পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ১৬৪ । সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৩য় সংখ্যা । * ( দ্বিতীয় পদ ) “রাধা মাধব বিলাসই কুঞ্জক at তনু তনু সরস, পরশ রস পিবই, কমলিনী মধুকররাজ ॥ ধ্রু ৷ সচকিত নাগর, কঁপাই থর থর, শিথিল করল। সব অঙ্গ । গদ গদ কহয়ে, রাই ভেল অদরস, কবে হোয়ব তছু সঙ্গ । সে ধনী চান্দবদন কিয়ে হৈরব, শুনব অমিয়াময় বোল। ইহ মঝু হৃদয়, তাপ কিয়ে মিটব, সোই করব কিয়ে কোল ৷ ঐছন কতহু, বিলাপই মাধব, সহচরী দূর হি হাস। অপরূপ প্ৰেমে, বিষাদিত মাধব, কহত হি মাধবী দাস ৷” এখন পাঠক, বঙ্গভাষার প্রাচীন স্ত্রী-কবি মাধবীদেবীর স্থান, পদকৰ্ত্তাগণের মধ্যে কোথায় ? আপনিই তাহা নির্দেশ করুন। শ্ৰীঅচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি। গৌড়াধিপ মহীপালদেবের তাম্রশাসন। গতবারে মদনপালদেবের তাম্রশাসন প্ৰকাশ করিয়াছি। সেই প্ৰবন্ধ মধ্যে লিখিয়াছিলাম, মদনপাল ও মহীপালদেবপ্রদত্ত দুই প্ৰস্থ তাম্রশাসন সংগ্ৰহ করিয়া দিনাজপুরের সুযোগ্য ম্যাজিষ্ট্রেট, শ্ৰীযুক্ত নন্দকৃষ্ণ বসু মহাশয় পরিষৎকাৰ্য্যালয়ে পাঠাইয়াছেন। আজ যে মহীপালদেবের তাম্রশাসনের পরিচয় দিতেছি, এথানি বসু-মহাশয়-সংগৃহীত তাম্রশাসনদ্বয়ের অন্যতর। কিরূপে এই তাম্রশাসনদ্বয় পাওয়া যায়, পূর্বপ্রবন্ধে লিখিতে পারি নাই। সম্প্রতি মাননীয় বনু মহাশয় আমাদিগকে এইৰূপে প্ৰাপ্তিসংবাদ দিয়াছেন,-

  • ङ S२!”२ ग८ढ निावश्वप्झन्न অন্তৰ্গত মনহালী গ্রামে কোন উদ্যান মধ্যে পুষ্করিণী-খননকালে একখানি বৃহৎ তাম্রশাসন পাওয়া যায়। শ্ৰীযুক্ত বাবু যোগেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তাম্রশাসনখানি সংগ্ৰহ করেন এবং এতদিন তঁহারই নিকট ছিল । গত বারের পত্রিকায়, এই তাম্রশাসনখানির বিষয় প্ৰকাশিত হইয়াছে।

অপর ( বর্তমান আলোচ্য)। তাম্রশাসনখানি বাণগড়ের ধ্বংসাবশেষ হইতে আবিষ্কৃত হইয়াছে। নবাবাজারের জমিদার নৃসিংহচরণ নদী মহাশয়ের নিকট এতদিন ছিল। নন্দকৃষ্ণবাবু দিনাজপুরে অৰস্থানকালে উক্ত তাম্রশাসনদ্বয়ের সন্ধান পাইয়া সংগ্ৰহ করেন এবং যথাযথ পাঠ ও অনুবাদসহ প্ৰকাশ করিবার জন্য পরিষৎকাৰ্য্যালয়ে পাঠাইয়া দেন । তাহার অভিপ্রায়ানুসারে ইতিপূর্বে একখানির পাঠ ও অনুবাদ প্ৰকাশ করিয়াছি। এখন অপর খানির বিবরণ যথাযথ প্ৰকাশ করিলাম।