পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sab সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ं भां হাবেসি পুরুষ এক সাহার সেবায়। বক্ৰ ভুরূ ক্ৰোধমুখ থাকয় সদায়৷ উপরের ওষ্ঠ তার নাসিক উপর। চিবুক ঢাকিছে পুষ্ট লম্বিত অধর ॥ কোটির নয়ন যুগ্ম ঘোরে অবিরত। বিকট সে আম্ভে হাস্য নাহি কদাচিত । বক্রকেশ গোপ দাড়ি পিঙ্গল বরণ । শ্যাম অঙ্গে লোমাবলী ভলুক লক্ষণ ৷ কাব্যের আর এক স্থল উদ্ধত হইয়াছে :- ফুটিল কবরী কুসুম মােঝ। তারকামণ্ডলে জলদ সাজ৷ শশিকল সম সিন্দূর ভালে। বেড়ি বিধুমুখ অলক-জালে৷ মদন ধনুক ভুরূ বিভঙ্গে। অপােঙ্গ ইঙ্গিতে বাণতরঙ্গে ৷ উদ্ধত কবিতাগুলির পাঠে বােধ হয়, আলাওল সুকবি ; “মধুৱকোমলকান্ত পদাবলীর” প্রয়োগে সুদক্ষ। প্ৰবন্ধলেখক বলিয়াছেন, এই মুসলমান কবি কবিত্বগৌরবে অনেক হিন্দু কবি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। 米 米 崇 米 米 来 米 诛 米 বাঙ্গালার এইরূপ অনেক উৎকৃষ্ট কাব্য নানাস্থানে বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। অনেকের হস্তে উহ্য রূপান্তরিত বা বিকৃত হইয়া যাইতেছে। অনেক দরিদ্রের পর্ণকুটীরে উহা অযত্নে অবস্থিতি করিতেছে। এখন এই সকল বহুমূল্য রত্নের উদ্ধার করা একান্ত আবশ্যক হইয়া উঠিয়াছে। যাহারা সাহিত্যসেবা ব্ৰতে মনোনিবেশ করিয়াছেন, তাহারা দুষ্পাপ্য বাঙ্গালা গ্রন্থের প্রচারে উদ্যত হইলে পরিষদ তাহদের সাধু উদ্যমের পরিপোষক হইতে পারেন। বঙ্গের মুসলমানসমাজের যে সকল ব্যক্তি অধুনা বাঙ্গালা ভাষার প্রতি অশ্রদ্ধা প্ৰকাশ করিতেছেন, মুসলমানের লিখিত বাঙ্গালা গ্রন্থের আলোচনা করা তাহদের কৰ্ত্তব্য হইতেছে। পূৰ্বে মুসলমান বাঙ্গালা ভাষার উৎসাহদাতা ও পরিপোষণকৰ্ত্তা ছিলেন। বাঙ্গালা ভাষা মুসলমানের অশ্রেদ্ধয় ছিল না। মুসলমানের উৎসাহে অনেক হিন্দু বাঙ্গালা কাব্য লিখিয়া গিয়াছেন। বাঙ্গালার ইতিহাসে ইহার উদাহরণ দুপ্রাপ্য নহে। পদ্মাবতীকার মুসলমান হইয়াও হিন্দুর অনুরোধে বাঙ্গালা ভাষায় কাব্যপ্রণয়নে সঙ্কুচিত হয়েন নাই। তিনি বাঙ্গালা