পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्न् >७०» ] সাময়িক প্ৰসঙ্গ । 8) যায়। এইরূপ ‘ধরিছে” “বাঢ়িছে” “দেখিশুনি” প্ৰভৃতি ক্রিয়াতে ‘য়া” “তে” প্রভূতি বিলুপ্ত হইয়াছে। বাঙ্গালা গদ্যে উহার প্রয়োগ না হইলেও বাঙ্গালা পদ্যে এখন পৰ্য্যন্ত উহার প্রয়োগ দেখা যায়। উচ্চারণবৈষম্য প্ৰযুক্ত অনেকস্থলে বাঙ্গালা কথার বিকৃতি ঘটে। পুর্বাঞ্চলের অনেক স্থলে “ড়”এর উচ্চারণ য়াই। শ্ৰীহট্ট অঞ্চলে “ষ এর স্থলে ‘হ” উচ্চারিত হয়। আসামেও বোধ হয়, এইরূপ উচ্চারণবিকৃতিবশত: “বড়” স্থলে “বর” “মানুষ” স্থলে “মানুহর” লিখিত হইয়া থাকে। ফলতঃ, উচ্চারণবৈষম্য হেতু যদি ভাষার বিভিন্নত হয়, তাহা হইতে পূৰ্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের ভাষাও পৃথক হইয়া যায়। ভাষার অভিন্ন তা ও বিশুদ্ধির রক্ষার স্থলে উচ্চারণগত বিভিন্নত ও দেশজ শব্দের পার্থক্য ধরিলে চলে না। প্ৰবন্ধলেখক প্ৰবন্ধের উপসংহারস্থলে উল্লেখ করিয়াছেন-“ঐ (জোনাকীর) প্ৰবন্ধ হইতেই আমরা যতদূর বুঝিতে পারিয়াছি, তাহাতে দেখা যায়, হিন্দুরাজত্বকালে আসাম প্রদেশে সংস্কৃত ভাষা প্রচলিত ছিল । মধ্যে অনাৰ্য্য জাতির অভু্যদয়ে আসামের স্বাধীনতার সহিত ভাষাও বিলুপ্ত হইয়াছিল। পরে আহমপ্ৰাধান্য যুগে ৬/ শঙ্করদেব কর্তৃক বঙ্গভাষা ঐ দেশে প্ৰবৰ্ত্তিত হয় এবং ইংরাজরাজত্বের সূত্ৰপাত হইতে বঙ্গদেশীয় শিক্ষকগণের শিক্ষায় ১৮৭১ অবদ পৰ্য্যন্ত, লিখিত ভাষায় বাঙ্গালাই অবিকৃতভাবে ব্যবহৃত হইতে থাকে। ইত্যবসরে মিশনারী সাহেবগণের চেষ্টায় বাঙ্গালা বিকৃত হইয়া ও পার্শ্ববত্তী অসভ্য, পার্বত্যজাতিগত কতকগুলি শব্দ মিশ্রিত হইয়া, অসমীয়া ভাষার নবী কলেবর গঠিত হইয়াছে। তাঁহারই উপায় নির্ভর করিয়া, অসমীয়া নব্য কৃতবিদ্য বন্ধুগণ অসমীয়া ভাষার স্বাতন্ত্র্যনিৰ্দ্ধারণে সচেষ্ট হইয়াছেন এবং সরকার বাহাদুর ও তা হাতে পোষকতা করিতেছেন । * * * কৃত্রিম উপায়ে এক ভাষার মধ্যে গৃহবিচ্ছেদসাধন করিয়া, অসমীয়া বন্ধুগণ কিরূপ সাদবিবেচনার কাৰ্য্য করিতেছেন,-ই হা স্থির চিত্তে চিন্তা করিতে অনুরোধ করাই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধের মুখ্য উদ্দেশ্য” আমরাও সৰ্ব্বান্তঃকরণে প্ৰবন্ধ লেখকের মতের অনুমোদন করি । ভাষাভেদে জাতীয় একতার হানি হয় । জাতীয় বলবৃদ্ধির জন্য ভাষার অভিন্নতা বাঞ্ছনীয়। এখন এই অভিন্নতারক্ষার চেষ্টা করাই সঙ্গত। ভেদসাধনে প্ৰবৃত্ত হওয়া সুবুদ্ধির লক্ষণ নহে । বাঙ্গালা, আসাম ও উড়িষ্যা এই তিন প্রদেশের ভাষার মুল এক । সুন্মরূপে বিচার করিলে দেখা যায় যে, এক বাঙ্গালাই রূপান্তরিত হইয়া আসামে ও উড়িষ্যায় ভিন্ন ভাষারূপে পরিগৃহীত হই তেছে । ভাষার এইরূপ বিভিন্নতায় জাতিগত পার্থক্য ঘটিয়াছে। এই পার্থক্য দূর হয়, Գ