পাতা:সিতিমা.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
সিতিমা
দুর্জ্জয়। সত্বর উত্তর পশ্চিমে গিরিপথ অবরোধ করবার
মহারাজ। আমি বিস্মিত-একেবারে হতবুদ্ধি হচ্চি। মহারাণী পরিজনবর্গ নিয়ে দুর্গমধ্যে আছেন, দুর্গ পরিখা শত্রুভয়ে জলপূর্ণ রাখবার হুকুম দিয়ে এসেছি, মন্ত্রী আর নগরপাল সেখানে উপস্থিত
দুর্জ্জয়। বিস্ময়ের ব্যাপার সংসারে অহরহ ঘটছে, তাতে ভবাদৃশ মহাপুরুষ বিচলিত হন না। তবে ঘোর আক্ষেপের বিষয় সন্দেহ নাই।
মহারাজ। একি যথেচ্ছাচার! আমার অবর্তমানে অন্তঃপুরে প্রবেশ। প্রহরীরা কোথার ছিল?
দুর্জ্জয়। বাহির হয়ে আসবার সময় তারা কুমারকে ধরেছে।
মহারাজ। বাহির হতে, আসবার সময় ধরেছে, প্রবেশ করতে দিলে। কেন? জিজ্ঞাসা করেনি তার সেখানে কি দরকার?
দুর্জ্জয়। তিনি প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে বাগানের ভিতর নেমেছিলেন, সদর দরজা দিয়া যান নাই।
মহারাজ। আমি বুঝতে পাচ্ছিনা। আমার গৃহে উজ্বলের সর্বত্র গতিবিধি আছে। শিশুকাল হতে সে পুত্রের মত পালিত। দেবীর মৃত্যুর পর সে আমাকে ছেড়ে যেতে চেয়েছিল, তখন আমিই তাকে ছাড়তে চাইনি। তাকে অল্পবয়সে সেনানায়ক করে দিয়েছি, তার ভ্রাতার রাজ্য ছেড়ে সে তাই আমার রাজ্য আপন করে নিয়েছে।
দুর্জ্জয়। আর একটু কম আপন করলেই ভাল হত। মহারাজের অন্তঃপুর তাঁর আপন না হওয়াই উচিত। সে যাহোক যতক্ষণ দুর্জ্জয় সিংহের দেহে প্রাণ আছে স্কন্ধে বাহুসংলগ্ন আছে, চরণ চলতে সমর্থ, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভুর কোন আশঙ্কা নাই।