পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ বৈশাখ পাঠক মহাশয় বোধ হয় ব্ৰাহ্মণীর উপর খড়গহস্ত হইয়াছেন, কিন্তু শুনুন :- সবে বলে পাগলিনী বলে কি বচন । ব্ৰাহ্মণী কহেন কথা শুন দিয়া মন ৷ রামেরে কাটিতে যদি কৈকেয়ী কহিত । নারীজিত দশরথ তখনি কাটিত ৷ বাচিল রামের প্রাণ বাঘিনীর মুখে। চৌদ্দ বর্ষ গতে রামে ঘরে পাবে সুখে ॥ সবে বলে ভাল কহিলেন ঠাকুরাণী। এত বলি গৃহে গেল। যতেক রমণী ৷ অযোধ্যাকাণ্ড । বালিবধের পর রামলক্ষ্মণ মাল্যবান, পৰ্ব্বতে বর্ষাকাল অতিবাহিত করেন। কবি বলিতেছেন :- কুটীরে করেন বাস কমললোচন। সীতার কারণে সদা ঝোরে দুনান ৷ »ासृन् न न भिद्ध्ाभ्ठन्न । তার গুণে রাঘবের দেহে রহে প্ৰাণ ৷ আষাঢ়ে। নবীন মেঘ দিল দরশন। যেমত সুন্দর শু্যাম রামের বরণ ! ঘন ঘন ঘন গৰ্জে অতি অসম্ভব । যেমন রামের ধনু টঙ্কারের রব ৷ রয়ে রয়ে সৌদামিনী চমকে গগনে। যেমন রামের রূপ সাধকের মনে ৷ ময়ুর করয়ে নৃত্য নব মেঘ দেখি। রাম দেখি সজ্জন যেমত হয় সুখী | সদা জলধারা পড়ে ধারণী উপরে। সীতা লাগি যেমত রামের চক্ষু ঝোরে ৷ সরসিজ, শোভাকর হৈল সরোবরে । যেমত শোভিত রাম সেবক-অন্তরে ৷ মধু আশে পদ্মে অলি বাস করে মোদে। যেমত মুনির মন রাঘবের পদে ৷ জলপানে চাতকের তৃষ্ণা দূরে যায়। রাম পেলে যেমত বাসন ক্ষয় পায় ৷