পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ sノ・ ] শ্ৰীযুক্ত মনোমোহন বসু মহাশয় শ্ৰীযুক্ত চন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয়ের মতের পোষকতা করিলেন। তিনি বলিলেন যে পরিষদ এবিষয়ে স্পষ্টতঃ ভারগ্রহণ না করিয়া যথাসাধ্য সাহায্য করিতে পারেন । O শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু মহাশয় প্ৰস্তাব করিলেন যে, রিসলি, সাহেকের বিজ্ঞাপন বঙ্গানুবাদসহ পত্রিকায় মুদ্রিত করা হউক এবং এবিষয়ের সাহায্য করুিবার জন্য পরিষদের সভ্যগণকে আহবান করা হউক, তাহারা স্ব স্ব বক্তব্য লিখিয়া পত্রিকা-সম্পাদককে প্রেরণ কৰিয়বেন। পত্রিকা-সম্পাদক ঐ সকল মন্তৰ্য শাস্ত্রীমহাশয়ের হস্তে অর্পণ করিবেন। সৰ্ব্বসন্মতিক্রমে নগেন্দ্ৰবাবুর প্রস্তাব গৃহীত হইল । ৪ । অতঃপর শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্ৰচন্দ্ৰ শাস্ত্রীমহাশয়, উপসর্গবিচার বিষয়ক প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন । পাঠাস্তে- মহামহােপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত চন্দ্ৰকান্ত তর্কালঙ্কার মহাশয় বলিলেন যে, পূৰ্ব্বাচাৰ্য্যগণ যে ভাবে উপর্গের অর্থ নিৰ্ণয় কুরিযৗছেন, শাস্ত্রী মহাশয় সেই ভাবে উপসৰ্গতত্ত্ব fo করিয়াছেন । তাহার প্রবন্ধ উৎকৃষ্ট হই যাছে। শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত কামাখ্যানাথ তর্কবাগীশ মহাশয বলিলেন যে, উপসর্গের কোনই অর্থ নাই । অতএব তাহার। আবার অর্থ বিচার কি ? এবিষয়ের আলোচনা তাহার মতে নিম্প্রয়োজন । শ্ৰীযুক্ত নকুলেশ্বব বিদ্যাভূষণ মহাশস বলিলেন যে, তঁহার মতে বাঙ্গালাম উপসর্গ নাই। শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয় বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীতে উপসর্গের অর্থ বিচার করিয়াছেন। ঋাষ্ট্ৰীমহাশয় এবিষয়ে দেশায় প্ৰণালীবী অনুসরণ করিয়াছেন । সম্পাদক বলিলেন যে শাস্ত্রী মহাশয় স্বরচিত প্ৰবন্ধে যথেষ্ট গবেষণা ও শাস্ত্ৰজ্ঞানের পরিচয় দিযৗছেন। তবে স্থানে স্থানে তিনি দ্বিজেন্দ্র বাবুব প্রতি অবিচাবি করিয়াছেন, বোধ হইল। দ্বিজেন্দ্র বাবু উপসর্গের মৌলিক অর্থ নির্ণয করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। শ্বাস্ত্রীমহাশয় সে অর্থ আধুনিক ‘প্রয়োগস্থলে সমীচীন হয় নয়, দেখাইয়া তাঁহাব ভ্রান্ত্যিখ্যাপিণ্ডু করিয়াছেন। জগতে সৰ্ব্বত্রই এক হইতে বহুর উৎপত্তি হইয়াছে। অবিশেষ হইতেই বিশেষের আরম্ভ হইয়াছে । উপসর্গের বিষয়েও এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে নাই। প্ৰ, প্ৰভৃতি উপসর্গ এখন নানা অর্থ বিশিষ্ট, কিন্তু পুরাকালৈ এক একটা উপসর্গের এক একটী স্বতন্ত্র অর্থ ছিল । পরে এক হইতে বহু অর্থ হইয়াছে। দ্বিজেন্দ্ৰবাবু বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীর অনুসরণ করিয়া ঐ আদিম অর্থ নিষ্কাশন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী মহাশয় বলিলেন যে, তাহার বােধ হয় যে, দ্বিজেন্দ্র বাবু সকল স্থলে, Baconfian Induction প্ৰণালীর অনুসরণ করেন নাই। স্থানে স্থানে Scholostic প্ৰণালীর । অনুবৰ্ত্তন করিয়াছেন। প্ৰত্যেক উপসর্গের’ যত প্রকার অর্থে প্রয়োগ আছে, তাহা, সমস্ত 'সংগৃহীত করিয়া বৈজ্ঞানিক প্রণালী অনুসারে আদিম অর্থ নিষ্কাশন করা উচিত এবং সেই সঙ্গে