পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (নবম ভাগ).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা ।/مالا স্থাপনের কথা বলেন, তাহাদের বিবেচনা করা উচিত যে এ প্রণালীতে ভাষার একতা হয় DS DBD DBDD DDBD BB DBDBDB sBDD DD SSS SBBD SBKB DBB DBB DDD DDB0DSBDDS BDDBD ZBDD DBBDDBD DBD DB DBBB sBBDB DBB BBB DBLSS ভাষার একত্বসম্পাদন ব্যাকরণে হয় না । কোন দেশে প্ৰতিভাশালী লেখক জন্মিলেই লোকে তাহার রচনা অনুকরণ করিতে চেষ্টা পায়, এইরূপে সাহিত্যের ভাষার গতি একত্বের BDB TBDKY DDBS STLB DDD SDDD S sLYYG DDBBBB BBDBDBD DDB D SsODLDDS শালী লেখক যে প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন, সেই স্থানের কথিত ভাষাই লিখিত ভাষার আদর্শ হয় । এইরূপ ইংল্যাণ্ডে চসারের ভাষা, ইটালীতে দান্তের ভাষা, জাতীয় ভাষা হইয়াছে । আমাদের বাঙ্গালা ভাষার গদ্য সাহিতের পরিণতি দেখিলে তাহা বুঝা যাইবে । প্ৰথমে রাজা রাম মোহন, পরে বিদ্যাসাগর মহাশয়, পরে বঙ্কিম বাবু ভাষার রশ্মি ধরিয়া তাহাকে যে দিকে লইয়া গিয়াছেন, ভাষা সেই দিকে গিয়াছে । এখনও বঙ্কিমের ভাষাই চলিতেছে, তাহাব ভাষারই অনুকরণ সর্বত্র হইতেছে । পাড়ে মহাশয় পঞ্চাশ বৎসব পরে বিদ্যাসাগবের ভাষার অবোধ্যতার বা লোপের যে আশঙ্কা করিলেন, আমি দেখিতেছি। তাহার কোন প্ৰতিকাব নাই। তাহা হইবেই হইবে । ইংলণ্ডে ও তাহা হইয়াছে। চসারের বা সেক্সপিয়রের ভাষার অভিধান ব্যাকরণ স্বতন্ত্র হইয়া পড়িয়াছে; তাহা বুঝিতে ব্যাখ্যার আবশ্যক হয়। ভাষাকে নিয়ন্ত্রিত করিবার চেষ্টা পাইলে বিদেশী ভাষা বুঝা দূরে থাক, বিভিন্ন প্ৰদেশীয় ভাষার একত্ব সাধন দূরে থাক, শিক্ষারই বিস্তার হইবে না। পাড়ে মহাশয়ও স্বীকার করিয়াছেন, সে কালে শিক্ষার বিস্তার ছিল না । শিক্ষার বিস্তারের জন্য রচনার ভাষা যত কথিত ভাষার নিকটবর্তী হইবে, ততই সুফল ফলিবে। ভাষা অর্থে যদ্বারা ভাষণ করা যায়, সুতরাং তাহা কথিত ভাষার নিকটবৰ্ত্তী হওয়াই উচিত । বুদ্ধদেব কথিত ভাষার নিকটবর্তী হইবে বলিয়াই পালি ভাষায় উপদেশ গ্ৰন্থাদি নিবদ্ধ করিতে আদেশ দিয়াছিলেন । আলোচনা কালে অনেকে সংস্কৃত ব্যাকরণের পক্ষপাত দেখাইয়া যে সকল সুবিধার কথা উল্লেখ করিালেন, তাহার কোনটিই সংস্কৃতের প্রলেপময় ভাষা দ্বারা হইবার নহে, এসম্বন্ধে জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি যাহা বলেন, তাহার উল্লেখ করিতেছি । বাকুল বলেন, জৰ্ম্মনিতে ইংলণ্ডের অপেক্ষা অনেক প্ৰতিভাবান জ্ঞানী সুলেখক জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, কিন্তু তবুও জম্মুণীতে ইংলেণ্ডেব ন্যায় শিক্ষার বিস্তার চয় নাই, তাহার কারণ এই যে জাৰ্ম্মণেব সাহিত্যের ভাষা জন সাধারণের ভাষার অনেক দূরে। আর ইংলণ্ডের সাহিত্যের ভাষা, যে ভাষা শিক্ষাবিস্তারের মিডিয়ম, তাহা সাধারণের ভাষার অতি নিকটবৰ্ত্তী । ভাষার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, তবে সে পরিবর্তন যত সাধারণের বোধ্য হয়, ভাষার নিকটস্থ হয়, ততই ভাল । তাহাই বাঞ্ছনীয় । তৎপরে শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বলিলেন, হীরেন্দ্ৰ বাৰু যাহা বলিয়াছেন, প্ৰবন্ধের আলোচ্য বিষয়ে তদন্তিরিক্ত বলিবার আর কিছুই নাই। নিঃশেষ করিয়া সকল কথার উত্তর