পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ۰ ارد ] ভূতির কালনির্ণয়ে তিনি যেরূপ পরিশ্রম করিয়াছেন, তাহার তুলনা হয় না। ভবভূতির কাব্য ভারতে কেন সমগ্ৰ পৃথিবীর আদরের জিনিষ। তুলনায় কাব্যাংশের আলোচনা অল্পই হইয়াছে। প্ৰকাশকালে যেন সে বিষয়ের আলোচনা করা হয়। কালিদাসের এক শকুন্তলা যেমন তঁহাকে অমর করিয়া রাখিয়াছে, ভবভূতির অন্য গ্ৰন্থ না থাকিলেও এক উত্তররামচরিতই তাঁহাকে অমর করিত । শ্ৰীযুক্ত শিবাপ্ৰসন্ন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন যে, বর্তমান প্ৰবন্ধে ঐতিহাসিক ভাগটা যেমন বেশী বেশী, কাব্যাংশ সেরূপ না হইয়া সংক্ষেপে হইলেও শেষ ভাগে আলোচিত হইয়াছে। । রামচরিত্রে রাজ্যাদর্শ উচ্চ । গুরুজনের আজ্ঞা ও তন্নিবন্ধন কৰ্ত্তব্য পালন একদিকে, প্রজারঞ্জন ও রাজ্যপালন আর একদিকে। রাজ্যপালন কৰ্ত্তব্য জ্ঞানের উচ্চতর মিলন। ভবভূতির আলোচনায় এক অঙ্কের মধ্যে নিবন্ধ করা অসাধারণ গুণপণার পরিচয় এখনও বর্তমান । শ্ৰীযুক্ত চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় বলিলেন যে, প্ৰবন্ধ অতি উপাদেয় হইয়াছে। উহা পরিষদ পত্রিকায় মুদ্রিত হউক। বর্তমান প্ৰবন্ধের আলোচনায় ৬/বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা গ্ৰন্থ রচনার উপকরণ সংগ্রহের কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যায়। প্ৰবন্ধে উল্লিখিত হইয়াছিল, ভবভূতির সময় সংস্কৃত সাহিত্য জরাগ্রস্ত হইয়াছিল, তাহা ঠিক বলিয়া বোধ হয় না। আর বৌদ্ধ ভাবাধিক্যের মধ্যে আৰ্যভাব প্রচার লক্ষ্য করিয়া ভবভূতি গ্ৰন্থ রচনা করিতে বসিয়াছিলেন, এরূপ মীমাংসা করা বড়ই কঠিন, আর সেরূপ করাও ঠিক নহে। শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয় বলিলেন যে, জৈনগ্রন্থ হইতে জানা যায়, ধৰ্ম্মপালের সভায় বপ্লভট্ট সুরি ও ভবভূতি উপস্থিত ছিলেন। সাতদিন ধরিয়া তর্ক বিতর্ক হয়। ভবভূতিকে পরাজয় ও বৌদ্ধধৰ্ম্মে আনয়ন করা বিপ্লভট্টের উদ্দেশ্য ছিল। এক অজ্ঞাত কৌশলে বিপ্লভট্ট ভবভূতিকে পরাজিত করিয়াছিলেন এবং একত্ৰ কানাকুজে গমন করিয়াছিলেন। তাহা হইতে এই বোধ হয় যে, ধৰ্ম্মপালের সময় ভবভূতি বিদ্যমান ছিলেন। শ্ৰীযুক্ত আর, সেন মহাশয় সভার গোচর করিলেন যে, তিনি যতদূর আলোচনা করিয়াছেন, তাহাতে তঁহার বোধ হয়, শ্ৰীহৰ্ষ ও শিলাদিত্য এক ব্যক্তি নহেন। এ বিষয়ে তিনি DDBDD BDBDLDKLD DBBD DDD BBDB SSBDB DBDBBD DBDBDBBB BDBK DBB DDD ঐতিহাসিক কথার অবতারণা করিলেন । প্ৰবন্ধলেখক শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ মহাশয় বলিলেন যে, ভবভূতির কাব্যের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও দার্শনিক তত্ত্ব এবং শব্দারহস্তের বিবৃতিই তাহার সবিশেষ লক্ষ্য ছিল । ভবভূতির সময়ে সে সংস্কৃত ভাষা জরাগ্রস্ত হইয়াছিল, তাহার কাব্য হইতেই তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। • ভবভূতি দাক্ষিণাত্যের অধিবাসী, তজ্জন্য তঁহার কাব্যে পালিভাষার পূর্ণ প্রভাব লক্ষিত হয়। র্তাহার, কাব্যে ব্যবহৃত ঝ ঞ্চ গুণগুণ ঝাঁঝাঁ ইত্যাদি শব্দ এ কথার প্রমাণ । ভবভূতির পরবর্তীকুলে যে সকল গ্ৰন্থকার জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহদের অনেকেই স্বভাব কবি নহেন। বিবর্তমত শঙ্করাচাৰ্য্যের পূর্বে প্রচলিত ছিল, ইহার যথেষ্ট প্রমাণ নাই!