পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (বিংশ ভাগ).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা-ভাষায় দ্রাবিড়ী উপাদান প্ৰচলিত ধৰ্ম্মবিশ্বাস, সামাজিক রীতি-নীতি প্ৰভৃতির উৎপত্তির এবং বিকাশের ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, সমগ্ৰ ভারতবর্ষের সভ্যতা আৰ্য্য এবং দ্রাবিড়সভ্যতার মিশ্রণে বিকাশলাভ করিয়াছে। বাঙ্গালার ইতিহাসে এই দ্রাবিড়-প্রভাব কতখানি, তাহা বুঝিয়া লইতে হইলে, বাঙ্গালা-ভাষার উপর দ্রাবিড় জাতীয়দিগের ভাষার প্রভাব কতখানি, তাহা দেখিয়া লইবার প্রয়োজন। কেবলমাত্র বঙ্গভাষার উৎপত্ত্বিব ইতিহাসের জন্যও এই অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে। ইতিপূর্দো “সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা”য় “দেশী শব্দ” ( একাদশ ভাগ, ৩৯ পৃ: ) এবং “পালি ও বাঙ্গালা” ( পঞ্চদশ ভাগ, ১ পৃ: ) প্ৰবন্ধদ্বয়ে এ কালের ভাষার উৎপত্তির দুইটি দিকের কথা সংক্ষেণে সুচিত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম। ঐ দুইটি দিক হইতেই যে অনেক অনুসন্ধান করি ৭ার আছে, এইটুকু বুঝােনষ্ট আমার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে সাহিত্য-পরিষদের একটি সভায় এ বারের বক্তব্য বিষয়ে কিছু বলিবার সুবিধা পাইয়াছিলাম। ভাষার উৎপত্তি-বিচারসংকল্পে এ দিকে ও সুধীগণের বিশেষ দৃষ্টি পড়িবে, আশা করি । আৰ্য্য সভ্যতা-বিস্তারের পূর্বে বঙ্গদেশে যে সকল দ্রাবিড়াজাতীয়েরা বাস করিত, তাহদের ভাষা এখন বাঙ্গালা। কাজেই পূৰ্ব্বকালে কোন জাতির কি ভাষা ছিল, তাহা বলিতে পারা যায় না। অন্ধ, দেশের রাজারা এক সময়ে সমগ্ৰ ভারতবর্ষের রাজাধিরাজ বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছিলেন এবং তখন নিশ্চয়ই সমগ্ৰ আৰ্য্যভাষার উপর তঁহাদের ভাষার প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল। অন্ধ্যুদিগের রাজত্বকালৈ সম্ভবতঃ আন্ধ, ভাষায় যে “বৃহৎ-কথা” রচিত হইয়াছিল, তাহা লুপ্ত না হইলে, হয় তা এ বিষয়ের অনেক তথ্য পাওয়া যাইতে পারিত। কালিদাস-বর্ণিত ইন্দুমতীর স্বয়ংবরে দ্রাবিড়কুলের পাণ্ডুরাজকে আৰ্য্যকুমারীর পাণিগ্রহণের উপযুক্ত বলিয়া দেখিতে পাই। তামিল ভাষা এখন মান্দ্ৰাজ সহর এবং উহার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভূভাগে প্ৰচলিত আছে ; কিন্তু এক সময়ে তামিল-ভাষীরা তমলুকে ছিলেন বলিয়া, একটি মতবাদ প্ৰচলিত আছে। যাহাই হউক, ভাষার বিচার করিয়া দেখিতে হইবে যে, এক সময়ে তেলেগু, তামিল প্ৰভৃতি আৰ্য্যেতার ভাষা বঙ্গদেশে কিরূপ বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল। অনেক সময়ে এরূপ ঘটিয়াছে যে, যে সকল আৰ্য্যেতর প্রচলিত শব্দের অর্থ আমরা বুঝিতে পারি নাই, চেষ্টা করিয়া সে সকল শব্দের অর্থ দিবার জন্য আমরা আদিম শব্দগুলিকে বিকৃত করিয়া, সংস্কৃত শব্দের কাছাকাছি করিয়া তুলিয়াছি। ওড়িশায় সকল শ্রেণীর অনাৰ্য্যজাতি আপনাদের প্রাচীন ভাষা পরিত্যাগ করে নাই ; অনেক ভৌগোলিক নামও সম্পূর্ণরূপে gBDSDB BDD gutBD DBB BDBDSgOBD DBDD BBDD DBBBLDSS BDDBD iEED DBDE KBBDB BDSK K DgE DDS DDD DEBDBB BDDDDBD DD BB iOTSS BBDBD