পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- , اسم * * * لـ " : حة 8S, সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । {>भ न६शां । পুর্বের তপন যদি পশ্চিমে উদয়। তথচ আমার বাক্য মিথ্যা নাঞি হয়।” তাহার পর শীতলা বোধ হয় তৃপ্তিলাভ করিলেন এবং গ “এত বলি তেজময়ী হৈল অন্তর্ধান । জানিল রাজার কন্যা স্বপ্ন যে বিধান ৷” 屯校怀 ( অনুমৃত্যু হতে সেবা bीकव्ा याम्न ! আমশাখা ভাঙ্গি সতী হরিগুণ গায় ৷ 掌“ 带 普 将 将 *طی রাজকন্যা সতী হৈল ঈশ্বরীর বোলে। রাম রাম গোবিন্দ গোবিন্দ ঘন বলে ৷ কৌষিকী রাজার রাণী সমাচার পেয়্যা। ধৰিল কন্যার গলে কান্দিয়া কান্দিয়া ৷ রাজরাণী বলে বাছা কি বুদ্ধি তোমার। ভাণ্ডারে সকল ধন কর অধিকার ৷ ” গৃহিণী হইয়া বাছা থাক মোর ঘরে । কেনবা অনাথ করে যাইবে আমারে ৷” এইস্থলে আমরা একটু ঐতিহাসিক কথা পাড়িব । কবির সময়ে অনুমূত হওয়া প্ৰবল ছিল, কিন্তু পিতামাতা অনুমরণকাম কন্যাকে ধনলোভ প্ৰভুত্বলোভ দেখাহস, নিরস্ত করিতে চেষ্টা করিতেন। যদিও বেণ্টিঙ্কের পূর্ববৰ্ত্তীকালে সৰ্ব্বত্রই অনুমরণ-প্ৰথা বর্তমান ছিল, কিন্তু তাৎকালিক কোন কাব্যে তাহার এরূপ বর্ণনা দেখা যায় না, বিশেষতঃ কোন কবি নিজ কাব্যের নায়িকাকে অনুমৃতা করিয়াছেন, এরূপ পড়িয়াছি বলিয়া মনে হইতেছে না। কবিবল্লভ অনুমরণকাম চন্দ্ৰকলার মস্তকে আমপল্লবাদি দিয়া শাস্ত্রোক্ত বিধি বজায় রাখিয়াছেন। তঁহার সমকালে এই প্ৰথা প্ৰচলিত না থাকিলে তঁাহার ন্যায় শাস্ত্ৰজ্ঞানহীন, পুরাণজজ্ঞানহীনের নিকট এরূপ বৰ্ণনা আশা করা যায় না। এ তাহার চক্ষুষ প্ৰত্যক্ষের বর্ণনা। তঁহাকে শাস্ত্ৰজ্ঞানহীন ও পুরাণজজ্ঞানহীন বলায় তাহার প্রতি আবিচার করা হইতেছে না। এ পৰ্যন্ত তাহার কাব্যে যে সকল পৌরাণিকী কথা পাওয়া গিয়াছে, তাহা কোন পুরাণের বর্ণনার সহিত সুসঙ্গত নহে, তবে শুনিয়া শুনিয়া লোকের ধারণাবশতঃ যেরূপ জ্ঞান জন্মে, সেইরূপ জ্ঞান হইতেই কবি পৌরাণিক প্রসঙ্গ করিয়াছেন। তাহার পর চন্দ্ৰকলা মাতাকে বলিলেন,- “রাজকন্যা নিবেদিল জননীর পাশে । পাটে মোর রাজা নাই রাজা হব কিসে ৷ অল্প বয়সে যার প্রাণনাথ মরে । সে বড় অজ্ঞান থাকে। মা বাপের ঘরে ৷ দিনে দিনে হয় তার নহলী যৌবন। মা বাপের হয়। ঐরি বিধির লিখন ৷ সে দুঃখ পাবার তরে রাখিবে আমারে । নীলকণ্ঠহার। কেবা রাখিতে চায় ঘরে ৷” কবির “পাটে মোর রাজা নাই রাজা হব কিসে” এই চরণটির সরল মাধুৰ্য্যের তুলনা হয় না। তাহার পর চন্দ্ৰকলা যেরূপে মাতাকে প্ৰবোধ দিয়াছেন, তাহা নারীকুলের শিক্ষণীয়। ' ' নীলকণ্ঠহার। সম্বন্ধে কবি যে কথা বলিয়াছেন, সেরূপ একটা প্ৰবাদ এখনও বাঙ্গালীর মধ্যে প্রচলিত আছে। অনেকে শুনিয়া থাকিবেন বোধ হয় যে “নীলিমা” নামক রত্ন (অর্থাৎ নীল মণি) সকলের অদৃষ্ট শুভদায়ক হয় না, এজন্য সকলে সাহস করিয়া “নীলিমা” গৃহে