পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७० সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৪র্থ সংখ্যা। সমুজ্জল কালে রাজত্ব-স্থিতির চতুর্থ পন্থা বলিয়া স্থিরীকৃত :-ভারতের সেই উদারচেতা, শ্রেষ্ঠ-পুরুষ, জননী বঙ্গভাষায় শিশুকালেই তঁাহার ক্রোড়দেশে বর্তমান কালের সেই প্রয়োজনীয় ফল সংস্থাপিত করিয়া দিয়াছিলেন। এ কথা মনে করিলে, কি আহলাদই হয় । অন্তরে কত আশার সঞ্চার হয় । তাহার উদ্ভাবিত পত্রিকার নাম “সংবাদ-কৌমুদী” । “ক্রিশ্চিয়ান অবজারভার” পত্রিকা, লঙ সাহেবের যাঙ্গালা পুস্তকের \tfrts ( Descriptive Catalogue of Bengali works ) এবং ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের লিখিত সংবাদ-পত্রিকার সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত-প্রচারের পূর্বে “সংবাদ-কৌমুদী” পুস্তক, কি বার্তা-বিষয়ক পত্রিকা, তাৎকালিক লোকবর্গের তাহার স্থিরতা ছিল না। ঐ সব লেখাতেই লোকের জানিবার সুযোগ হইয়াছে যে, উহা পুস্তকের নাম নহে; কিন্তু এক খানি সংবাদ-পত্ৰ। -을 “সংবাদ-কৌমুদীর” আগে “সমাচার-দৰ্পণ” সস্তৃত হয়। আর ‘বেঙ্গল গেজেট” “সমাচাবদর্পণের’ অগ্ৰজাত । ‘সমাচার-দৰ্পণের’ জন্মকাল ১২২৫ সাল, ১০ই জ্যৈষ্ঠ ( ১৮৮২৩ মে ) । “বেঙ্গল-গেজেট” ১২২৩ সালে ( ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে ) উৎপন্ন হইয়াছিল। সুতরাং "বেঙ্গল-গেজেটের” বয়ঃক্রম, “সমাচার-দৰ্পণ” অপেক্ষা দুই বৎসর অধিক । “কৌমুদী” পত্রিকা, অগ্ৰজ “দৰ্পণ” ও সৰ্ব্বগ্রজ “গেজেট” অপেক্ষা অল্পই বয়ঃকনিষ্ঠ । ইহা এক্ষণে বোধ হয়, সকলের প্ৰতীতি জন্মিল । ইতিপূর্বে রাজধানীতে ( কলিকাতা সহরে ) “সংস্কৃত-প্রেস” নামে এক মুদ্রাযন্ত্র বিদ্যমান ছিল। “কৌমুদীর” মুদ্রাঙ্কন-কাৰ্য্য, সেই যন্ত্রেই সমাহিত হইত। উক্ত যন্ত্রের কোন রূপ বিবরণ পাওয়া দুর্ঘট । এখানে একটা বিচাব আবশ্যক । কোন এক গুরুতর ব্যাপারেব মীমাংসায় অভিনিবেশের প্ৰয়োজন উপস্থিত। অবসর ঘটিতেছে, সুতরাং তদ্বিষয়ের অবতারণা করা দোষাবহ হইবে না । বরং খুলিযা না বলিলে, তত্ত্ব-বস্তু, প্রচ্ছন্ন থাকিয়া বাইবে । তথাবিধ উদ্যম অত্যন্ত অধম। যে উপায়ে নিৰ্বিরোধ অব্দে ‘সংবাদ-কৌমুদার” জন্ম ঘোষণা করিয়া আসিয়াছি, সেটী বহুল তর্কবিতর্কের ফল। অনেক আয়াসে তাহার সিদ্ধান্ত করিতে হইয়াছে। ( ১ ) প্রথমতঃ “কলিকাতা রিভিউ” পত্রের লেখক, প্রচার করিয়া দেন-১৮২৩ খৃষ্টাব্দ “কৌমুদীর” আবির্ভাব-কাল ; ঐ প্রবন্ধ-লেখকের নাম পাদরি লঙ সাহেব। প্রবন্ধের কোন স্থানে লেখকের নাম নাই—অথচ আমাদের তাহা জ্ঞানের বিষয়ীভূত হইল—বোধ-গোচরু আসিল, এ কেমন কথা ? “রিভিউ” পত্রের অন্য প্রবন্ধ-লেখক কর্তৃক ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে এই ঘোষণা প্রকটত হয়। * (২) তৎপরে প্রসিদ্ধ পাদরি লঙ সাহেবের চৈতন্যোদয় হইল। তিনি আপনার ভ্রম বুঝিলেন। বুঝিয়া ১৮১৯ খৃষ্টাব্দকে “কৌমুদীর” জন্ম-সময় অবধারণ করেন। এটা ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের স্থা। এখানে একটা কথা বলিতে বাকী থাকিতেছে। সাহেব, কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার পূর্ব ভ্ৰান্তির উল্লেখে পরাত্মােখ।