পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৩য় সংখ্যা । سbbه দিগ্নাছিলেন। রামমোহন তখনকার ফোর্ট উইলিয়মে কাৰ্য্য করিতেন, বেশ দু’পয়সা উপাৰ্জনও করিতেন। এক জগদ্ধাত্রীপূজা ব্যতীত বাড়ীতে আর সকল পূজাই হইত। কবি ঠাকুরদাস রামমোহনের একমাত্র সন্তান ছিলেন। কাজেই তঁহাকে গ্রামান্তয়ে পড়িতে যাইতে দেওয়া অৰ্থশালী রামমোহন, পুত্রের পক্ষে কষ্টকয় বলিয়া ভাবিতেন, সুতরাং ইংরাজী পড়াইবােব জন্য বাড়ীতেই একজন শিক্ষক রাখিয়া দিয়াছিলেন। সে কালে নিয়ম ছিল, গ্রামে বা নিকটে কোন ইংরাজী বিদ্যালয় না থাকিলে, ( আর তত প্ৰাচীনকালে ছিলণ্ড না বোধ হয়, ) কোনও অবস্থাপন্ন গৃহস্থের বাড়ীতে একজন ইংরাজী জানা লোক গ্রাসাচ্ছাদন এবং অল্প বেতন লইয়া বাণ করিতেন । সে কালে পারসী পড়াইবার জন্য আখনজী রাখিবায় প্রথা হইতে এই প্রথায় উৎপত্তি হইয়াছিল। গ্রামস্থ যাহারা নিল পুত্রকে ইংরাজী পড়াইতে ইচ্ছা করিতেন, তাহারা ঐ শিক্ষকের হস্তে বালকদিগকে অৰ্পণ করিতেন, সময়ে সময়ে ভিন্ন গ্রামের ছেলেরাও পড়িতে আসিত। শিক্ষক আশ্ৰযদাতার বালকবৃন্দ ব্যতীত অপরাপর বালকদিগেয় অধ্যাপনায় জন্য কিছু কিছু পাইতেন ; গ্রামবাসী একজনের অন্ন ধ্বংস করিতেন। বলিয়া গ্রামের অপরাপর পাঠার্থের পিতার নিকটেও তঁহাকে কৃতজ্ঞ থাকিতে হইত এবং সময়ে সময়ে লে কৃতজ্ঞতা ভিন্ন গ্রামেও বিস্তার করিতে বাধ্য হইতে হইত। কবি ঠাকুরদাসের জঙ্ক য়ামমোহন বেড়ালনিবাসী রামময় মুখোপাধ্যায়কে ঐ রূপ “মাষ্টার মহাশয়” নিযুক্ত করিয়াছিলেন। রামময়ের যত্নে ঠাকুরদাস বল্যে ইংরাজী ও বাঙ্গালা ভাষায় শিক্ষিত হইয়াছিলেন। কবির ইংরাজী হস্তাক্ষর যেমন ভাল ছিল, বাঙ্গালা হস্তাক্ষর তেমনই অস্পষ্ট ছিল। । বাল্যকাল হইতেই ঠাকুরদাস সংগীতপ্রিয় হইয়াছিলেন, সৰ্ব্বদাই ঋৰি পাঁচালি শুনিয়া বেড়াইতেন। অল্প বয়সে সংগীতানুরাগ লেখাপড়া শিখিবার বড়ই বিরোধক, কাজেই DDDBDDS SEBEEDBDDD DBiBS SBBBDDDBBuD DBDSS S SDDBBDBD DBDBS BDBDBDB DDD SEDBSKKED DBBDBDB DBS BBSDBDD TBuBS EBBDDDDKS DDBBDBBDBD DS উহা কমাইবার জন্য তিনি পুত্ৰকে ক্ষোর্ট উইলিয়ামে একটা চাকুরী করিদ্ধা দেন, কিন্তু তাহাতেও ঠাকুৰদাসের সংগীতাঞ্ছয়াগ কমে নাই, এখন কি, আফিল কামাই করিয়া গ্রামান্তরে তিনি পাঁচালি শুনিতে যাইতেন। একৰীষ্টুষ্ট্ররূপ আদি কামাই করিয়া অন্তগ্রামে পাচালি শুনিতে গিয়াছিলেন ; সেখান হইতে să আসিলে য়ামমোহন ক্রোধান্ধ হইয়া ঠাকুরদাসকে খড়মপেটা করেন, তাহাতে ঠাকুরদাসের দাঁত ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল ; তবুও ঠাকুরুদায় পাঁচালি শুনিতে নিৱন্ত হয় নাই। এইরূপে স্নামমোহন কোন উপায়েই পুত্ৰকে চাকুরীতে সংযত রাখিতে মা পারিয়া একদিন জিজ্ঞাসা করেন, তোমার এরূপ ভাবের কারণ কি ? ঠাকুরদাস উত্তর দিলেন,-পরাধীনতা ভাল লাগেনা, চাকুরী করিব না। একমাত্র পুত্রের দেহেই হউক বা বিয়ম্ভ হইয়াই হউক, রামমোহন আর তঁহাকে কিছু বলতেন না। শেষে অনুপস্থিতির সংখ্যা বাড়িতে লাগিল দেখিয়া অফিসের্দষ্ট с