগী মহম্মদের কামনাময় স্বৰ্গপ্ৰাপ্তির শেষ