পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫ । ] পাঁচালিফার ঠাকুরদাস। २३»" কবি ঠাকুরদাস এই মোহাড়ার পর অন্তরা গাখিয়া দেন ই “বিলাতী ঘানি। नूऊन थांभांनौ শিবের র্যাড় জুড়েছে তেলে ভোলে কামিনী হয়েছে ল্যাজে-গোবরে বৃষ কখন কি দায় ঘটায়।” গান এই পৰ্য্যন্ত । এখন কবি সম্বন্ধে কয়টি ক্ষুদ্র গল্প, বলিয়া আমরা প্রবন্ধের উপসংহার कदि । ܡ

  • কোন বিশ্বাস্ত লোকের মুখে শুনা গিয়াছে’-মপ্রসিদ্ধ পাঁচাক্সিক্লার রসিকচন্দ্র রায় একবার যাত্রাওয়ালা লোকনাথের সহিত দেখা করিয়া বলেন,-“লোকনাথ সেই দুর্গাচরণের আমল হইতে তুমি দত্তজার ঐ তিন পালাই গাহিতেছ, আর উহাতে রস • আছে কি ? অনেকেই উহা শুনিয়াছে। আমার ইচ্ছা, তুমি আমার একটা পালা গান কন্ম। লোকনাথ শুনিয়া বলিলেন, “রায় মহাশয় যাহা আজ্ঞা করেছেন, তাহা যথার্থ, পালা তিনটী বড় পুরাতন হইয়াছে, কিন্তু সুরগুলার জন্য ছড়িতে মায়া হয়। এখন আর গুরূপ ললিত পদবিশিষ্ট গান বঁাধিবার লোক দেখি না । আমি একটা সুর দিতেছি, আপনি সেই সুরে আমায় একটা গান শুনাইয়া দিন।" শুনা যায়, এক ঘণ্টা চেষ্টা করিয়াও নাকি রসিকবাবু সেই সুরে খাপইয়া গান বঁাধিতে পারেন নাই। তখন লোকনাথ বলিলেন, “রায় মহাশয় মাপ করিবেন, আমি এই সুরের জন্যই গাই, লোকে এই সুরের জন্যই শুনে, নতুবা কথাগুলা তাহারও কিছু মন্দ নাই বা আপনার আরও ভাল হইতে পারে ; তাতে বড় আসে যায় না” * ।

কবির রচনাশক্তি সম্বন্ধে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। বাহুল্য ভয়ে ক্ষান্ত হইলাম। শ্ৰীব্যোমচিকশ মুস্তফী ।

  • কবির বংশধর ও তঁাহার। পাচলির দলের জনৈক লোকের নিকট ইহা শুনিয়াছিলাম।