এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা।
৩৫
তরুণ স। | সেনাপতি, সহস্র বীরপুরুধ যুদ্ধে মরছে, ঘরের কোণের একটি দুটি প্রাণের মূল্য তার চেয়ে কি বেশী? সময় বিশেষে অনেকের জন্য একজনকে নষ্ট কর্তে হয়; নিজের প্রাণতো তুচ্ছ করতেই হয়, দয়াধর্ম্ম হতেও ভ্রষ্ট হতে হয়। উপায় নাই। অবস্থা ভেদে ধম্মের ব্যবস্থা। |
বন্দী। | কিন্তু আমি মহারাজের আদেশে বন্দী। মহারাজকে অনেক মিনতি করে বলেছিলাম-যুদ্ধে যেতে দিন, তারপর যা হয় শাস্তি দেবেন। মহারাজের আদেশ হল-‘কারাগারে যাও’। |
তরুণ স। | রাজা যায়, রাজার আদেশ কে রক্ষা কর্বে? আপনার স্বদেশী সৈন্যেরা বিদ্রোহী হয়েছে, মহারাজ বা তাদের হাতেই যান। |
বন্দী। | আমি তাঁর ভৃত্য তাঁর আদেশ লঙ্ঘন করে |
বৃদ্ধ স। | তাঁকে রক্ষা করা আপনার কর্ত্তব্য। |
তরুণ স। | গুরুজী, সেনাপতি বহুকাল অল্পাহারে আছেন-বড়ই দুর্ব্বল। আগে এঁকে কিছু বলকারক আহার ও পানীয় দিয়ে তার পরে তর্কবিতর্ক করলে ভাল হয়। আর এ স্থান হতে শীঘ্র সরে পড়া ভাল। প্রহরী জেগে উঠলেই বিপদ। |
বন্দী। | আমি মুক্ত হয়ে যাব, কিন্তু এ লোকটা আমার জন্য বিপদে পড়বে—মহারাজ জানবার আগে এর প্রভু এর প্রাণদণ্ড কর্বেন। আমি প্রত্যহ এর হাতে ছাতু আর লবণ আর জল খেয়েছি বেঁচে থেকে একদিন আপনার নির্দ্দোষিতা প্রমাণ কর্ব এই আশাতেই এই অখাদ্য খেয়ে, অস্থানে পড়ে আছি। আজ কারাগারের বাইরে প্রথম পা ফেলেই নিমকহারামি করতে পারিনা। |