পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (বিংশ ভাগ).pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাণীকণ্ঠের “মোহমোচন” নামক প্রাচীন গ্ৰন্থ আমি গ্ৰন্থখানির যে প্রতিলিপি পাইয়াছি, তাহা সামান্য দিন পূর্বের লিপি, তবে এখানি যে একখানি অধিক তাঁর পুরাতন লিপির প্রতিলিপি, তাহার প্রমাণ লেখকের লিখিত “যথা দৃষ্টং তথা লিখিতং” প্রভৃতি সুপ্ৰসিদ্ধ বৈ গুণ্যসমাধান শ্লোক দ্বারা সুস্পষ্ট অনুমিত হয়। গ্ৰন্থখানি ফুলস্ক্যাপ আকারের কাগজের লম্বালন্ধী সিকি পাতার উভয় পৃষ্ঠায় লেখা SHHS KDBD DBLSS BKK SDBDB BDDBD DDKKS DBBtDKSDgDDSSS BBBD DBDDSS SgDOS লিপির সময় ১২৩১ সাল। লিপিকারকের নাম-ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকার নিবাস ও পুথিখানির আবিষ্কারস্থান বিকুনা গ্ৰাম হটতে দেড় ক্রোশ দক্ষিণপূৰ্ব্বে ভূতেশ্বর গ্রাম। এই ভূতেশ্বর গ্রাম একসময় ক্ষত্ৰিয় প্রধান গ্রাম ছিল । বিষ্ণুপুররাজের বহু সেনা ও সেমাপতিরা এই গ্রামে অবস্থিতি করিতেন। গ্ৰামখানির একদিকে গন্ধেশ্বরী নদী ও অন্য দিকে দারুকেশ্বর নন্দ থাকায় সেনানিবাসের উপযোগী ছিল । ( এই গ্রামেরই নিকটে ঐ তুই নদ-নদীর মিলন छ७म्रांझ ७liभbि cदर्भ शडांव है : श्र अभिड । ) পুথিখানির শেষ ভণিতা এইরূপ,- “বাণী কণ্ঠে আশীৰ্ব্বাদ করা সৰ্ব্বজন । সমাপ্ত হইল গ্ৰন্থ এ মোহমোচন ৷ ইতি শ্রীনারদ সংবাদে গ্ৰস্থ সমাপ্ত ।” কবি বাণী কণ্ঠ স্বীয় কাব্যের নাম কে বলা ষে এইখানেই মোহ মোচন বলিয়াছেন, তাহা নহে, প্ৰতি অধ্যায় বা পরিচ্ছেদের শেষে ঐ নাম দেখা যায়। নারদ সম্বন্ধে গ্ৰন্থসমাপ্তির কথা পড়িয়া ভাবিয়ছিলাম, এখানি বুঝি, নারদ পােঞ্চ রাত্ৰি নামক গ্রন্থের আর একখানি অনুবাদ ; কিন্তু তাহা নহে। নারদ-পঞ্চ রাত্রের অনুবাদ যাহা আজ পর্য্যন্ত বঙ্গসাহিত্যে আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার নামই নারদ-সংবাদ এবং তাহার কবির নাম কৃষ্ণদাস । ইহা সেকালে কলিকাতার বটতলায় মুদ্রিতও হইয়া গিয়াছে এবং এখন ও তাহার অশুদ্ধ সংস্করণ মুদ্রিত লিপি পাওয়া যায়। মোহমোচনের আরম্ভ এইরূপ,- ( মূল পুথির শুদ্ধাশুদ্ধ বানান অবিকল রাখিলাম । ) “৬/৭শ্ৰীশ্ৰীৱাম ৷ অথ মোহমােচন विश्वकgऊ । নারাআনং নমসকীত্ৰং নারীচৈব নরত্রািমং দেবিং সরে স্বতিং চৈব তথ্যোজ এৎ মুদিরএৎ ॥ প্ৰথমেতে আদিসর্গে কোহিল যে সব । তাহাতে বুঝিবে সব কোরি অনুভব ॥ দিতি এতে মৰ্দ্ধসগোর্গ জে সকল কথা । জমে নাৱৰে হুইল জে সব বেবস্ত্ৰা ৷