পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । wif ও ব্রহ্মচারিগণ এই পবিত্ৰ স্থান দর্শন করিতে আসিয়া বেদীর উপরে অবস্থিতি করেন। এই সমিতির সভ্যগণের যত্নে গত দশ বৎসর হইতে মহাত্মা রামপ্ৰসাদের স্মরণার্থে একটিী মেলা হইতেছে। ইহা প্ৰসাদমেলা নামে অভিহিত। প্ৰতি বৎসর কালীপূজার সময়ে ইহার অনুষ্ঠান হয়, এবং তদুপলক্ষে কালীদেবীর পূজা হইয়া থাকে। এই মেলা হালিসহরগ্রামবাসীদের মধ্যে আবদ্ধ থাকা উচিত নহে। ইহাকে জাতীয় মেলাতে পরিণত করা, বঙ্গবাসী মাত্রেরই কৰ্ত্তব্য। মেলার স্থলে উক্ত সমিতির সভ্যগণ একটি পর্ণকুটীর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। ইহার পরিবর্তে একটী ইষ্টকালয় সংগঠিত হওয়া উচিত। আহিলাদের বিষয় এই যে, হালিসহরবাসিগণ এতদৰ্থে যত্নবান হইয়াছেন। হালিসহরের হিতৈষিণী সভা একটী “প্ৰসাদ-প্ৰাসাদ” নিৰ্ম্মাণ জন্য অর্থসংগ্ৰহ করিতেছেন। এতৎসভার সভ্যগণের ইচ্ছ। এই যে, প্রাসাদটী চারিটী গৃহে সম্পূর্ণ হয়- একটী দেবালয়, একটী অতিথি-শালা, একটী পুস্তকাগার এবং একটী চতুষ্পাঠীরূপে ব্যবহৃত হয়। প্ৰস্তাবিত প্ৰাসাদটী নিৰ্ম্মিত হইলে উহা সকল লোকের পক্ষে প্রীতি-প্ৰদ হইবে। এই পুণ্যভূমি দেখিবার জন্য নানা স্থান হইতে ভক্তগণ আগমন করেন, এবং তঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ প্ৰসাদী-পদ গাইয়া থাকেন। দেবালয়টিী র্তাহাদিগকে পরম আনন্দ বিতরণ করিবে । রামপ্ৰসাদ আতিশয় বদ্যান্য ছিলেন । অতিথিসৎকার তঁহার একটি দৈনিক কাৰ্য্য ছিল । সুতরাং তঁাহার স্মরণার্থে অতিথিশালা সবিশেষ উপযোগী। একটী পুস্তকালয় সাহিত্যসেবকদিগের প্রতিপ্ৰদ্ধ হইবে। চতুষ্পাঠীর উল্লেখ আর কি করিব ? এক সময়ে হালিসহর সংস্কৃতের আলোচনার একটি প্রধান স্থান ছিল। ইহা কুমারহট্ট-সমাজ বলিয়া বিখ্যাত হইয়াছিল। এখন এ সমাজ প্ৰায় পণ্ডিতশূন্য হইয়াছে। যাহাতে ইহা পূৰ্ব্বকার খ্যাতি লাভ করিতে পারে, তৎপক্ষে যত্নবান হওয়া সকলেরই কৰ্ত্তব্য। যে পর্ণকুটীরাটীর উল্লেখ করিয়াছি, তাহা এখন চতুষ্পাঠীর কাৰ্য্য করি।- তেছে। এক জন অধ্যাপক তথায় কতিপয় ছাত্রকে উপদেশ দিয়া থাকেন। হালিসহর বাসীদের উদ্দেশ্য কাৰ্য্যে পরিণত হউক, ঈশ্বরের নিকট ইহাই প্রার্থনা। Sæste stoffotogts