পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R6łR সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । 84 staff “সমাচার-দৰ্পণ” সাধারণ পাঠকের, এমন কি, হিন্দু ভাবাপন্ন পাঠকেরও, বরাবর চিত্তাকর্ষক হইয়াছিল।, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয়ের নাম গ্রাহকশ্রেণীর তালিকার শীর্ষ-স্থানে থাকায়, ইংরাজ-সমাজে বঙ্গবাদি-বৃন্দের বদনম গুল । উজ্জল হইয়াছিল। তখন রাজধানী ও তাহার পাৰ্থস্থ স্থান-সমূহে সংবাদ-পত্রের ডাকমাশুল ০ ( চারি ) আনা ধাৰ্য্য ছিল। লর্ড হেষ্টিংস-সমীপে উক্ত ডাক-মাশুল কমাইতে আবেদন প্রেরিত হইলে, তিনি শৈলা ৰাস হইতে প্রেসিডেন্সিন্ত্ৰে আসিয়া উহার সুবিধা করিয়া দেন। স্থির হইয়াছিল, এক আনায় প্ৰতি-সংখ্যা বিলি হইবে। (১) { পাসী ও ইংরেজী ভাষা, যখন “দর্পণের” অঙ্কে প্রতিফলিত হইত, তখনকার এই ব্যবস্থা ছিল। ইতিপূর্বেই বলা গিয়াছে, কেরি সাহেব, এই পত্রিকার প্রচারে ব্ৰতী হইয়া, প্রথমতঃ ভাবিয়াছিলেন, ‘ বঙ্গ ভাষায় মুদ্রিত রাজনীতি-সংক্রান্ত এই সংবাদ-পত্ৰ ( “সমাচার-দৰ্পণ” ) রাজ-পুরুষ-বৃন্দের তৃপ্তিপ্রদ হইবে না। কেন না, উহা বঙ্গীয় ভাষায় আলোচিত হইবে। ও রকমে আপনার নর-নারী রাজনীতির আস্বাদ পাইযা 'এদেশে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি প্ৰভৃতি উপস্থিত করিবে। কিন্তু শ্ৰীরামপুরের অন্যতম পাদরি, উক্ত মার্শম্যান ( “সমাচার-দর্পণের” প্ৰথম সম্পাদক ), সাহস-সহকারে উহার প্রথম সংখ্যা, যেমন লর্ড হেষ্টিংসের গোচরস্থ করিলেন, তিনি স্বীয় রাজ্যোচিত অভ্যর্থনায় ঐ প্রস্তাবের সমাদর করিয়াছিলেন । এক স্থলে লঙ সাহেব, ভ্ৰম-ক্ৰমে “সমাচার-দৰ্পণ” না লিখিয়া, “শ্ৰীরামপুর-দৰ্পণ” লিখিয়াছেন। এই ভ্ৰান্তির হেতু নির্দেশিত হইতেছে। ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে “কলিকাতা রিভিউ” পত্রের ত্রয়োদশ খণ্ডে । “দর্পণ অব শ্ৰীরামপুর” অর্থাৎ “শ্ৰীরামপুরের দৰ্পণ” লিখিত হয়। এখানে “সমাচার-দৰ্পণকে” সংক্ষিপ্ত ভাবে কেবল “দর্পণ” লেখা হইয়াছে। ইহার পাচ বৎসর পর, “দর্পণ অব শ্ৰীবামপুর” । সাহেব কর্তৃক “শ্ৰীরামপুর-দৰ্পণ” নাম ধারণ করিয়াছিল। শ্ৰীরামপুর হইতে প্ৰকাশিত হইত। বলিয়া, স্থূলতঃ উহা “শ্ৰীীরামপুরের দৰ্পণ” হইয়া দাড়াই যাছিল। লণ্ড সাহেবের ‘বাঙ্গালী-পুস্তকবিষয়ক তালিকা’ প্রচারের পূর্বে ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্ত তদ্বিষয়িণী এক তালিকা প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন। তাহাতে “সমাচার-দৰ্পণই’ লিখিত হইয়াছিল। লঙের পুস্তক, ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের (১২৬২ সালের) । গুপ্ত কবির উক্ত সন্দৰ্ভ, ১২৫৯ সালের ১লা বৈশাখে প্রচারিত হয়। ফলতঃ “সমাচার-দৰ্পণ” অনেক বিষয়ে ‘শ্ৰীরামপুর দর্পণই’ হইয়াছিল। દ્ર, “সমাচার-দৰ্পণ” সাহেব পাদরিদের সম্পাদিত পত্রিকা । সুতরাং ইহার প্রচারের অব্দ, মাস ও দিন পৰ্য্যন্ত যথাযথ পাওয়া বিধেয় । কিন্তু সেই আশায় আমরা নিরাশ্বাস । এ সম্বন্ধে ৫ (পাঁচ) মত বিস্তৃমান। ১৮ s al Hr ܩܝ طالعصعسشص سعسعظد خف--عفسی حد فسسسسسسد .A قسمع. (১) এই বৎসরেই ডাক্তার মার্শম্যান “ফ্রেণ্ড আৰু ইণ্ডিয়া" প্ৰকাশ আরম্ভ করেন। প্রথমে উহাব মাসে মাসে প্রচার হইত। ১৮১৯ খৃষ্টাব্দেও ঐ ভাবে প্রচার হইয়াছিল। কিছু কাল পরে ১৮২১ খৃষ্টাব্দে উহার ত্রৈমাসিক আকার হয়। তৎপরে ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে সাপ্তাহিক হইয়া অনেক দিন চলিয়াছিল। কিছু কাল হইল, ষ্টেটসম্যানের সঙ্গে উহা সংলগ্ন হইয়াছে।