পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেন * । ধৰ্ম্মজগতের ইতিহাসে, ঈশ্বরের হস্ত দেখিয়া বিস্ময়ান্বিত হইতে হয়। যখন লোকে সত্য পথ ত্যাগ করিয়া বিপথে গমন করে, তখন পরমেশ্বর তাহদের প্রতি করুণা প্ৰকাশ পূর্বক মহাপুরুষদিগকে প্রেরণ করেন। এই সকল ধৰ্ম্মবীর অগ্নিময় বাক্য সমূহদ্বারা পথভ্রষ্ট ব্যক্তিগণকে প্ৰবােধিত করেন এবং নানা প্রকার সদুপদেশ দ্বারা তাহাদিগকে সৎপথে লইয়া যান। লোকের অন্তঃকরণে যে সকল কুসংস্কার দৃঢ় হয়, সেই সমুদয়কে নিৰ্ম্মল করা সহজ ব্যাপার নহে। এই জন্য সেই সমস্ত ধৰ্ম্মবীরগণকে কুসংস্কারসমূহের বিরুদ্ধে ঘোরতর সংগ্ৰাম করিতে হয়। তঁহাদের সাধু অভিপ্ৰায় হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া, অনেকে তঁহাদের প্রতি বিরুদ্ধাচরণ করে। কিন্তু মেঘ কতক্ষণ সুৰ্য্যকে লুকাইয়া রাখিতে পারে ? প্রবল বেগে পবন বহিলে মেঘ কোথায় উড়িয়া যায়, এবং তপন আপনার প্রভাব চারি দিকে বিস্তার করেন। সেইরূপ কুসংস্কার সকল তিরোহিত হয়, এবং সত্য উজ্জ্বল প্ৰভা ধারণ পূর্বক চারি দিক উদ্ভাসিত করে। যখন মুসা (Moses ) এবং তাহার পরবর্তী মহাপুরুষগণ কর্তৃক প্ৰবৰ্ত্তিত এক ঈশ্বরের উপাসনা ক্ৰমে বিকৃত ভােব ধারণ করিল, তখন একজন ধৰ্ম্মংস্কারকের প্রয়োজন হইল। উপযুক্ত সময়ে ঈশা খ্ৰীষ্ট (Jesus christ ) আবির্ভূত হইয়া, ইহুদী জাতিকে সৎপথে লইয়া যাইবার জন্য ধৰ্ম্ম প্রচার করিলেন। আবার যখন ঈশা কর্তৃক প্রদত্ত উপদেশ সকল হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া, লোকে তঁহাকে এবং তঁহার জননী ও প্রধান প্রধান শিষ্যকে পূজা করিতে আরম্ভ করিল, তখন আর একজন ধৰ্ম্মবীরের প্ৰয়োজন হইল, এবং যথাসময়ে মহম্মদ সাধারণের সমক্ষে উপস্থিত হইয়া এক ঈশ্বরের উপাসনা প্রচার করিলেন। পাছে তঁহার অনুবক্তিগণ তঁহাকে ঈশ্বরের স্থানে বসায়, এই আশঙ্কায় তিনি তঁহার শিষ্যগণকে বিশেষরূপে বুঝাইয়া দিলেন যে, পরমেশ্বরই সকলের উপাস্ত ; তিনি তঁহার একজন ভৃত্য মাত্র। ভারতবর্ষের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেও ঈশ্বরের কাৰ্য দেখিতে পাওয়া যায়। ভারতে ধৰ্ম্মবিপ্লবের প্রাক্কালে ধৰ্ম্মবীর বুদ্ধদেব প্রাদুভূতি হয়েন, এবং আন্তরিক পবিত্রতা ও জীবের প্রতি অহিংসাকে পরম ধৰ্ম্ম बलिग्रां @吋郊 করেন। আবার যখন তন্ত্র সকলের মৰ্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া লোকে ভ্ৰষ্টাচারী হইয়া উঠিল, তখন পবিত্রতা এবং প্রেমের অবতার চৈতন্য দেব সমুদিত হইয়া প্ৰকৃত বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম প্রচার করিলেন। ভক্তি ও দয়া চৈতন্য দেবের মূলমন্ত্র ছিল। এই মন্ত্রের দ্বারা তিনি আপামর সাধারণকে দীক্ষিত করিলেন । চৈতন্য দেবের অন্তৰ্ধানের পর, বৈষ্ণবদল প্রবল হইয়া উঠিল, শাক্তগণ তাহদের দমন করিবার জন্য বদ্ধ-পরিকর হইল। শাক্ত ও YS KBDDDS LK BESSKD DBDD BBBDKBD EuDuSS