পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি জয়ানদের আর একটু পরিচয়। স্বাগত বর্ষের পরিষৎ-পত্রিকায় “কবি জযানন্দ ও চৈতন্য-মঙ্গল’ শীর্ষক প্ৰবন্ধ প্রকাশিত হইবার পর, আমাদের কোন কোন সুহৃদ কবি জয়ানন্দ ও তাঁহার গ্রন্থের প্রমাণিকত্ব সম্বন্ধে সন্দিহান হইয়াছিলেন। আবার কোন কোন মাসিক পত্রের লেখকও জয়ানন্দের প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়া আমাদিগের প্রতি বিলক্ষণ কটাক্ষও করিয়াছিলেন, সেই সঙ্গে বিচারবৈঠকে আমাদের দণ্ডবিধান করিবারও ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । আমাদের বিশ্বাস, তাহারা সদুদ্দেশ্যেই নানাক বলিয়াছেন, নহিলে হয়ত কবি জয়ানন্দ সম্বন্ধে আর আমাদের কোন কথা লিখিতে প্ৰবৃত্তিই হইত না । প্ৰাচীন বাঙ্গলা পুথির অনুসন্ধানের চেষ্টা আরম্ভ হইয়াছে। প্ৰতিদিনই আমরা কত প্রাচীন বঙ্গীয় কবি ও কতশত প্ৰাচীন বাঙ্গালা গ্রন্থের সন্ধান পাইতেছি । পরিষৎ-পত্রিকায় ঐ সকল পুথির সংক্ষিপ্ত বিবরণ যথাক্রমে প্ৰকাশিত হইতেছে। তাহা হইতেই আমরা কবি জয়ানন্দ রচিত আরও কি একখানি গ্রন্থের সন্ধান পাইয়াছি। তিনি শ্ৰীচৈতন্যমঙ্গল ব্যতীত ঐক্লাবচরিত্র, প্ৰহলাদ চরিত্র প্রভৃতি আরও ক-একখানি বাঙ্গালা গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছিলেন। চৈতন্যমঙ্গল কেবল যে আমরাই পাইযাছি, তাহা নহে, তাহা অপর স্থানেও আছে, তাহারও সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। আমরা বিষ্ণুপুর অঞ্চল হইতে জয়ানন্দ-রচিত শ্ৰীচৈতন্যমঙ্গলের আরও কি একখানি অসম্পূর্ণ পুথি সংগ্ৰহ করিয়াছি এবং আমাদের কবি গৌড়ীয় বৈষ্ণবসমাজে যে বিশেষ মান্যগণ্য ও পরিচিত ছিলেন, তাহারও কতক পরিচয় পাইয়াছি । আদ্য এই সম্বন্ধেই অতি ংক্ষেপে দুই এক কথা বলিতে হইতেছে । , জয়ানন্দ আপনার শ্ৰীচৈতন্যমঙ্গলের অনেক স্থানেই পরিচয় দিয়াছেন “গদাধর-পণ্ডিত-গোসাঞির আজ্ঞা শিরে ধরি। শ্ৰীচৈতন্যমঙ্গল কিছু গীত প্ৰচরি৷” এখন আমরা অপরাপর প্রামাণ্য গ্ৰন্থ হইতে জানিতে পারিতোছ, যে তিনি গদাধর পণ্ডিতোরই শাখাভুক্ত, ছিলেন। যথা—শ্ৰীযদুনাথদাস কৃত শাখানির্ণয়ামৃতে

  • “বন্দে চৈতন্যদা সাখ্যং জয়ানন্দমহাশয়ম।

প্ৰকাশিতো যেন যত্নাৎ শ্ৰীচৈতন্যবিলাসকঃ ॥৫৭