পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষোড়শ ভাগ).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শূন্যপুরাণ ১ । শূন্যপুরাণের সম্পাদকের অনুমানে পুরাণখানির লেখক, লেখকের নিবাস ও সময় । ১৩১৪ সালে সাহিত্য-পরিষৎ হইতে পুরাবিৎ শ্ৰীনগেন্দ্রনাথ বসুর দ্বারা বাঙ্গালা শূন্যপুরাণ প্ৰকাশিত হইয়াছে । মুখবন্ধে নগেন্দ্র বাবু লিখিয়াছেন, ঐ পুরাণ বাঙ্গালাভাষার একখানি আদিগ্রন্থ। গ্রন্থের রচয়িতা রামাই পণ্ডিত । তিনি গৌড়েশ্বর দ্বিতীয় ধৰ্ম্মপালের সময়ে ছিলেন, এবং এই রাজা খৃঃ ১১শ শতাব্দীর প্রথমে ছিলেন। সে আজি নয়শত বৎসর পূর্বের কথা । ( ৮ কিন্তু সম্পাদক মহাশয় দেখাইয়াছেন, কালে পুরাণখনির নূতন’। সংস্করণ হইয়াছিল। তথাপি কোন কোন অংশের বয়স নাকি ছয় সাত বৎসর । এই অনুমান সত্য হইলে শূন্য পুরাণখানি অপূৰ্ব্ব গ্ৰন্থ হইবে। বোধ হয়, বাঙ্গালী ভাষায় এত পুরানা পুস্তক আর পাওয়া যায় নাই । এরূপ গ্রন্থের একটু বিস্তারিত আলোচনা কৰ্ত্তব্য । মুখবন্ধ হইতে জানিতেছি, বাঁকুড়া জেলা হইতে ছাপা গ্রন্থের আদর্শ সংগৃহীত হইয়াছিল। আদর্শপুর্থীতে গ্ৰন্থ সমাপ্তিকাল লিখিত ছিল না । প্ৰবীণ সম্পাদক পুর্থীয় অক্ষর বিন্যাস ও অবস্থা দৃষ্ট উহাকে প্রায় তিনশ বছরের পুরানা মনে করিয়াছেন। ‘এসিয়াটিক সোসাইটী’তে দুইখানি খণ্ডিত পুখী আছে। বাঁকুড়া জেলার পুথী পুরাতন বলিয়া সম্পাদকমহাশয় সেই পুখীকে আদর্শ করিয়াছেন। আদর্শে ছিল না, এমন কতক অংশ ‘সোসাইটি’র পুখী হইতে লইয়া ছাপা শূন্যপুরাণে প্রবিষ্ট করিয়াছেন। প্রাচীন বাঙ্গালা পুখী মাত্ৰই বাঙ্গালা-ভাযা শিক্ষার সহায় হইতে পারে। কিন্তু যদি ৷ পুখীর রচনাকাল এবং রচকের নিবাস জানা না থাকে, তাহা হইলে সে পুপীর প্রয়োজনীয়তা झूiन १श । শূন্য পুরাণখনির রচনাকাল সম্বন্ধে নগেন্দ্রধাবু বহু ইতিহাস উদঘাটন করিয়াছেন, কিন্তু অনুমান দৃঢ় করিতে পারেন নাই, স্থান সম্বন্ধেও স্পষ্ট কিছু বলেন নাই। বলা বাহুল্য, বাঁকুড়ায় পাওয়া গিয়াছিল বলিয়া শূন্যপুরাণের ভাষা বাঁকুড়ার, এ কথা বলিতে পারা যায় না। রামাই পণ্ডিতের ভণিতা আছে বলিয়া শূন্যপুরাণ খানি ধৰ্ম্মপূজাপদ্ধতিকার রামাই পণ্ডিতের লেখা, এ কথা ও বলিতে পারা যায় না। নগেন্দ্ৰবাবু ও লিখিয়াছেন, ‘শৃঙ্গাপুরাণের পুথিখানি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখকের হাতে ক্রমেই কিছু কিছু রূপান্তর হইয়া আসিয়াছে । • • • •••••• বলিতে কি স্থানে স্থানে এরূপ পাঠবিকৃতি দাড়াইয়াছে যে কোনখিনি আদর্শ ও কোন খানি নকল তাহ বাছিয়া লওয়া অসম্ভব ।” পুনশ্চ লিখিয়াছেন, ‘ঘনরাম, সী তারাম প্রভৃতি ধৰ্ম্মমঙ্গলকারগণ যে দাদুর-ঘাট ও সন্ন্যাসী-কাটার উল্লেখ করিয়াছেন, "অ' পোচ্য শূন্য পুরাণ মপেগ