পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ २म ज९था । গমন করিতেছিলেন, দেবগণের দৌত্যকাৰ্য্যে প্রতিশ্রুত হইয়া তাহার সেই একমাত্র প্ৰিয়তম। দময়ন্তীর নিকটে দেবতাদের অসমক্ষে ঐ রূপ অকপটভাৰে প্রার্থনা করা অতি मश्Çदुइ পরিচায়ক। এই কাব্যের নায়িকা দময়ন্তী,-তিনি স্বীয়া নায়িকার সর্বোৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। দোষের মধ্যে বড় প্ৰগলভা, ৪র্থ সকল কথা সখীদের নিকটে বলিতে গিয়াও লজ্জায় মস্তক নত করা উচিত, তিনি অনায়াসে হংসের নিকটে ও দৌত্যকাৰ্য্যে ব্ৰতী নলের নিকটে সেই সকল কথা বলিতে কুষ্ঠিত হুন নাই। তঁহার সখীগুলি আবার ততোহধিক নির্লজ্জ । নলের বিরহে দময়ন্তীর ভাবান্তর দর্শনে তাহারা উদ্যান হইতে ফিরিয়া আসিয়া রাণীকে এমন ভাবে তিরস্কাল করিয়াছিল যে, তাহদের বয়সের অযোগ্য ঐ সকল কথা পাঠ করিতে লজ্জা বোধ হয় । পূর্বেই বলা হইয়াছে, দুর্গামঙ্গল-কাব্য-রচয়িত একজন কাব্যশাস্ত্ৰে নিপুণ পণ্ডিত ছিলেন। তিনি এই কাব্যে অনুপ্রাস, উপমা, দৃষ্টান্ত, নিদর্শনা, অৰ্দ্ধান্তরঙ্গ্যাস প্রভৃতি অনেক অলঙ্কারযুক্ত পদ্য লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। এখানে উৎপ্রেক্ষা অলঙ্কারের দৃষ্টান্ত কতিপয় পংক্তি উদ্ধত হইল। এই প্ৰকার উৎপ্রেক্ষাকে, মালারূপিণী উৎপ্রেক্ষা বলা যাইতে পারে। যথা,- “সভা মধ্যে আসিয়া বসিল গুণাকর । তারকার মাকে যেন শোভে শশধর । পতঙ্গ উদয়ে যেন পতঙ্গ লুকায়। গরুত্মান-মাঝে গরুত্মান শোভা পায় ৷ গৰ্দভ নিকটে যেন তুরঙ্গের শোভা । মক্ষিক নিকটে যেন গুঞ্জে মধুলোভা ৷ ছাতারিয়া, মাঝে যেন খঞ্জনের নৃত্য । প্রভুর আগ্ৰেতে যেন শোভা পায় ভূত্য ৷ এখন্তোতের তেজ, লুপ্ত হয় দিবাভাগে । কুরঙ্গের রঙ্গ ভঙ্গ কুকুরের আগে ৷ নলের তেজেতে সবে হইল বিবর্ণ। রাঙ্গ মাঝে রূপা যেন পিতলে সুবর্ণ ৷ কাচ মাঝে হীরা যেন স্ফটিকে মুকুতা । শেকুল কণ্টক মাঝে মালতীর লতা ৷ সারসের শোভা ক্ৰৌঞ্চ কুমুদের মাঝে । রাজহংস শোভা পায় কাদম্বসমাজে ৷ হেন্তাল কানন মাঝে শোভে নারিকেল । গাবের নিকটে যেন শোভা পায় বেল ৷ &श्क्र° गड्ग:३ C*ऊ श्रीश नाढ् । রামচন্দ্ৰ কহে দুৰ্গা পদে দেহ স্থল ৷ এই কাব্যের বর্ণনায় ছন্দের চাতুৰ্য্যও নিতান্ত অল্প নহে। পয়ার, ত্রিপদী, দীর্ঘত্রিপদী, লঘুত্রিণাদী, ভঙ্গপয়ার, চৌপদী, চন্দ্রাবলী প্রভৃতি অনেকগুলি ছন্দ এই কাবোঁ । ব্যবহৃত হইয়াছে। বাহুল্যপ্রযুক্ত ছন্দের উদাহরণ উদ্ধত হইল না। পুর্বেই লিখিত হইয়াছে, এই কাব্যে দুইশত বৎসর পুর্বের বাঙ্গালীসমাজের একটী সুন্দর চিত্ৰ আছে। এখানে দময়ন্তীর বিবাহের বর্ণনার কিয়দংশ উদ্ধত করিয়া এই প্ৰবন্ধের উপসংহার করিব। বৰ্ত্তমান সময়ের দুইশত বৎসর পুর্বেও বর্তমান সময়ের তুলনায় আচার ব্যবহারে বিশেষ কিছু পার্থক্য ছিল না। আলিপুনা দেওয়া, জলসাধা, গায়ে হলুদ, আইবড়ভাত, চেন্দিরাজ বসুর পূজা, বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ, সাতপাক প্ৰদক্ষিণ প্ৰভৃতি সমুদয়ই বর্তমান সময়ের &্যায়(ছল ৷ যথা- ( ,