সন ১৩১৫ । } ধোয়ী:কবির পবনদূত ॥ ২ গাঢ়শ্লিষ্ট ক্রমুকতরবঃ প্ৰাঙ্গণেনোগ্ৰবল্ল্যৈা বাল্যাং যত্ৰ প্ৰিয়তম পরীরম্ভমধ্যাপায়ন্তি ৷” ২৬ ৷৷ যদি কেরল রমণীগণের ক্রীড়া দেখিবার ইচ্ছা থাকে, তাহা হইলে সেখান হইতে যযাতিয়া প্ৰসিদ্ধ নগর যাজপুরে যাইবে । এই নগরে উঠানে উঠানৈ লতাগুলি সুপারিগাছে গাঢ় আলিঙ্গন করিয়া বালিকাদিগকে আলিঙ্গনবিদ্যা শিক্ষা দিতেছে। তথা হইতে সুহ্মদেশ- । “গঙ্গাবীচিপ্ন তপরিসরঃ সৌধমালাবতংশে হধ্যাস্যতুচ্চৈত্ত্বীয় রসময়ে বিস্ময়ঃ সুহ্মদেশঃ। শ্রোত্রাক্রীড়াভরণপদবীং ভূমিদেবাঙ্গনানাং । তালীপত্ৰং নবশশিকলা কোমলং যাত্ৰ ভাতি ॥ ২৭ তস্মিন সেনান্বয়নুপতিনা দেবরাজ্যাভিষিক্তো দেবঃ সুহ্মাদ বসতি কমলাকেলিকারো মুরারিঃ । পাণৌ লীলাকমলমসকৃদ যৎসমীপে বহন্ত্যো লক্ষীশঙ্কং প্ৰকৃতি সুভগাঃ কুৰ্বতে বাররামাঃ ॥” ২৮ ৷৷ সেখান হইতে সুহ্মদেশ, উহার পরিসর ভাগ গঙ্গাতরঙ্গে বিধৌত। সুধাধবলিত প্ৰাসাদরাজি উহার কর্ণভূষণ স্বরূপ। সেই রসময়দেশে উপস্থিত হইলে, তুমি বিস্ময়সাগরে নিমগ্ন হইবে। সেখানে নবশশিকলার স্থায় কোমল তালপত্র ব্রাহ্মণাঙ্গণাগণের কর্ণভূষুণ হইয়া থাকে। সেখানে সেনবংশীয় নরপতির ইষ্টদেবতাশ্রমুরারি দেবরাজ্যে অভিষিক্ত। তিনি সুহ্মদেশেই থাকেন। সেখানকার বাররামাগানের হস্তে সকল সময়েই লীলকমল বিরাজ করে ; তাহাদের দেখিলেই নারায়ণের লক্ষ্মী বলিয়া ভ্ৰম হয় । , , , , , , শ্ৰীখণ্ডপৰ্ব্বত হইতে সুহ্মদেশ পৰ্যন্ত ধোয়ী কঁবি যে সকল স্থানুের উল্লেখ করিলেন এই সকল স্থান কোথায় জানিবার জন্য পাঠকগণের কৌতুহল হইতে পারে। ভারতবর্ষের সর্ব দক্ষিণদিগবৰ্ত্তী পৰ্ব্বতের নামই শ্ৰীখগুপৰ্বর্ত বা চন্দনাদ্রি । উহা পাণ্ডাদেশের ও বাহিরে, কারণ শ্ৰীখণ্ডাস্ত্রির পরিসর অতিক্ৰম করিয়া দুইক্রোশ গিয়া। তবে পাণ্ডাদেশ। পাণ্ডাদেশের রাজধানীর নাম উরগপুর। কালিদাসও উরগপুর পাণ্ডাদেশের রাজধানী বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। তিনি রঘুবংশের ষষ্ঠ সর্গে অথোরগাখস্ত পুরস্ত নাখং দৌবায়িকী দেবদুরূপমেত্য” বলিয়াই “প্ৰাণ্ড্যোহয়মাংশাপিতলস্বহারঃ* বলিয়াছেন । ौकांकवश्रा উয়গপুরকে নাগপুর বলিয়াছেন। এ নাগপুর যদি নাগপতৃন হয়, তবে ভাই সেতুবন্ধ রামেশ্বরের অনেক উত্তরে এবং সেতুবন্ধের নিকটে তাম্রপর্ণানদীর তীরে উরগপুর বৃলিয়া বোধ হয় কোন পুরী ছিল। সুত্রল সাহেব প্লিনি প্রোক্ত উরইউর অর্থাৎ উরগপুরকে ঢ়োলদেশের রাজধানী বলিয়াছেন, সুতরাং উরগপুর লইয়া
